ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলাধীন পাগল থানার সাজা প্রাপ্ত পলাতক আসামী আলিম উদ্দিন গ্রেপ্তার। গফরগাঁও উপজেলার পাগলা থানার পুলিশ অভিযান চালিয়ে২০ বছর সাজা প্রাপ্ত পলাতক আসামি মো.আলিম উদ্দিন খান কে (৭৭)গ্রেপ্তার করেছে।
রোববার ৭ মে ২০২৩ দুপুর ১২টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওসি মো. রাশেদুজ্জামানের নেতৃত্বে পাগলা থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে পার্শ্ববর্তী শ্রীপুর উপ জেলার কাওরাঈদ ইউনিয়নের বেলদিয়া গ্রাম থেকে যুদ্ধারপরাধী মো. আলিম উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে।২০১৪ সাল আলিম উদ্দিন খানের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা দায়েরের পর থেকে পলাকত ছিল।
মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধীঅপরাধ মামলায় ২০২১- ২১ ফেব্রয়ারি বৃহস্পতি: আন্তজার্তিক অপরাধ ট্রাইবুনালে মোঃ আলিম উদ্দিন খান সহ গফরগাঁও উপজেলার ৮ জনকে আলিম উদ্দিন খানসহ ৫ জনকে ২০ বছর করে কারাদণ্ড এবং ৩ জনকে আমৃত্য কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আলিম উদ্দিন খানের বাড়ি উপজেলার পাগলা থানার সাধুয়া গ্রামে। তার বাবার নাম মৃত আব্দুল গফুর খান। জানা গেছে, আলিম উদ্দিন খান ৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধবিরোধী ভূমিকায় লিপ্ত হয়। সে তার সশস্ত্র রাজাকার সহযোগী ফয়জুল্লাহ,আব্দুর রাজ্জাক সামসু জ্জামান কালাম, আব্দুল খালেক, বাদশা, খলিলুর রহমান মীর গংদের নেতৃত্ব দিয়ে গফরগাঁও উপজেলার নিগুয়ারি, টাংগাব, দত্তের বাজার ইউনিয়ন গ্রামে গ্রামে লুটপাট, অগ্নি সংযোগ, অপহরণ, আটক, নির্যাতন,মুক্তিপণ আদায়, ধর্ষণ হত্যাসহ বিভিন্ন মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনে অংশগ্রহণ করেন বলে সুত্রে প্রকাশ ।
২০১৪ সাধুয়ার গ্রামে আফাজ উদ্দিন বাদী হয়ে মানবতাবিরোধী মামলা দায়ের করে। ২০১৭ সালের ৬ এপ্রিল বৃহস্পতিবার ট্রাইবুনাল তার নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।পাগলা থানার ওসি মো.রাশেদুজ্জামান বলেন,আমি এক জন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। ওনার কাছে চ্যালেঞ্জ ছিল যুদ্ধাপরাধের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তার করা।
সেই লক্ষ্যে ২০ বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামী মো.আলিম উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়ে আদালতের মাধ্যমে ময়মনসিংহ জেল হাজতে প্রেরণ করে বলে সুত্রে জানান।