ফিরোজ,বাউফল প্রতিনিধি:
পটুয়াখালীর বাউফলে একই পরিবারের চারজনকে ঘুমের ঔষধ খাইয়ে এক গৃহবধূ ও ১৩বছর বয়সী কিশোরী মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার রাতে এ ঘটনা ঘটে উপজেলার চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নে। রবিবার (২৭সেপ্টেম্বর) স্থানীরা অভিযুক্ত মো. জসিম উদ্দিনকে (৩১) আটক করে বাউফল থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। জসিম উদ্দিন চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের ৯ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. আলী হোসেনের ছেলে।
পরিবার ও স্থানীয় সূত্র জানায়, শনিবার ওই গৃহবধূ’র বাড়িতে মেহমান আসে। দুপুরের খাওয়া ধাওয়ার পরে তাঁরা চলে যায়। বিকালে জসিম পিছনের দরজা দিয়ে ঘরে ঢুকে। বিষয়’টা মেয়ের নজরে আসলে মাকে জানায়। তখন গৃহবধূ পিছনের দরজা দিয়ে ঘরে ঢোকার কারন জানতে চায়।
তখন জসিম হাস্যরসিক সূরে বলেন, মেহমানদের খাওয়াও, আমারে খাওয়াও না’ একথা বলে চলে যায়।
ওই দিন (শনিবার) রাতে খাবার খেয়ে ওই পরিবারের চারজন সদস্য ঘুমে অচেতন হয়ে পরে। সকালে শাশুড়ি এসে সকলকে অসুস্থ্যাবস্থায় দেখলে ডাক চিৎকার শুরু করে।
পরে স্থানীয়রা তাদের বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। ওই গৃহবধূর ভাষ্যমতে, জসিম উদ্দিনকে স্থানীয়রা আটকে করে বাউফল থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।
ওই গৃহবধূর স্বামী বলেন,‘ আমি নদীতে মাছ ধরতে গেছিলাম।
এই সুযোগে জসিম আমার স্ত্রীসহ তিন ছেলে-মেয়েকে ঘুমের ঔষধ খাইয়ে আমার স্ত্রীর সাথে অপকর্ম করে। মেয়ের বিষয়ে বলেন- বাবা হিসাবে আমি একথা ক্যামনে মূখে আনি। তিনি বলেন, আমি বিচারের জন্য থানা মামলা করবো। গৃহবধূ চিকিৎসাধীণ থাকায় কথা বলা সম্ভব হয়নি।
চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি আলমগীর বলেন,‘ জসিম একজন খারাপ লোক। তাঁর বিরুদ্ধে এজাতীয় একাধিক অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে।
চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়ন চেয়ারম্যান এনামুল হক আলকাছ বলেন, ওই পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে জসিমকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।
এবিষয়ে বাউফল থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন,‘ অভিযুক্ত জসিম আমাদের হেফাজতে আছেন। বিষয়’টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।