শহিদুল ইসলাম সোহেলঃ
সারাদেশে চলমান পৌরসভা নির্বাচনের চতুর্থ ধাপে ৩৪টি জেলার ৫৫টি পৌরসভার ভোটগ্রহণ রবিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি)অনুষ্ঠিত হয়।একই দিনে টাঙ্গাইলের গোপালপুর ও কালিহাতী পৌরসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।ছোটখাটো দুএকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া পৌরসভা দুটিতে শান্তিপুর্ণ ভাবেই ভোটগ্রহন সম্পন্ন হয়েছে।দুটি পৌরসভাতেই বেসরকারিভাবে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থীরা বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছেন।
গোপালপুর পৌরসভায় মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী রকিবুল হক ছানা এবং কালিহাতী পৌরসভার মেয়র হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী নুরুন্নবী সরকার।
টাঙ্গাইলের সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা এ এইচ এম কামরুল হাসান( ১৪ই ফেব্রুয়ারী)রাত সারে আটটায় এ ফলাফল ঘোষনা করেন।
প্রাপ্ত ফলাফল অনুযায়ী, গোপালপুর পৌরসভায় আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী রকিবুল হক ছানা বেসরকারিভাবে ১৮ হাজার ৯৬৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার কেএম গিয়াস উদ্দিন ৪ হাজার ২৮৭ ভোট পেয়েছেন।
অন্যদিকে কালিহাতী পৌরসভায় আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী নুরুন্নবী সরকার বেসরকারিভাবে ১১ হাজার ৩৫০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ধানের শীর্ষ প্রার্থী আলী আকবর ৭ হাজার ৮৮ ভোট পেয়েছেন।
রবিবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ সম্পন্ন করা হয়। নির্বাচনে ভোটারদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। ভোটকেন্দ্রে সব সময়ই ছিল ভোটারদের দীর্ঘ সারি। ১২ টার দিকে কালিহাতী পৌরসভার ৫০নং হরিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের বাইরে আওয়ামীলীগ-বিএনপির সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ১০জন আহত হয়। এদের মধ্যে ২ জনের অবস্থা গুরুতর।এসময় হরিপুর এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পরে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ও ম্যাজিস্ট্রেট এসে পরিস্থিতী নিয়ন্ত্রনে আনেন।
এ ব্যাপারে,টাঙ্গাইলের জেলা সিনিয়র নির্বাচন ও রিটার্নিং কর্মকর্তা এএইচএম কামরুল হাসান বলেন,কিছু ছোটখাটো বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচন সুষ্ঠ ও সুন্দর করার লক্ষে গোপালপুর ও কালিহাতী পৌরসভায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, র্যাব,পুলিশের মোবাইল টিম, স্টাইকিং ফোর্স ও বিজিবি’র ৫টি টহল টিম মোতায়েন করা হয়েছিলো।
উল্লেখ্য, টাঙ্গাইলের দুইটি পৌরসভার ১৮টি ওয়ার্ডে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ মোট ৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এছাড়াও ১৯ জন সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর ও ৭৬ জন সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এতে মোট ৬৯ হাজার ৩৯০জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।