সৌমেন সরকার :
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পেশাগত দায়িত্বপালনকালে এক সাংবাদিক হেনস্তার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা।এ ঘটনায় জড়িতদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত ক্লাস বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে সাংবাদিকতা বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থীরা।
রবিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বুদ্ধিজীবী চত্বর এলাকায় এই মানবন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে একাত্মতা পোষণ করে যোগ দেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (চবিসাস) নেতৃবৃন্দ।শিক্ষার্থীরা বলেন, কিছুদিন আগে আমাদের বিভাগের শিক্ষার্থী মারজান আক্তারকে তার পেশাগত দায়িত্বপালনকালে ‘তোর নিরাপত্তা কে দেয় দেখব’ মর্মে হুমকি দেয়া হয়েছে৷ হুমকিদাতারা এখনও ক্যাম্পাসেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পরিস্থিতি এমন যে তাকে হুমকিদাতারা যেকোনো সময় যেকোনো কিছু করে ফেলতে পারে। এই অবস্থায় তাকে নিরাপত্তাহীনতায় রেখে আমরা ক্লাস করতে পারি না। তাই আমরা ক্লাস বর্জনের ঘোষণা দিয়েছি।যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ছাত্র উপদেষ্টা সহকারী অধ্যাপক রেজাউল করিম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সাংবাদিক স্বাধীনভাবে কাজ করবে এবং নানা সমস্যা ও অনিয়মগুলোকে তুলে ধরে বিশ্ববিদ্যালয়কে সামনের দিকে নিয়ে যাবে। কিন্তু ক্যাম্পাসের একজন নারী সাংবাদিক যদি তার কাজ করতে গিয়ে এ ধরণের বাধার সম্মুখীন হয়, এটা পুরো বাংলাদেশের সাংবাদিকতার জন্য হুমকিস্বরূপ। এজন্য আমি প্রশাসনের নিকট দাবি জানাব, এ ধরণের ঘটনা ঘটিয়েছে তাদেরকে দ্রুত সময়ের মধ্যে আইনের আওতায় নিয়ে এসে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
চবি সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মাহবুব এ রহমান বলেন, ক্যাম্পাসে প্রায় ২৮ হাজার শিক্ষার্থীর কণ্ঠস্বর হিসেবে কাজ করে গণমাধ্যম কর্মীরা। শিক্ষার্থীদের সুখ-দুঃখ ও হাসি-কান্নার সঙ্গী সাংবাদিকরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্ভাবনার গল্পের পাশাপাশি সব অনিয়ম ও দুর্নীতির খবরও উঠে আসে সাংবাদিকদের কলমে। পেশাগত দায়িত্বপালনকালে সাংবাদিকদের বাধা প্রদান করা মানে ক্যাম্পাসের ২৮ হাজার শিক্ষার্থীর টুটি চেপে ধরা। আমরা আজকের এই আন্দোলনে সংহতি জানাচ্ছি এবং দ্রুততম সময়ের মধ্যে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সভাপতি রওশন আক্তার, সহযোগী অধ্যাপক ফারজানা করিম, সহযোগী অধ্যাপক ড. শহীদুল হক, সহকারী অধ্যাপক সুবর্ণা মজুমদার, সহকারী অধ্যাপক খন্দকার আলী আর রাজী, সহকারী অধ্যাপক রেজাউল করিম, সহকারী অধ্যাপক রাজীব নন্দী।
এ ঘটনায় অভিযুক্তরা হলেন– ভিএক্স গ্রুপের অনুসারী ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের মারুফ ইসলাম, সমাজতত্ত্ব বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের মারুফ হাসান, বাংলা বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী তৌহিদুল হক ফাহাদ, একই শিক্ষাবর্ষের রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের শহীদুর রহমান স্বপন, ইতিহাস বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষাবর্ষের মিজানুর রহমানসহ আরও ১০-১৫ জন ছাত্রলীগ কর্মী।
প্রতিষ্ঠাতা : মেজর (অব) মোঃ মোদাচ্ছের হোসাইন, সম্পাদক মন্ডলির সভাপতি: বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান আহমেদ এমপি, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: তৌহিদ আহমেদে রেজা, বার্তা সম্পাদক: আসমা আহমেদ কর্তৃক ৫৪ কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ সৈয়দ ভবন, ঢাকা-১২১৩ থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত
© All rights reserved 2020 Daily Surjodoy