
কামাল উদ্দিন, চকরিয়া-পেকুয়া(কক্সবাজার) প্রতিনিধি:
চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের মালুমঘাট-১নং রিংভং সোয়াজানিয়া এলাকায় আওয়ামীলীগ নেতা হেলালের উপর সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে সন্ত্রাসীরা। হামলার শিকার হেলাল বলেন, হামলাকারীদের চাওয়া চাঁদা না দেয়ায় তার উপর এ হামলা চালিয়েছে সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় চকরিয়া থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছে হামলার শিকার হেলাল উদ্দিনের (৩৩) পরিবার।
হেলাল উদ্দিন চকরিয়া উপজেলার চিরিঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের চলতি কমিটির যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক ও সওদাগরঘোনা গ্রামের হাজী নজু মিয়ার পুত্র। তিনি তার মাছের ব্যাবসার সুবাদে গত কয়েক বছর আগে থেকেই ওই এলাকায় অল্প কিছু জমি ক্রয় করে তার স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে স্থায়ী বসতি গড়তে সোয়াজানিয়ায় একটি পাকা বাড়ী নির্মান করে আসছে। বাড়ীর কাজও প্রায় শেষ।
সেই থেকেই রিংভং দক্ষিণ পাহাড় এলাকার কামাল হোসেনের পুত্র চিহ্নিত সন্ত্রাসী আমিন ও তার ভাই আরিফ প্রকাশ ভোলা শংকর চাদাঁ দাবী করে আসছে। সূত্রমতে, ঘটনার দিন ১৮ এপ্রিল রাত ৮টা নাগাদ আওয়ামিলীগ নেতা হেলাল তার নিজস্ব বাইক নিয়ে বাড়ী যাওয়ার পথে সোয়াজানিয়া মাদ্রাসা বাজার এলাকায় পথরোধ করে তার উপর আমিন, ভোলা শংকর ও তাদের অপরাপর ভাই ছরওয়ার, দেলোয়ার ও আনোয়ার সহ ৬/৭জন লোক তাকে লাটিসোটা ও লোহার রড দিয়ে বেদম মারধর করে দু হাত থেতলে দিয়ে এক পর্যায়ে ধারালো ছুঁরি দিয়ে তার পিটে ভয়ানক জখম করে। এ সময় হেলাল মাটিতে লুটে পড়লে তার পকেট থেকে মাছের ব্যাবসার গচ্ছিত অন্তত ৩২ হাজার টাকাও ছিনিয়ে নেয় তারা।
পরে প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা এগিয়ে এসে তাকে হাসপাতালে নেয়ার চেষ্টা করলেও লকডাউনের কারণে রাতে গাড়ী না পেয়ে ব্যার্থ হয়ে তাকে তার বাড়ীতে নিয়ে গিয়ে ফার্মেসী থেকে ঔষুধপত্র এনে সেবন করান। এ সময় স্থানীয় গণ্যমাণ্য লোকজন হেলালের বাড়ীতে বসে দু পক্ষকে নিয়ে একটি শালিসি বৈঠকের মাধ্যমে বিষয়টি নিষ্পত্তি করার চেষ্টা করলেও ফের সন্ত্রাসীরা হেলালের বাড়ীর আশপাশে এসে বেশ কয়েকরাউন্ড ফাকাঁ গুলি বর্ষণ করে এলাকায় আতংক সৃষ্টি করে বলে জানান স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুল গনি।
এ সময় হেলালকে বাড়ীতে দেখতে যান ওই এলাকার আওয়ামীলীগ নেতা জাফর, আবু সালাম, রহিম,রাজ্জাক, মিজান, ফকির সহ অনেকেই। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মাদ্রাসা বাজারের ব্যাবসায়ী মন্নান সওদাগর সহ অনেকেই। পরের দিন ১৯ এপ্রিল হেলালকে পরিবারের লোকজন চকরিয়া সরকারী হাসপাতালে এনে চিকিৎসা করান। এলাকার এমইউপি সদস্য রফিক মেম্বার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
ভোক্তভোগি হেলাল জানান, ইতিমধ্যেও বেশ কয়েকবার চাদাঁ দাবী করায় না দেয়াতে তার হেফজখানায় পড়ুয়া ১০ বছেরর শিশু ছেলে সাজ্জাদকে অপহরণ করার হুমকি দিয়েছে ওইসব সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় হেলাল প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছেন।
এ জাতীয় আরো খবর..
Leave a Reply