তিনি আর বলেন, ‘থানার গেটে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে দায়িত্ব পালনে অবহেলা, দুর্ব্যবহার করাসহ ক্ষেত্র বিশেষে আসামি বা তার স্বজনদের বিশেষ সুবিধা দেওয়ার অভিযোগ আসে। এ ছাড়া নারী ও শিশুদের অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে কি না, ডিউটি অফিসারের কক্ষে একই লোক বারবার আসছে কি না, সেবাপ্রার্থীদের সঙ্গে সেন্ট্রি কেমন আচরণ করছেন, সেন্ট্রি রাতে কলাপসিবল গেটে তালা দিয়ে ভেতরে বসে আছেন কি না ইত্যাদি বিষয় মনিটরিং করা হয়।’
পুলিশ কমিশনার আরও বলেন, ‘আমার পাশাপাশি জোনের ডিসিরাও এসব মনিটরিং করেন। এছাড়া কন্ট্রোল রুমে দায়িত্বপ্রাপ্ত লোক আছে। তারা কোনও অসঙ্গতি দেখলে তা সঙ্গে সঙ্গে ওই থানায় ইনফরম করেন। ক্ষেত্র বিশেষে আমাকেও জানানো হয়। শুধু এসব দৃশ্য চোখেই দেখছি তা নয় কিন্তু, দর্শনার্থীর সঙ্গে কী ধরনের আচরণ করা হচ্ছে তা-ও মনিটর করা হচ্ছে। আপাতত ভিডিওয়ের মাধ্যমে মনিটরিং করা হলেও সামনে থানার প্রত্যেক রুমে যেখানে সেবা প্রার্থী ও আসামির অবস্থান থাকবে এবং অফিসারদের রুমে ক্যামেরার পাশাপাশি অডিও শুনা যায় মত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সিএমপি কমিশনারের এ কার্যক্রমকে সাধুবাদ জানিয়ে সুশাসনের জন্য নাগরিক—চট্টগ্রামের সম্পাদক অ্যাডভোকেট আখতার কবীর চৌধুরী বলেন, ‘আমি শুনেছি বর্তমান পুলিশ কমিশনার খুবই দক্ষ ও একজন সৎ মানুষ। তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে পুলিশে পেশাদারিত্ব আনার চেষ্টা করছেন। এখন যে থানার কার্যক্রম সিসি ক্যামেরায় মনিটরিং করছেন তা অবশ্যই প্রসংশনীয় উদ্যোগ। পুলিশ রাষ্ট্রযন্ত্রেরই অংশ। তাই রাষ্ট্রের অংশ হিসেবে পুলিশ নাগরিকের সেবা নিশ্চিতে বদ্ধপরিক। সেই সেবা পেতে জুনিয়রদের কাছ থেকে সেবা প্রার্থীরা কেমন সেবা পাচ্ছেন তা যদি সিনিয়ররা মনিটরিং করে থাকেন সেক্ষেত্রে সেবার মান অবশ্যই বাড়বে।’
প্রতিষ্ঠাতা : মেজর (অব) মোঃ মোদাচ্ছের হোসাইন, সম্পাদক মন্ডলির সভাপতি: বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান আহমেদ এমপি, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: তৌহিদ আহমেদে রেজা, বার্তা সম্পাদক: আসমা আহমেদ কর্তৃক ৫৪ কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ সৈয়দ ভবন, ঢাকা-১২১৩ থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত
© All rights reserved 2020 Daily Surjodoy