শাহিন আলম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
ঋতুরাজ বসন্ত আগমনের সাথে সাথে আমের স্বর্ণালী মুকুল ফুটতে শুরু করেছে। মুকুলের বাহারি রঙ আর মন মাতানো গন্ধে মৌ মৌ করছে বাগানগুলোর আশপাশের এলাকা।
আমের রাজধানী খ্যাত চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার আমবাগানগুলো ভরে গেছে মুকুলে, প্রকৃতিতে যোগ করেছে নতুন মাত্রা। সবুজ পাতার ফাঁকে ফাঁকে ফুটেছে আমচাষিদের সোনালি স্বপ্ন। বসন্ত আসতেই বাতাসে মুকুলের মন মাতানো গন্ধে ভরে উঠেছে প্রকৃতি। মধু মাসের বার্তা শোনাচ্ছে এসব আমের মুকুল। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আমের বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করছেন আমচাষি ও বাগান মালিকরা।
একাধিক আমবাগান ঘুরে দেখা গেছে, বাগানের সারি সারি গাছে আমের মুকুল ফুটতে শুরু করেছে। ছোট ও মাঝারি আকারের গাছে বেশি মুকুল ফুটেছে গাছের পুরো মুকুল ফুটতে আরো এক সপ্তাহ লাগবে বলে জানান বাগান মালিকেরা।
কৃষি বিভাগ ও আমচাষিরা বলছেন, বড় ধরনের কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবার আমের ভালো ফলন হবে। মুকুল আসার আগে থেকেই গাছের পরিচর্যা করছেন বাগানের মালিক ও চাষিরা।
জানা গেছে, উপজেলায় বাণিজ্যিক ভিত্তিতে প্রায় সব জাতের আমের উৎপাদন হয়। লাভজনক হওয়ায় প্রতি বছর কৃষি জমিতে বাড়ছে আমের আবাদ। আম্রপালি, ফজলি, খিরসাপাতি, ল্যাংড়া, রাজভোগ ও গোপাল ভোগসহ বিভিন্ন জাতের আমের বাগান গড়ে তোলা হয়েছে। তথ্য মতে, দেশের বেশির ভাগ আমবাগান রয়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জে। জেলার উৎপাদিত আম দেশের বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করার পাশাপাশি বিদেশেও রফতানি করা হচ্ছে।
স্থানীয় দোষীমানি আম ব্যবসায়ী ফিরোজ আলী জানান, প্রায় দুই সপ্তাহ আগে থেকে বাগানের আমগাছে মুকুল আসা শুরু হয়েছে। মুকুল আসার পর থেকেই গাছের প্রাথমিক পরিচর্যা শুরু করেছি। মুকুল রোগ বালাইয়ের আক্রমণ থেকে রক্ষা করতে স্থানীয় কৃষি বিভাগের পরামর্শ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় বালাইনাশক স্প্রে করছি। বর্তমানে আবহাওয়া অনুকূলে রয়েছে। এ অবস্থা থাকলে এ বছর আমের বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করছি।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে তথ্য অনুযায়ী গোমস্তাপুর উপজেলায় প্রায় ৪২৩০ হেঃজমিতে আমবাগানে মুকুলের হার প্রায় ৬০% গতবছর উৎপাদন ছিলঃ৩৭,৮৯৮ মেঃটন যা
গতবছরের তুলনায় এবার আবহাওয়া অনুকুল বেশি হওয়ায় মুকুলের হার বেশি।