নিরেন দাস,জয়পুরহাটঃ-
জয়পুরহাট ছোট্ট একটি জেলার ছোট্ট একটি আক্কেলপুর উপজেলার রুকিন্দিপুর ইউনিয়নের চকবিলা গ্রামের বাসিন্দা মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, প্রবীণ আওয়ামী নেতা, যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে নিজেই একটি পত্রিকার সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন কারী সাংবাদিক হিসেবে সাংবাদিক হিসেবে মুক্তিযোদ্ধাদের উৎসাহিত কারী বারবার নির্বাচিত রুকিন্দিপুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম গোলাম রসুল চৌধুরীর সুযোগ্য পুত্র গোলাম মাহফুজ চৌধুরী অবসরের রাজনৈতিক জীবনীর বাহিরেও রয়েছেও বিশাল একটি সফলতা যা অনেকের কাছে আজও অজানা।
তিনি আওয়ামী পরিবার ও বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে তার বাবার হাত ধরে সর্বপ্রথম ১৯৮৫ সালে জামালগঞ্জ উচ্চবিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়ে জীবনের রাজনীতি জীবন শুরু করেন এরপর ১৯৮৭ সালে জয়পুরহাট সরকারি ডিগ্রি কলেজের সাধারন সম্পাদক একই সালে কলেজ ছাত্র সংসদের (এজিএস) প্রার্থী হন,১৯৮৮ সালে জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন,১৯৯০ সালে জয়পুরহাট সরকারি কলেজের ভিপি প্রার্থী হন,১৯৯২ সালে জেলা যুবলীগের যুগ্ম-সাঃসম্পাদক নির্বাচিত হন,২০০৩ সালে জয়পুরহাট জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের প্রতিষ্ঠা ও সাধারন সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে,২০১১ সালে আক্কেলপুর উপজেলার ১ নং ইউপি রুকিন্দিপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন করে রাজশাহী বিভাগে সর্বোচ্চ ভোটে চেয়ারম্যান বিজয়ী হয়ে মাত্র ৪ বছর চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করে স্বেচ্ছায় চেয়ারম্যানের পদ ছেড়ে দিয়ে ২০১৩ সালে আক্কেলপুর উপজেলা
আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়ে দায়িত্বে রয়েছেন,২০১৪ আওয়ামীলীগ মনোনীত হয়ে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন করেন উক্ত নির্বাচনে সরিষের ভিতরে ভূত দলীয় নেতাকর্মীরা বিএনপি জামায়াতের সাথে গোপনে সম্পর্ক গড়ে তুলে সামান্য ভোটে পরাজিত করতে বাধ্য করেন। ২০১৫ সালে ৩০ শে ডিসেম্বর আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকা প্রতীক নিয়ে আক্কেলপুর পৌরসভা নির্বাচন করে বিপুল ভোটে জয়লাভ করে আক্কেলপুরের ইতিহাসে সর্বপ্রথম আওয়ামীলীগের মেয়র হিসেবে চেয়ার দখল করে প্রমান করে দেন শেখ হাসিনার উন্নয়নের কথা যিনি এখনো মেয়রের দায়িত্বে রয়েছেন। জয়পুরহাট জেলা তথা আক্কেলপুর উপজেলাটিও একসময়ের বিএনপি-জামায়াত কবলিত এখানে ২০১৪ সালের আগের বারবার বিএনপির সাংসদ নির্বাচিত দ্বারা পরিচালিত হয়েছে। কিন্তু গোলাম মাহফুজ চৌধুরী অবসব আক্কেলপুর উপজেলাতে আওয়ামী রাজনীতির একটি চমক সৃষ্টি করে আওয়ামীলীগের ঘটিতে পরিণত করেছেন যা হয়তো অন্য কারো দ্বারা এমন করা অসম্ভব বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
