
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মাদরাসার অফিস সহকারির হাতে মারপিটের শিকার হয়েছেন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এক প্রধান শিক্ষক। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও দুইজন ইউপি চেয়ারম্যানের
উপস্থিতিতে গতকাল বুধবার বিকালে এ ঘটনা ঘটে। আজ বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) এ ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী।
বিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তিদের সাথে কথা বলে জানা যায়,গত বুধবার বিকালে উপজেলার শালিয়াবহ চৌরাস্তা পাবলিক উচ্চ বিদ্যারয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নির্বাচন করতে সভা ডাকেন প্রধান শিক্ষক আবু হানিফ। ওই সভায় ঘাটাইল উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শফিকুল ইসলাম,রসুলপুর ইউনিয়নের
চেয়ারম্যান এমদাদ সরকার এবং লক্ষিন্দর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান একাব্বর আলীসহ বিদ্যালয়ের অভিভাবক ও অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত হন। সভার শুরুতে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সরকারি বিধি মোতাবেক কিভাবে সভাপতি নির্বাচিত হবেন এ নিয়ে আলোচনা শুরু করেন। আলাচনার এক পর্যায়ে স্থানীয় পেচারআটা মাটিয়াআটা দাখিল মাদরাসার অফিস সহকারি ও স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা (বিতর্কিত)মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ওরফে চুন্নু তার কথা থামিয়ে দেন। তিনি হাজী আব্দুল মজিদকে সভাপতি নির্বাচিত করার জন্য চাপ প্রয়োগ করেন। এ সময় সভায় উপস্থিত আব্দুল কুদ্দুস মিয়া তার কথায় সাড়া না দিয়ে বিধি মোতাবেক কমিটির সভাপতি নির্বাচিত করার প্রস্তাব দেন। এনিয়ে উভয় পক্ষের লোকজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। এক পর্যায়ে মাদরাসার অফিস সহকারি চুন্নু ক্ষিপ্ত হয়ে উক্ত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককের টেবিলে থাকা ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন সংক্রান্ত কাগজপত্রসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র ছিড়ে ফেলার চেষ্টা করেন । এতে প্রধান শিক্ষক বাধা দিলে তাকে মারপিট করেন এবং নির্বাচন সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ কাগজ ছিড়ে ফেলেন। এ নিয়ে এলাকায় স্থানীয় দুটি পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা দেখা দেয়। এ অবস্থায় ঘটনাস্থলে উপস্থিত মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার স্থানীয় ইউএনও কে বিষয়টি অবহিত করেন এবং সভাপতি নির্বাচন স্থগিত করে চলে আসেন।এ ব্যাপারে রসুলপুর ইউপি চেয়ারম্যান এমদাদ সরকারের সাথে মুঠোফোনে কথা বললে,তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন,ঘটনাটি অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শফিকুল ইসলাম জানান,ঘটনাটি আমার উপস্থিতিতে ঘটেছে। আমি বিষয়টি উপজলা নিবার্হী অফিসারকে জানিয়েছি।
ঘটনার ব্যাপারে অভিযুক্ত অফিস সহকারি মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ চুন্নুর মোবাইল (০১৭১৩৫৬২৫৬৮) নম্বরে যোগাযোগ করলে,রিং হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
প্রধান শিক্ষক আবু হানিফ জানান,অফিসের কাগজপত্র ছিড়ে ফেলা ও আমাকে মারপিটের ঘটনাটি সত্য। এ বিষয়ে ঘাটাইল থানায় সাধারণ ডায়রি করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসারও
বিষয়টি অবগত আছেন।এদিকে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে এ ঘটনার প্রতিবাদে বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে মানববন্ধন করেছে বিদ্যালয়ের শিক্ষক,শিক্ষার্থী ও
এলাকাবাসী। বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ঘাটাইল উপজেলার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকও এ ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন
এ জাতীয় আরো খবর..
טיפול בבעיות אין אונות פ”ת נערות ליווי
I’m really impressed with your writing skills as well as with the layout on your blog.
Is this a paid theme or did you customize it yourself? Anyway keep up the nice quality writing,
it’s rare to see a nice blog like this one today.