চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে পাঁচ অপহরণকারীকে গ্রেফতার করেছে । ১৮ জানুয়ারি তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত অপহরণকারীরা হলেন- আমিনুল ইসলাম শরীফ (২২), তোফাজ্জল হোসেন হৃদয় (২২), মোঃ হৃদয় (২২), মোঃ মিনহাজুল আবেদীন মারুফ (২২), ও ওয়াজেদ হোসেন টিটু (২২)
বায়েজিদ বোস্তামী থানা সূত্রে জানা যায়, গত ১৭ জানুয়ারি রাত পৌনে দশটার সময় ষোলশহর ২নং গেইট হতে টাইলস মিস্ত্রী আরাফাত রহমান সানি (৩২) কর্মস্থল থেকে বাসায় আসার পথে একজন অজ্ঞাতনামা মহিলা নিজেকে অসুস্থ দাবী করে আরাফাত রহমান সানির কাছে আকুতি মিনতি করে এবং তাকে রৌফাবাদ পৌঁছাইয়া দেওয়া অনুরোধ করে। মহিলার অনুরোধে সানি সিএনজি অটোরিক্সা করে মহিলাকে ষোলশহর ২নং গেইট থেকে রৌফাবাদ উত্তর গেইট দেওয়ার সময় সুমন ও অজ্ঞাতনামা ৪ জন সানিকে জোরপূর্বক অপহরণ করে বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন এশিয়াটিক কটন মিলের ভিতরে হারুনের বাড়ীর পশ্চিম পাশে ২য় তলার ঘরের ছাদের উপর নির্জন স্থানে নিয়া যায়। পরবর্তীতে তাদের সহযোগী আরো ৬ জন উক্ত স্থানে এসে সানিকে মারধর করে তার কাছে থাকা নগদ টাকা, স্বর্ণের ১টি আংটি ও ঘড়ি জোরপূর্বক নিয়া যায়ো ও ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ বাবদ দাবী করে। সেসময় সানির পরিচিত এলাকার বড় ভাই বাবু আহমেদ (৩৩) কে ঘটনার বিষয়টি জানালে বাবু মুক্তিপণ বাবদ ২০ হাজার টাকা নিয়ে ঘটনাস্থলে আসেন। তখন অভিযুক্তরা তাকেও আটক করে ২০ টাকাসহ তার কাছে থাকা নগদ ১২হাজার টাকা ও তাহার বিকাশ মোবাইল নং-০১৮৬১-৩৪৭৬৪২ নম্বরে থাকা ৬ টাকা ক্যাশ আউট করিয়া জোরপূর্বক নিয়া যায়। সানি ও বাবু তাদের কাছে আর টাকা নাই বলে জানালে অভিযুক্তরা তাদেরকে উক্ত বিষয়ে কোন প্রকার মামলা মোকদ্দমা না করার জন্য ভয়ভীতি প্রদান করে ছেড়ে দেয়। পরের দিন ১৮ জানুয়ারি বিকালে সানি বায়েজিদ বোস্তামী থানায় এসে ঘটনার বিষয়টি জানাইলে টহল পুলিশ ও একটি আভিযানিক দল বাদীকে নিয়ে অভিযান পরিচালনা করে বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন এশিয়াটিক কটন মিলের প্রাণ কোম্পানীর গাড়ী ওয়াশিংয়ের পশ্চিম পাশে পরিত্যাক্ত ভবনের সামনে বারান্দা থেকে জোরপূর্বক নেওয়া ১১ হাজার ৯ শত টাকাসহ আমিনুল ইসলাম শরীফ (২২), তোফাজ্জল হোসেন হৃদয় (২২), মোঃ হৃদয় (২২), মোঃ মিনহাজুল আবেদীন মারুফ (২২), ও ওয়াজেদ হোসেন টিটু (২২) গ্রেফতার করে । পলাতক অভিযুক্তদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে অভিযান অব্যহত আছে।