দিনরাত কঠোর পরিশ্রম দিয়ে রাজনৈতিক জীবনের মধ্যে থেকেও বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি তার সাহসী পথচলার সঙ্গী হিসেবে পাশে দাঁড়ান তার সহধর্মিণী কামরুল নাহার শিমুল যিনি ২ যুগ ধরে জয়পুরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সহকারী পদে চাকরীরত রয়েছেন তবুও তারা তাদের তিন সন্তানকে গড়ে তুলেছেন জেলার শ্রেষ্ঠ সুনামধন্য সন্তান হিসেবে তাদের তিন সন্তানের মধ্যে দুই ছেলে ও এক মেয়ে। বড় ছেলে মো.কামরান চৌধুরী শিশির সে ঢাকা বুয়েট স্কুল এন্ড কলেজের প্রথম বর্ষ থেকে শেষ বর্ষ পর্যন্ত প্রথম সাড়ির ছাত্র হিসেবে গ্রাজুয়েট কমপ্লিট করে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়ে বিয়ে করেন সুশিক্ষিত গ্রাজুয়েট কমপ্লিটকারী ছাত্রী তাসমিন জামান অরনি কে যাহারা দুই জনেই সৈয়দপুর ক্যান্টনমেন্টে শিক্ষকতার পাশাপাশি (পিএসডি) করার জন্য বর্তমানে (USA) আমেরিকাতে রয়েছেন। দ্বিতীয় ছেলে সাদমান চৌধুরী অপূর্ব সে আহসানউল্লাহ ভার্সিটিতে আর্কিটেকচারে অধ্যায়নরত আর সকলের ছোট মেয়ে নোশিন আতিয়া চৌধুরী স্নেহা সে জয়পুরহাট বাজলা সরকারি স্কুলে সপ্তম শ্রেনীতে মেধাবী ছাত্রী হিসেবে লেখা পড়া করছে।
তাদের এই ব্যস্ততম পরিবারেরকে নিয়ে বর্তমানে অনেকেই মাথা কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, সকলের একটাই প্রশ্ন কিভাবে সম্ভব বাবা তো দিনরাত রাজনীতি নিয়ে ব্যস্ত আর মা চাকুরী নিয়ে তবে তাদের সন্তানেরা এতো অগ্রসর হলো কিভাবে। এমনকি তাদের সন্তানেরা বাবার রাজনৈতিক প্রভাব বা অহংকারও এখনো কারো চোখে পড়েনি এমকি তারা তাদের বিষয়ে আজ পর্যন্ত কেউ কখনো কোন কুটিও দেখাতে পারেনি। সত্যিই এটাই বাস্তব মহান আল্লাহতালা চাইলে কিনা সম্ভব।
এমন সকল বিষয়ে নিয়ে বর্তমানে আলোচিত নেতা গোলাম মাহফুজ চৌধুরী অবসরের সাথে একান্ত সাক্ষাত করলে তিনি জানান, আপনারা ইতিমধ্যে জেনেছেন আমার দলীয় ও জন সমর্থক ব্যাপক থাকা শর্তেও সর্বপ্রথমে ইউপি চেয়ারম্যানের পদ স্বেচ্ছায় ছেড়ে দেই,এবং গত ১৪ এ ফেব্রুয়ারি আক্কেলপুর পৌরসভা নির্বাচনে স্বেচ্ছায় মেয়র পদ ছেড়ে দিয়ে দলের তৃনমূল ত্যাগী নেতাকে মো.শহীদুল আলম চৌধুরী কে সমর্থন করে ইতিমধ্যে তাকে মেয়র নির্বাচিত করিয়েছি,এবং আসছে আগামী ১১ এ মার্চ আসন্ন আক্কেলপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের ত্রি- বার্ষিকী সম্মেলনেও আমি স্বেচ্ছায় সাধারন সম্পাদক পদ থেকে সরে দাঁড়ানো ঘোষনা দিয়েছি। আপনার এতো সর্মথক থাকা শর্তেও আপনি কেন-? স্বেচ্ছায় এসব পদ থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন দেখুন আমি প্রমান করতে চাই চেয়ারে না বসেও জনগণের সেবা করা যায়। আমরা