সোমেন সরকার
প্রাচীনকালের একটি প্রবাদ প্রয়োজন মানেনা নিয়মের মত রোজকার জীবনের তাগিদ মেটাতে চট্টগ্রামে দ্বিতীয় দফার সর্বাত্মক লকডাউন অনেকটা ঢিলেঢালাভাবেই শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে নগরের বিভিন্ন সড়কে প্রাইভেটকার, ভাড়ায় মোটরসাইকেল, রিকশা ও কিছু সিএনজি অটোরিকশা চলতে দেখা গেছে।পোশাকশ্রমিকসহ বিভিন্ন কারখানার লোকজন সকাল থেকে গন্তব্যে পৌঁছার জন্য রাস্তায় জড়ো হয়। কাজের সন্ধানে থাকা নিম্নআয়ের লোকজনকেও দেখা গেছে সড়কে সড়কে।
লকডাউন সফল করতে নগরের কোনো কোনো পয়েন্টে পুলিশের তৎপরতাও ছিল চোখে পড়ার মতো। করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি বিবেচনায় গেল ৫ এপ্রিল শুরু হয় এক সপ্তাহের বিধিনিষেধ। পরে সেটি আরও দুইদিন বাড়ানো হয়। এরপর আসে এক সপ্তাহের কঠোর লকডাউন, যেটা বাড়ানো হয়েছে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত।
জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সুপারিশ ছিল, লকডাউন আরও এক সপ্তাহ বাড়ালে করোনার বর্তমান চেইনটা ভেঙে দেওয়া সম্ভব হবে এবং সংক্রমণ হবে নিম্নগামী। সেটা বিবেচনায় নিয়েই ২২ থেকে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউনের সময় বাড়ায় সরকার। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন থেকে জানানো হয়েছে, দ্বিতীয় দফা লকডাউন কার্যকরেও নেওয়া হয়েছে নানা পদক্ষেপ। এ জন্য নগরজুড়ে মাঠে আছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা। এর মধ্যে নগরীর তিনটি প্রবেশ পথেও তারা দায়িত্ব পালন করছেন। লকডাউন অমান্য করলে ব্যবস্থা নিবেন তারা।
এবারের লকডাউনে রেড ক্রিসেন্টকেও যুক্ত করা হয়েছে।নগরের অভ্যন্তরীণ সড়কে চলছে না কোনো গণপরিবহন। বন্ধ আছে আন্তঃজেলা বাস চলাচল। রেল চলছে কেবল মালবাহী। মার্কেট বন্ধ থাকলেও জরুরি ও নিত্যপণ্যের দোকান খোলা রয়েছে যথারীতি।চার প্রবেশপথ অক্সিজেন, নতুন ব্রিজ, কাপ্তাই রাস্তার মাথা ও সিটি গেটে গিয়ে দেখা যায়, কড়া চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি করছে পুলিশ। জরুরি প্রয়োজনে ব্যক্তিগত গাড়ি ছাড়া কোনো গণপরিবহনকেই নগরে প্রবেশ ও বের হতে দেওয়া হচ্ছে না।এছাড়া নগরের ব্যস্ততম বহদ্দারহাট, ২ নম্বর গেট, জিইসি, আগ্রাবাদ, ইপিজেড, নিউ মার্কেট, আন্দরকিল্লা, চতবাজার, বাকলিয়া,
মুরাদপুর, অলংকার, বড়পুলো— সব এলাকাতেই ঢিলেঢালা লকডাউন। এসব এলাকার সড়কে গণপরিহন না চললেও প্রচুর ব্যক্তিগত গাড়ি, মাইক্রো ও মোটরবাইক চলাচল করতে দেখা যায়। ট্রাফিক পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, গণপরিবহন না চললেও সড়কে প্রচুর পরিমাণে ব্যক্তিগত গাড়ি, মোটরসাইকেল ও রিকশা চলছে। তবে আমরা সবার স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতে জোর দিচ্ছি।
Leave a Reply