এক সময়ের অবহেলিত জেলা জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার রুকিন্দিপুর ইউনিয়ন এর  চকবিলা গ্রামের বাসিন্দা মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, প্রবীণ আওয়ামী নেতা,মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে যিনি নিজেই একটি পত্রিকার সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং সাংবাদিক হিসেবে সেই সময়ের বীর সেনাদের উৎসাহিতকারী।

তৎকালিন সময়ের বারবার নির্বাচিত রুকিন্দিপুর ইউনিয়ন পরিষদের নির্যাতিত সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মহরম গোলাম রসূল চৌধুরীর সুযোগ্য পুত্র ত্যাগী ও পরিশ্রমী নেতা গোলাম মাহফুজ চৌধুরী অবসর এর পরিবারের রাজনৈতিক জীবনীতে রয়েছে ত্যাগ ও নির্যাতন স্বীকারের বিশাল একটি অজানা তথ্য যা আজও অনেকের কাছেই অজানায় রয়ে গিয়েছে।

কে এই গোলাম রসূল চৌধুরী কে এই গোলাম মাহফুজ চৌধুরী অবসর কি তাদের রাজনৈতিক অবদান ও তার বাবা'র কি অজানা তথ্য যা উদঘাটনের উদ্দেশ্যেই প্রতিবেদক তার পরিবারের এবিষয়টি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে অনুসন্ধান চালিয়ে জানতে পারে যে।

গোলাম মাহফুজ চৌধুরী অবসর তিনি প্রকৃত একজন আওয়ামী পরিবার ও বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে তার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা মহরম গোলাম রসূল চৌধুরী  হাত ধরে সর্বপ্রথম ১৯৮৫ সালে জামালগঞ্জ উচ্চবিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়ে জীবনের রাজনীতি জীবন শুরু করেন তিনি। এরপর ১৯৮৭ সালে জয়পুরহাট সরকারি ডিগ্রি কলেজের সাধারন সম্পাদক ও একই সালে কলেজ ছাত্র সংসদের (এজিএস) প্রার্থী হন

,১৯৮৮ সালে জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন,১৯৯০ সালে জয়পুরহাট সরকারি কলেজের ভিপি প্রার্থী হন,১৯৯২ সালে জেলা যুবলীগের যুগ্ম-সাঃ-সম্পাদক নির্বাচিত হন,২০০৩ সালে জয়পুরহাট জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রতিষ্ঠা ও জেলা সাধারন সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন গোলাম মাহফুজ চৌধুরী অবসর।

এরপর তিনি ২০১১ সালে আক্কেলপুর উপজেলার ১ নং ইউপি রুকিন্দিপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন করে রাজশাহী বিভাগের সর্বোচ্চ ভোটে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়ে। মাত্র ৪ বছরের মাথায় চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন এবং স্বেচ্ছায় তিনি চেয়ারম্যানের পদটি ছেড়ে দিয়ে ২০১৩ সালে আক্কেলপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক পদে নির্বাচিত হবার পরেই।

২০১৪ সালে তিনি আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হয়ে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থীর সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলও উক্ত নির্বাচনে সরিষের ভিতরে ভূত কথাটি প্রামণ করতে স্থানীয় আওয়ামী পরিচয় দাতা রাজকার বংশধরেরা ছদ্মবেশে আওয়ামী রুপি কতিপয় কিছু নেতা নেতারা গোলাম মাহফুজ চৌধুরী অবসর কে পরাজিত করার লক্ষে নিয়ে বিএনপি জামায়াতের সাথে গোপনে সম্পর্ক গড়ে তুলে অনুষ্ঠিত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সামান্য ভোটে বিএনপি প্রার্থীর কাছে পরাজয় বরণ করেন তিনি।

ছদ্মবেশী দলীয় নেতাকর্মীদের বেইমানিতে উক্ত নির্বাচনে তার নিশ্চিত জয়কেও পরাজয় মেনে নিয়েও তিনি আক্কেলপুরে আওয়ামী রাজনীতির সকল গ্রুপিং ভেঙে সবাইকে একত্রিত করে। বিএনপির জামায়েতের কোণঠাসায় উপজেলাসহ পাঁচটি ইউনিয়নে ঘুমিয়ে পড়া আওয়ামী রাজনীতিকে সক্রিয় করতে তিনি একাই দিনরাত নিরলস পরিশ্রম করে। আওয়ামী রাজনীতিকে সক্রিয় রাজনীতিতে ফিরিয়ে আনেন।