ইতিমধ্যে জানতে পেড়েছি আসন্ন ১১ এ মার্চ উপজেলা সম্মেলনে আপনি যাকে সমর্থন দিবেন তারাই নাকি সভাপতি /সাধারন সম্পাদক হবে তাই প্রার্থীরা আপনার দিকে তাকিয়ে আছেন বিষয়টি কতটুকু সত্য-? তিনি বলেন এটা কোন বিষয় না আমার কাছে সবাই সমান আর আমি সবাইকেই সমর্থন করছি কিন্তু এখানে আমার রাজনৈতিক অভিভাবক রয়েছেন যিনি জাতীয় সংসদের মননীয় হুইপ, কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের সফল সাংগঠনিক সম্পাদক ও জয়পুরহাট-২ আসনের সাংসদ আমাদের সকলের প্রিয় নেতা তিনিই নির্ধারণ করবেন আগামী সম্মেলনে কারা হবেন এ আক্কেলপুর উপজেলা আওয়ামীলীগ পরিবারের অভিভাবক।
পরিশেষে তিনি আরো বলেন, আমাদের সন্তানেরা রাজনীতি করে না তারা সুশিক্ষাই শিক্ষিত হয়ে জয়পুরহাট জেলার নাম উজ্জ্বল করছে তাই আগামী আসন্ন রুকিন্দিপুর ইউনিয়ন বাসী ইতিমধ্যেে একটি দাবী জানিয়েছে যে আমার সহধর্মী কামরুল নাহার শিমুল কে রুকিন্দিপুর ইউপি চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চায় তাই জনগণের শেষ একটি তাই জনগণের শেষ একটি দাবী পূরণে আগামী রুকিন্দিপুর ইউপি নির্বাচনে আমার সহধর্মী কামরুল নাহার শিমুল কে চেয়ারম্যান পদে দাঁড়িয়ে দিচ্ছি বিষয়টি এখনো ঘোষনা দেয়ার কথা না তবুও বললাম। আচ্ছা আপনি স্বেচ্ছায় সকল পদ ছেড়ে দেয়ার ঘোষনার পর থেকে আক্কেলপুর পুড়ো উপজেলায় আওয়ামী নেতাকর্মীদের মধ্যে একপ্রকার শোক প্রকাশ বিরাজ করছে এতে আপনার মন্তব্য কি-? জবাবে তিনি বলেন দেখুন আমি বুঝতে পারছি আমাকে নেতাকর্মীরা হারাতে চায়না যা আমি বুঝি কিন্তু তাদের বলতে চাই পদে না থাকলেও আমি সারাজীবন আক্কেলপুর বাসীর সাথেই থাকবো। বলে তিনি আরো বলে আপনারা কি জানেন আমার বাবার একটি ইতিহাস আমার বাবা কারাগার থেকে নির্বাচন করে বিপুল ভোটে রুকিন্দিপুর ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে- ১৯৭৮ সালে সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমার রুকিন্দিপুরের জামালগঞ্জ বাজারে একটি জনসভা করে সেখানেই রাত্রি যাপন করেন আর সেই রাতে জিয়াউর রহমার আমাকে ডেকে বলেন আপনি বিএনপিতে যোগদান করুণ আপনাকে মন্ত্রী নয়তো এমপি বানাবো এমন আমার বাবা তার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলে জিয়াউর রহমার পরদিন চলে যাওয়ার সাথেসাথে ২২ টি মিথ্যা মামলায় আমার বাবাকে ফাঁশিয়ে দেশ ত্যাগ করাতে বাধ্য করান ততকালিন সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমার আর আমি সেই বাবার সন্তান তার রক্ত আমার শরীরে বইছে আমার কাছে চেয়ার বড় নয়,আমার কাছে সবচেয়ে বড় হচ্ছে আদর্শ তাই আমি যতদিন বাঁচবো জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমারের আর আমার বাবার আদর্শ বুকে ধারণ করেই চলবো। এমনকি আমি যতদিন বাঁচবো আক্কেলপুরের মানুষের মাঝে সর্বদা এখন যেমন আছি, সারাজীবন তেমনি থাকবো ইনশাাআল্লাহ এটা আমার ওয়াদা।