মোঃ মাসুদ রানা
ঘূর্ণিঝড় রিমালের তান্ডবে কলাপাড়াতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিধ্বস্ত হয়েছে অংসখ্য বসত ঘর। খোলা আকাশের নিচে দিন কাটাচ্ছে অনেক পরিবার। এছাড়া কৃষি ও মৎস্য খাতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
রবি ও সোমবার দুই দিন পটুয়াখালীর উপকূলে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় রিমাল। এখনো বৃষ্টি হচ্ছে উপকূেলর বিভিন্ন এলাকায়। পানিবন্দি রয়েছে হাজারো পরিবার। কলাপাড়ায় স্রোতের তোপে ভেসে গিয়ে শরীফ নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। উপজেলায় দুর্গত মানুষের সংখ্যা ৭৫ হাজার ১৩০ জনে দাঁড়িয়েছে। সম্পূর্ণ বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে ১৪০টি এবং আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে ৬২০টি। এছাড়া
পূর্ব গৈয়াতলা, লেমুপাড়া, চম্পাপুর, মঞ্জুপাড়া, মুন্সী পাড়া, নিজামপুর, জালালপুর, ধূলাসার, বালিয়াতলি, দেবপুর, নাচনাপাড়া, বড় কলবাড়ি, খ্রিস্টান পাড়া, চরান্ডা, চর মোন্তাজ, চালিতবুনিয়া, বড় বাইশদিয়া বেড়িবাঁধের ২২ টি স্পটে ৯.১৯ কি. মি. বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভেসে গেছে ২৪৬৫ টি পুকুর এবং ৭৭৮ টি ঘেরের মাছ। ২০ হাজার হেক্টর আবাদী জমি পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কৃষকের করলা, ঝিঙ্গা, ঢেঁড়স, পুঁই শাক, কলমী শাক, চিচিঙ্গা, শসা, কলা ও আমের বাগান। প্রাথমিকভাবে মোট ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় সাড়ে ২৫ কোটি টাকা।
বন্যা দুর্গত অসহায় মানুষ সহয়তার দাবি জানিয়েছেন। মধ্যবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের অনেকে আছে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েও কারো কাছ থেকে কিছু চেয়ে নিবে তাও পারতেছে না। বর্তমানে তাদের জীবন খুবই দুর্বিষহ অবস্থায় কাটতেছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার বিষয়ে সর্বোচ্চ পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। ইতমধ্যে বরাদ্ধ পাওয়া গেছে ২৫০ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য, নগদ ১২ লক্ষ টাকা, ১ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবারের।
তবে ঘূর্ণিঝড় রেমালের তান্ডবের দুর্গত সকল মানুষের সহায়তায় এগিয়ে আসবে সরকার এমন প্রত্যাশা বন্য কবলিত ক্ষতিগ্রস্ত ও অসহায় সকল মানুষের।