পাশাপাশি ২০১৫ সালে ৩০ শে ডিসেম্বর তিনি আরও আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীক নিয়ে আক্কেলপুর পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থীর সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এবং বিপুল ভোটে জয়লাভ করে আক্কেলপুর পৌরসভা সৃষ্টির ইতিহাসে সর্বপ্রথম আওয়ামী লীগের মেয়র হিসেবে চেয়ারে বসে দলীয় দায়িত্ব পালানের পাশাপাশি নৌকার প্রতীকের বিজয়ী মেয়র প্রার্থী মেয়র হিসেবে স্থানীয় জয়পুরহাট-২ আসনের সাংসদ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন-এমপি'র সার্বিক সহযোগীতায় আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা'র সকল প্রকার উন্নয়ন মূলক কর্মকাণ্ড বাস্তবায়িত করেন এবং আক্কেলপুর পৌরসভাকে তিনি প্রথম শ্রেণীর আওতায় আনেন। এবং তিনি ২০১৩ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত কঠোর পরিশ্রমের মধ্যদিয়ে আক্কেলপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ কে জাগ্রত করে বিশাল এক ঐতিহাসিক সম্মেলনের মাধ্যমে উপজেলা আওয়ামীলীগের নতুন কমিটি উপহার দেন এবং একই সালেই অনুষ্ঠিত পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের মেয়র প্রার্থীকে বিজয়ী করান এবং বিজয়ের মালা পড়িয়ে আরও সাফল্য অর্জন করেন।

তার পারিবারিক এবং ব্যক্তি রাজনৈতিক সকল সফলতার সর্বশেষ আক্কেলপুর বাসীকে কাঁদিয়ে দলীয়সহ জনগণের ব্যাপক সমর্থন থাকা শর্তেও তিনি স্বেচ্ছায় পৌর মেয়র ও সাধারণ সম্পাদকের পদটি ছেড়ে দিয়ে আক্কেলপুর বাসীকে কাঁদিয়ে জয়পুরহাটে চলে আসেন। তার এমন আত্মত্যাগের বিষয়টি কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দসহ দৃষ্টিতে আসায়।

জয়পুরহাট জেলার সকল পর্যায়ের নেতৃবৃন্দদের এখন মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছেন এ ত্যাগী পরিশ্রমী আওয়ামী নেতা গোলাম মাহফুজ চৌধুরী অবসর

এমনকি তাকে নিয়ে গত সোমবার ৬ এ সেপ্টেম্বর জাতীয় দৈনিক একটি পত্রিকায় তার নাম উল্লেখ করে এবং তার বক্তব্যসহ একটি জেলা আওয়ামীলীগের কমিটির বিষয়ে একটি সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর থেকেই। বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে বড় যোগাযোগ গণমাধ্যম ফেইসবুকে চলছে বিভিন্ন আলোচনা-সমালোচনা পাশাপাশি জেলার প্রতিটি উপজেলায় চায়ের টেবিল গুলোতেও বইছে ঝড় বইছে।

যে ঝড়ে সকলের মনে মুখেমুখে একটিই কথা জয়পুরহাট জেলা কমিটিতে গোলাম মাহফুজ চৌধুরী অবসর এর মতো পরিশ্রমী ত্যাগী নেতাকে মূল নেতৃত্বে রাখা হোক এমনটাই প্রত্যাশা করছে সকলেই।

পিতার আদর্শে গড়া রাজনৈতিক মেধাবী পরিশ্রমী নেতা গোলাম মাহফুজ চৌধুরী অবসর ও তার পারিবারিক ইতিহাস উদঘাটনে প্রতিবেদকের অনুসন্ধান মূলক প্রতিবেদনে বেড়িয়ে এসেছে আরও অসংখ্য কিছু অজানা ইতিহাস। যা যুদ্ধাপরাধী আব্দুল আলীমের শাসনামলেও কি ঘটেছিল এ জয়পুরহাট জেলায় যা দ্বিতীয় পর্বের প্রতিবেদনে প্রকাশ করা হবে। দ্বিতীয় পর্বের প্রতিবেদনটি জানাতে দৈনিক সূর্যোদয়ের সাথেই সাথেই থাকুন