
নিজস্ব প্রতিবেদক
চট্টগ্রামে ‘কিশোর গ্যাং’-এর অপতৎপরতা আবারও বেড়েছে। নির্বাচনের আগে পুলিশি অভিযানের কারণে কিছুটা কমলেও নির্বাচন শেষ হওয়ার পর চক্রটি আবারও সক্রিয় হয়ে উঠেছে। নগরীর বিভিন্ন স্থানে চক্রের সদস্যরা নানা অপকর্ম করছে। মাদক ব্যবসা-চাঁদাবাজিসহ আধিপত্য বিস্তার ও এলাকা নিয়ন্ত্রণে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের ব্যবহার করা হচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে, কিছু কিছু ক্ষেত্রে বড় ভাই তথা দলীয় আশ্রয়-প্রশ্রয়ের কারণে এ চক্রের সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বেগ পেতে হয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে। নগরীর চট্টেশ্বরী রোডে ১ ফেব্রুয়ারি কিশোর গ্যাংয়ের দুই গ্রুপে মারামারি হয়। লাঠিসোটা নিয়ে এক গ্রুপ আরেক গ্রুপের ওপর হামলা করে। এতে কয়েকজন আহত হয়। তবে এ ঘটনায় থানায় কোনো পক্ষ অভিযোগ না করায় পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
নগরীর অলিগলির সিসিটিভি ক্যামেরাগুলোতে ধরা পড়ছে একের পর এক কিশোর গ্যাংয়ের ত্রাসের রাজত্ব। কোথাও প্রকাশ্যে মারামারি করছে, কোথাও প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে অংশ নিচ্ছে হানাহানিতে। আবার কোথাও টার্গেট কিলিংয়ে তারা ব্যবহৃত হচ্ছে। নগরীতে এ ধরনের ৫০ টির বেশি কিশোর গ্রুপের আধিপত্য রয়েছে। গত কয়েক মাসে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিশেষ অভিযানে গ্যাংভুক্ত শতাধিক কিশোরকে আটক করা হয়েছে। নতুন নতুন গ্রুপ, উপ-গ্রুপ তৈরি হচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনের আগে পুলিশি তৎপরতায় কিশোর গ্যাংয়ের অপতৎপরতা কমে গিয়েছিল। নির্বাচনের পরে পুলিশি তৎপরতা একটু কমে এলেও আবার বেড়েছে এ গ্রুপের অপতৎরতা। মেয়েদের ভ্যানিটি ব্যাগ ও মোবাইল ফোন ছিনতাইয়ের অধিকাংশ ঘটনায় কিশোর অপরাধীরা জড়িত। নিজ এলাকার মধ্যেই এরা নানা অপরাধ কর্মকাণ্ড চালিয়ে থাকে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে কিশোর সন্ত্রাসীদের অধিকাংশই অপরিচিত মুখ। যে কারণে গ্রেফতার কিংবা আটকে শতভাগ সফল হচ্ছে না আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
সন্ধ্যার পর নগরীর চকবাজার, বহদ্দারহাট, নগরীর স্টেশন রোড, বিআরটিসি মোড়, কদমতলী, মেডিকেল হোস্টেল, শিল্পকলা একাডেমি, খুলশি, ফয়েস লেক, ডেবারপার, চান্দগাঁও শমসেরপাড়া, ফরিদেরপাড়া, আগ্রাবাদ সিজিএস কলোনি, সিডিএ, ছোটপুল, হালিশহর, বন্দর কলোনি ও পতেঙ্গার বেশ কয়েকটি এলাকায় মাদক বেচাকেনা, মোটরসাইকেল ও সাইকেল ছিনতাই করছে তারা।এছাড়াও কথায় কথায় খুন, অস্ত্রের ব্যাবহার এ যেনো নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।বিশেষজ্ঞ মতে খুব শিঘ্রই এসব কিশোর গ্যাং ও মাদকসেবীদের থামাতে না পারলে চট্টগ্রামের অবস্থ্যা আরো অবনতি হবে।
এ জাতীয় আরো খবর..
Leave a Reply