রফিক তালুকদার, চট্টগ্রাম থেকে 

বিস্ফোরণে উড়ে গেছে সিএনজি রি-ফুয়েলিং ষ্টেশনেের অফিস রুম ও টিনশেড। ভেঙে গেছে অফিসের গ্লাস। তবে কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

সোমবার (২৩ আগস্ট) রাত সাড়ে ৮টার দিকে দক্ষিণ চট্টগ্রামের  কর্ণফুলী উপজেলার বড়উঠান এলাকায় অবস্থিত ফোর স্টার সিএনজি রি-ফুয়েলিং স্টেশন (ইউনিট-২)এ গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

হঠাৎ বিকট শব্দে বিস্ফোরণের পর স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।  সৃষ্টি হয় পিএবি সড়কের বড়উঠান হইতে চাতরী চৌমুহনী পর্যন্ত তীব্র যানজটের, ফলে  চরম ভোগান্তি পোহাতে হয় ব্যাস্ততম এ রুটের যাত্রী সাধারণের।

এক সিএনজি অটোরিকশা চালক বলেন, ফোর স্টার সিএনজি ষ্টেশনে গাড়িতে গ্যাস রি-ফুয়েলিংয়ে ব্যবহৃত সব পাইপ ও যন্ত্রাংশ পুরনো। এ কারণে মাঝে মধ্যে এ রকম দুর্ঘটনা ঘটে।

রি-ফুয়েলিং ষ্টেশনের মালিক মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ষ্টেশনের ইঞ্জিনের একটি স্টেজ বাল্ব ভেঙে গেছে। এতে বিকট আওয়াজ হলে স্থানীয়রা এখানে এসে ভিড় করে। মেশিনের প্রেসারের কারণে এ দুর্ঘটনা হতে পারে। এটা টেকনিক্যাল বিষয়।

এ ব্যাপারে বড়উঠান ইউপি চেয়ারম্যান দিদারুল ইসলাম বলেন, ফোর স্টার সিএনজি স্টেশনটির বৈধ কাগজপত্র না থাকায় কিছুদিন আগে কর্ণফুলী গ্যাস কোম্পানি তাদের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছিল। তাদের মন্ত্রণালয়ের কোনো বৈধ কাগজপত্র নেই। কর্ণফুলী গ্যাস কোম্পানিকে ম্যানেজ করে তারা অবৈধভাবে গ্যাস রি-ফুয়েলিং ব্যাবসা চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের পরিবেশ ছাড়পত্রও নেই।

কর্ণফুলী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দুলাল মাহমুদ বলেন, ফোর স্টার সিএনজি ষ্টেশনে  সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি। তাদের অফিসের কিছু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহিনা সুলতানা বলেন, ফোর স্টার সিএনজি রি-ফুয়েলিং ষ্টেশনের বিরুদ্ধে আগে থেকেই অনেক অভিযোগ ছিল। করোনাকালে গ্যাস দেওয়া বন্ধ রাখার সরকারি ঘোষণা তোয়াক্কা না করে তারা রাতে গ্যাস বিক্রি করেছে। তাদের কাগজপত্র যাচাই করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।