কাজী মোতাহার হোসেন নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গা উপজেলার গোমতি ইউনিয়নের মধ্য গড়গড়িয়া পাড়া জামে মসজিদ পুকুরের প্রকল্প চুরির প্রমাণ পেয়েছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর। তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় বাতিল করা হয়েছে প্রকল্পটি। শুক্রবার বিকেলে তৃতীয় দৃষ্টি’কে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের খাগড়াছড়ি জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শাহজাহান।
নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শাহজাহান বলেন, ‘মসজিদ পরিচালনা কমিটি ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা ভুল তথ্য দিয়ে মসজিদের পাশর্^বর্তী এক প্রবাসীর পুকুরে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করে তা আত্মসাৎ করতে চেয়েছিলো। তদন্ত করে অভিযোগটির সত্যতা পাওয়ায় ওই প্রকল্পটি বাতিল করা হয়েছে।’
এদিকে এর আগেই প্রবাসী বাবুল হোসেনের পুকুরে খননের প্রায় ৮০ শতাংশ কাজ সমাপ্ত করে ফেলেছিলো সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার। তবে গণমাধ্যমে এ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশের পর কাজটি বন্ধ করে দেয় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর।
প্রবাসী বাবুল হোসেনের এই পুকুরেই প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছিলো। তবে প্রকল্পটি বাতিল হওয়ায় বিপাকে পড়েছে পুকুর খনন কাজের উপ-ঠিকাদার মাটিরাঙা পৌরসভার কাউন্সিলর মোহাম্মদ আলী। কেননা, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শাহজাহান সাফ জানিয়ে দিয়েছেন ওই খনন কাজের কোন বিল ছাড় দেয়া হবে না।
প্রসঙ্গত, সারাদেশে পুকুর ও খাল উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় গেলো বছরের ডিসেম্বরে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে বরাদ্দ আসে মধ্য গড়গড়িয়া পাড়া জামে মসজিদের পুকুর খনন ও ঘাট নির্মাণ কাজের। ওই পুকুরটি খননে ১০ লাখ ৭৫ হাজার ৮২৫ টাকা এবং ঘাট নির্মাণের জন্য ৬ লাখ ৯৭ হাজার ১৯ টাকা চুক্তিমূল্যে বরাদ্দ দেয়া হয়। খনন কাজের জন্য ‘ফারহানা আকতার’ ও ঘাট নির্মাণে ‘রুবেল এন্টার প্রাইজ’ নামে পৃথক দুটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান অনুমতি পায়। খননের কাজ প্রায় ৮০ শতাংশ শেষ করা হলেও ঘাট নির্মাণের কাজ শুরু করা হয়নি। এ অবস্থায় গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয় এবং পরবর্তীতে ওই প্রকল্পটি বাতিল করে কর্তৃপক্ষ।
সরকারিভাবে প্রকল্প বরাদ্দ দেয়া হয়েছিলো মসজিদের পুকুর খনন ও ঘাট নির্মাণের জন্য, অথচ সেই প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়িত হচ্ছিলো প্রবাসী বাবুল হোসেনের মালিকানাধীন অন্য একটি পুকুরে। আর এই চুরির নেপথ্যে ছিলো স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। বহু চেষ্টা তদবির করেও শেষতক সামলাতে পারলেন না তারা।
Leave a Reply