টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার গারোবাজারে আবারও চুরির ঘটনা ঘটেছে।বৃহস্পতিবার (৩ সেপ্টেম্বর)রাত আনুমানিক সারে আটটা থেকে সারে দশটার মধ্যে কেয়া স্টোর নামক এক মুদি দোকানে এ চুরির ঘটনা ঘটে।এসময় দোকান থেকে চার বস্তা(৫০ কেজি)চাল,তেল,সাবান এবং মসলা জাতীয় মালামাল সহ বিপুল পরিমাণ কসমেটিক সামগ্রী চুরি হয় বলে জানিয়েছেন দোকান মালিক আবুল কালাম।
তিনি জানান,বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক সারে আটটার দিকে দোকান বন্ধ করে জমি বিক্রি সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা করতে আলমগীর বেন্ডার কে নিয়ে বাজারের পাশেই এক বাড়িতে যান।আলোচনা শেষে রাত দশটার দিকে এসে দোকান খুলে দোকানের মালামাল ছড়িয়ে ছিটিয়ে পরে থাকতে দেখেন।এসময় টহল পুলিশ এবং নাইট গার্ডরা বাজারেই অবস্থান করছিলো বলে জানিয়েছে দোকান মালিক ও আশপাশের ব্যবসায়ীরা।বিষয়টি বাজার পরিচালনা কমিটিকে অবহিত করা হয়েছে।তাদের পরামর্শ অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান দোকান মালিক আবুল কালাম।
বাজারের দোকানদার ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়,দোকানের পিছনের দরজা ভাঙা অবস্থায় দেখে চুরির বিষয়টি নিশ্চিত হন।এ ঘটনায় বাজারের দোকানদার এবং ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতংক বিরাজ করছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ব্যবসায়ী বলেন,এর আগেও বেশ কয়েকটি চাঞ্চল্যকর চুরির ঘটনা ঘটেছে।তবে এবারের ঘটনাটা ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতংকের সৃষ্টি করেছে।এতো অল্প সময়ের মধ্যে ঘটনা ঘটেছে যা পেশাদার চোর ছাড়া এবং পূর্ব পরিকল্পনা ছাড়া সম্ভব না।বাজার পরিচালনা কমিটিকে বাজারের নিরাপত্তার বিষয়টি বার বার অবহিত করা হলেও রহস্যজনক কারনে তারা কোন পদক্ষেপ নেয়নি।
দোকান মালিক আবুল কালাম জানান,এতো অল্প সময়ের মধ্যে এই চুরির ঘটনা ঘটেছে যা অকল্পনীয়।রাত দশটা/এগারোটা পর্যন্ত স্বাভাবিক ভাবে মানুষ চলাচল করে এবং বেশির ভাগ দোকানও খোলাই থাকে।
স্হানীয় ব্যবসায়ী এবং ইউপি সদস্য দেলোয়ার মেম্বার জানান,আমি সেসময় বাজারেই ছিলাম।খবর শোনা মাত্রই ঘটনা স্হলে যাই।দোকানের পিছনের দরজা ভাঙা অবস্থায় দেখে চুরির বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছি।এবিষয়ে কোন আইনি পদক্ষেপ নিচ্ছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন,এর আগেও বেশ কয়েকটি চাঞ্চল্যকর চুরির ঘটনা ঘটে।মামলা করেও কোন লাভ হয়নি।
বাজার পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও মহিষমারা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কাজী আবদুল মোতালেবের মন্তব্য জানতে তার সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।
Like this:
Like Loading...
Related
এ জাতীয় আরো খবর..