বাবু চৌধুরী -বিশেষ প্রতিনিধি
এশিয়ার ঐতিহ্য দীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জামেয়া আহমদিয়া সুন্নীয়া কামিল মাদ্রাসা’র হিফজ বিভাগের এক শিক্ষার্থী মাত্র আট মাসে পবিত্র কোরআন হিফজ (মুখস্থ) করেছেন। প্রখর মেধাবী এ শিক্ষার্থীর নাম মুহাম্মদ আরিফ উদ্দিন (আরাফ)।
সে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের হিফজ বিভাগের সিনিয়র শিক্ষক মাওলানা হাফেজ মো. ফারুক হোসেনের তত্ত্বাবধানে কোরআন হিফজ সম্পন্ন করে। হিফজ করার প্রাথমিক পাঠ (নাজেরা) শেষ করতে দুই মাসসহ সর্বমোট দশমাস সময় লেগেছে আরিফের।
সোমবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩ টায় হাফেজ মুহাম্মদ আরিফ উদ্দিনের জন্য দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে মাদরাসা কর্তৃপক্ষ। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ আল্লামা মুফতি সৈয়্যদ মোহাম্মদ অছিয়র রহমান আলকাদেরী।
জামেয়া অধ্যক্ষ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ দোয়া মাহফিলে হাফেজ মো. ফারুক, হাফেজ মো. সাদ্দাম হোসেন, হাফেজ মো. মুছা, হাফেজ মো. ফরিদ উদ্দিন, হাফেজ মো. ফরিদুল আলম, হাফেজ মো. ওবায়দুল্লাহ, হাফেজ মো. কাসেম, হাফেজ মো. আবদুল লতিফ, আরাফ উদ্দিনের বাবা মুহাম্মদ লোকমান ও অফিস সহকারী মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম ও মুহাম্মদ আরমান উপস্থিত ছিলেন।
দোয়া মাহফিল শেষে বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করেন জামেয়া আহমদিয়া সুন্নীয়া কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ আল্লামা মুফতি সৈয়্যদ মোহাম্মদ অছিয়র রহমান আলকাদেরী।
জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া কামিল মাদরাসার শিক্ষকরা জানিয়েছেন, কোরআন হিফজের প্রতি প্রবল আকর্ষণ ও আন্তরিকতা থাকার কারণে স্বল্প সময়ে সম্পূর্ণ কোরআন মুখস্ত করতে সক্ষম হয়েছে ১২ বছরের আরিফ। সে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি থানার বখতপুর গ্রামের ছিদ্দিক আহমদ বাড়ির পিতা মো. লোকমান ও মাতা রেনুকা আকতারের প্রথম সন্তান।
উল্লেখ্য, জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়া ১৯৫৪ সালে অলিয়ে কামেল হযরতুলহাজ্ব আল্লামা হাফেয ক্বারী সৈয়্যদ আহমদ শাহ্ সিরিকোটি (রহ.) এর হাতে প্রতিষ্ঠার পর থেকে দেশ-জাতি, মাযহাব-মিল্লাতের ব্যাপক অবদান রেখে আসছে। দেশের বৃহত্তম ধর্মীয় সংস্থা আনজুমান এ রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত এই মাদরাসাটি এশিয়ার একটি শ্রেষ্ঠ ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসাবে সরকারিভাবে স্বীকৃতি ও স্বর্ণ পদক অর্জন করেছে।