হাজী মুক্তার হোসেন, স্টাফ রিপোর্টার
গতকাল রবিবার ৩/৬ মধ্য রাজারচর রমজান মসজিদের সং লগ্নে রাজ্জাক হাজী মেজো ছেলে ছেলে প্রবাসী ২২/১১/২০২০ ইং রাত আনুমানিক 9:30 মিনিটের দিকে দরজা বন্ধ ঘরের আড়াই বছরের শিশু চিক্কার শুনে পাশের ভাড়াটিয়ারা জালানা দিয়ে লক্ষ করে ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায়। পাশের ভাড়াটিয়াদের চিৎকারে আশেপাশের লোকজন জড়ো হয়ে। দরজা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে ঝুলন্ত ফ্যান থেকে লাশ নামিয়ে আনে। সিমা আক্তার বয়স ২২, পিতা শাহ আলম মাথা রহিমা বেগম, স্থায়ী ঠিকানা আব্দুল্লাহপুর থানা দুলারহাট চরফ্যাশন ভোলা।
জানা যায় সিমা আক্তার গত ০৩/১১/২০২০ তারিখে সাভার মধ্য রাজাশন ভিশন গার্মেন্টসে সুইমিং অপারেটরে চাকরিতে যোগদান করেন। চাকরি নেবার পর থেকেই স্বামীর সাথে বন বন্তী হচ্ছে না। এদিকে আশেপাশের লোকজন দাবি করেন বাসের হেলপার স্বামী মোঃ রুবেল বয়স 26 গজারিয়া খালপাড়ে চর উমেদ লালমোহন থানা ভোলা মাদকাসক্ত বিভিন্ন সময় স্ত্রী সিমা আক্তার কে মারধর করিতো । করোনা মহামারী গাড়ির তেমন ইনকাম না থাকায় প্রায় বেকার ছিল স্বামী। তাই স্ত্রী চাকরি নিয়েছিল। চাকরি নেভার কিছুদিন পর পরেই তাদের মাঝে ঝগড়া লেগেই থাকত।
গতকাল সিমা আক্তার গার্মেন্টস থেকে এসে ঘরে ঢুকে তারপরে ঘরে চেঁচামেচি ডাক শুনতে পায় আশেপাশের লোকজন। নিত্যনৈমিত্তিক জগরা থাকায় আশেপাশের লোকজন তেমন গুরুত্ব দিত না। তাহারা ঝগড়া কিছু ক্ষন পর আবার স্বাভাবিক জীবনে চলাফেরা করত। রাত আনুমানিক ৯:৩০ এ বাচ্চার আওয়াজ শুনে পাশের ভাড়াটিয়া ফ্যানের সাথে লাশ দেখিতে পায়। উৎসব জনতা এসে লাশ নামিয়ে ফেলে। ৮ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র হাজী সেলিম মিয়া উক্ত স্থান পরিদর্শন করেন থানায় অবগত করান।
রাত এগারোটার দিকে সাভার মডেল থানা ওসি অপারেশন আল আমিন সাহেবের নেতৃত্বে এস আই মোহাম্মদ শামসুদ্দিন জামান ও কনস্টেবল আব্দুর রহিম লাসের হাল সুরত লিপিবদ্ধ করে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা সরোয়ারদি হাসপাতালে পাঠানো হয়। স্বামী রুবেল ঘরে পাওয়া যায়নি তিনি আত্মগোপন করেছেন। আশেপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কিছু সিম ভাঙা অবস্থায় পাওয়া যায়। রুমের পরিস্থিতি দেখে বুঝা যায় রুমের মধ্যে খুব ধস্তাধস্তির আলামত লিপিবদ্ধ করেছেন কর্মরত এসআই শামসুদ্দিন জামান। এখন প্রশ্ন হলো সিমা আক্তার কি আত্মহত্যা করেছে। নাকি তাকে হত্যা করে ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। এজন্য অপেক্ষা করতে হবে ময়না তদন্ত রিপোর্টের জন্য।