হাজী মুক্তার নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
FacebookTwitterShare
ঘূর্ণিঝড় ইয়াস এর আঘাত থেকে মানুষের জান-মাল ও প্রাণিসম্পদ রক্ষায় আগাম প্রস্ততি নিতে শুরু করেছে ভোলা জেলা ও জেলার অন্তর্গত বিভিন্ন উপজেলা প্রশাসন। প্রস্তুত রাখা হয়েছে জেলার ৭০৯টি আশ্রয়কেন্দ্র।
মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীর মধ্যবর্তী অর্ধশতাধিক চর থেকে ৩ লাখ ১৮ হাজার মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে আনার জন্য প্রস্তুত রয়েছে প্রায় ১৩ হাজার সিপিপি’র স্বেচ্ছাসেবী, পুলিশ, কোস্টগার্ড, গ্রাম পুলিশ ও আনসার ভিডিপি।
৮টি কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের পাশাপাশি বাতিল করা হয়েছে সরকারি কর্মকর্তা, কর্মচারীদের ছুটি।
Surjodoy.com
সোমবার (২৪ মে) সকাল থেকে মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীর পাড়ের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার খবর প্রচার করতে দেখা যায় সিপিপির স্বেচ্ছাসেবীদের। তারা মেঘনা পাড়ের বসতি এলাকা ও মাছঘাটগুলোতে হ্যান্ডমাইকে সর্তক বার্তা প্রচারের পাশাপাশি সবাইকে নিরাপদে যাওয়ার প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানান।
একই সময়ে কোস্টগার্ড বিভিন্ন ঘাটে উপস্থিত হয়ে জেলেদের সাগর ও গভীর নদীতে মাছ ধরতে না যাওয়ার প্রচারণা চালিয়েছে। সর্তকতা সংকেত প্রচার করেছে জেলা তথ্য অফিসও।
The Daily surjodoy
এর আগে বুধবার সন্ধ্যায় ঘূর্ণিঝড় ইয়াস আঘাত হানার সম্ভাবনা থাকায় প্রস্তুতি সভা করেছে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থা কমিটি। সভা থেকে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের জনপ্রতিনিধিসহ সরকারি কর্মকর্তাদের প্রস্তুতি গ্রহণের নির্দেশ দিয়ে সকলের কর্মস্থলে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন জেলা প্রশাসক মো. তৌফিক ইলাহী চৌধুরী।
The Daily surjodoy
এ নির্দেশনার পরপরই উপজেলা পর্যায়ে জরুরি সভা করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় দুইভাগে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ঝড়ে আগে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার বাসিন্দাদের আশ্রয়কেন্দ্রে আনতে কেন্দ্রভিত্তিক কমিটি গঠন, চরাঞ্চলের মানুষদের মূল ভূখণ্ডে আনার জন্য ৪০টি স্থান নির্ধারণ করে স্বেচ্ছাসেবী প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ঝড়ের পরে উদ্ধার কাজের পাশাপাশি পরিস্থিতি মোকাবিলায় ৭৬টি মেডিকেল টিম ও ২০০ কমিউনিটি ক্লিনিক প্রস্তুত রাখা হয়েছে। মজুদ রাখা হয়েছে জরুরি ত্রাণ সামগ্রী।
The Daily surjodoy
এদিকে ভোলায় এখন পর্যন্ত ইয়াস এর কোনো বিরূপ প্রভাব দেখা যায়নি। তবে মেঘনা-তেঁতুলিয়া নদী কিছুটা উত্তাল হতে শুরু করেছে। সকাল থেকে আবহাওয়াও ছিল রৌদ্রোজ্জ্বল। তাপদাহ ছিল বিগত কয়েক দিনের মতোই তীব্র। স্থানীয়রা জানিয়েছে ঘূর্ণিঝড়ের সঙ্গে জলোচ্ছ্বাস হলে ভোলার সাগরকুলের ঢালচর, চর কুকরীমুকরী, চর নিজাম, চরপাতিলা,
চর জহির উদ্দিন, চর মোজাম্মেল, মদনপুর, মাঝের চর, নজরুল নগর, চর কচুয়াখালীসহ অর্ধশতাধিক চর তলিয়ে যেতে পারে। এতে মানুষের পাশাপাশি গবাদিপশু ও ফসলের ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।
প্রতিষ্ঠাতা : মেজর (অব) মোঃ মোদাচ্ছের হোসাইন, সম্পাদক মন্ডলির সভাপতি: বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান আহমেদ এমপি, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: তৌহিদ আহমেদে রেজা, বার্তা সম্পাদক: আসমা আহমেদ কর্তৃক ৫৪ কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ সৈয়দ ভবন, ঢাকা-১২১৩ থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত
© All rights reserved 2020 Daily Surjodoy