
বিশেষ প্রতিনিধিঃ
গত ১৮ই ডিসেম্বর আফসানা আক্তার স্মৃতি কে
নির্যাতনের মাধ্যমে হত্যা করে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে অপমৃত্যুর প্রচারের অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানালেন মামলার বাদী জোসনা বেগম।
আজ দুপুর ১ টায় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন হলে আফসানা আক্তার স্মৃতি র মা জোসনা বেগম ও এলাকাবাসী সাংবাদিক সম্মেলন করেন।
তিনি জানান আমার মেয়েকে শাহাদাত হোসেন রুবেল প্রেম করে বিয়ে করেছিল। এরপর থেকেই রুবেল যৌতুক চেয়ে বারবার আমার মেয়েকে চাপ সৃষ্টি করে আমরা কিছু টাকাও থাকে দিয়েছিলাম। অবশেষে গত ১৮ ডিসেম্বর আবারো যৌতুক চেয়ে আমার মেয়েকে চাপ সৃষ্টি করলে সে অপারগতা স্বীকার করে তখন আমার মেয়ের নির্যাতনের মাধ্যমে হত্যা করে রুবেল ও তার পরিবার। আমার মেয়েকে হত্যা র পরবর্তীতে আমার মেয়েকে চট্টগ্রাম পার্ক ভিউ প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি করে আমাকে ফোনের মাধ্যমে জানান আমার মেয়ে আত্মহত্যা করে আমরা চট্টগ্রাম পার্ক ভিউ হাসপাতালে নিয়ে আসি আপনি হাসপাতালে চলে আসেন। আমি হাসপাতালে গেলে তখন আমার মেয়ে আইসিইউতে রয়েছে বলে জানালে আমরা তাকে দেখার চেষ্টা করি দেখতে দেননি। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ২০শে ডিসেমব রাত দুইটা পঁয়তাল্লিশ মিনিটে আমার মেয়ে মৃত্যুবরণ করেছে বলে জানালে আমি তাৎক্ষণিক ঘটনাটি আকবর শাহ থানায় অবগত করি এবং থানা পুলিশ এসে আমার মেয়ের লাশের সুরতহাল করে। আমি আমার মেয়ের শ্বশুর বাড়ির আশেপাশে খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারি যে আমার মেয়ে ফাঁসিতে ঝুলেছিল এমনটা কেউ দেখেনি। আমি ৬ জনকে আসামি করে আকবর শাহ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করি গত ২১শে ডিসেম্বর। আমার লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে আকবর শাহ থানা মামলা গ্রহণ করে মামলার নাম্বার ৩১ তারিখ ২১/১২/২০২০।ধারা ১১/ক ৩০;২০০সালের নারী শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধনী রুজু করেন। আমার মেয়েকে হত্যা করা হলো যার চিহ্ন তার সারা শরীরে প্রমাণ আছে, এইদিকে হত্যা মামলাকে নারী নির্যাতন মামলা রুজু করেন এই নির্যাতন মামলা আমরা চাই না, আমার মেয়েকে হত্যা করেছে আমি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ তদন্ত পূর্বক হত্যাকারীদের শাস্তি চাই।
অথচ আমরা লিখিতভাবে আমার মেয়েকে হত্যা করেছে এই মর্মে অভিযোগ করি কিন্তু থানা নারী শিশু নির্যাতন এ মামলাটি গ্রহণ করে। এইদিকে মামলাটি প্রত্যাহার করার জন্য আমাদেরকে আসামি পক্ষ বারবার চাপ প্রয়োগ করে আসছে। আসামি রুবেল বলেন কোন লাভ হবে না আমাদের নামে মামলা করে থানাকে আমরা টাকা দিয়ে ম্যানেজ করেছি। এবং থানা আমাদের পক্ষে রিপোর্ট প্রদান করবে। পরবর্তীতে বিভিন্ন ভাবে জানতে পারি যে তার বোন জামাই অবৈধ ডলার ব্যবসায়ী তার সাথে থানার কিছু কর্মকর্তার সাথে বেশ সুসম্পর্ক রয়েছে তাদেরকে দিয়ে আগেই থানাকে ম্যানেজ করে রেখেছিল। আসামি রুবেল টাকা দিয়ে মামলাকে অপমৃত্যু বলে চালিয়ে দেয়া সকল প্রকার চেষ্টা করে যাচ্ছে। আমরা ঘটনা দায়িত্বরত কর্মকর্তা এসআই বদিউল আলম কে জানালেও কোন প্রতিকার পায়নি বরং থানা থেকে উল্টো আমাদের বলে তোমার মেয়ে ফাঁসি খেয়েছে নিজে।অবশেষে আমরা আইনের আশ্রয় নিতে আদালতে বিষয়টি আইনজীবীর মাধ্যমে জানাই সঠিক তদন্তের জন্য অন্য যে কোনো সংস্থার মাধ্যমে তদন্ত করার আবেদন আদালত গ্রহণ করে এবং পিবিআইকে মামলা তদন্ত করার নির্দেশ প্রদান করে বিষয়টি নিশ্চিত করে। আমার
বাড়ির পরিবার বর্তমানে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগিতেছে। আসামিরা বলেন মামলা নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে আমার ওপর ও আমার ছেলেমেয়েদের দুনিয়া থেকে সরিয়ে ফেলবে বলে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে এবং কোনভাবে মামলাকে অন্য দিকে প্রবাহিত না করতে পারে এজন্য সাংবাদিকদের কাছে আকুল আবেদন করছি । সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে অনুরোধ করছি চট্টগ্রামের সকল গণমাধ্যম কর্মীদের সহযোগিতা কামনা করি।
অবশেষে তিনি বলেন মামলা সঠিক তদন্তের জন্য আপনাদের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি যাতে আমার মেয়ের মত আর অন্য কোন মায়ের বুক খালি না হয়। তাই হত্যা মামলার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করি। আজ সাংবাদিক সম্মেলন করে জানাতে চাই আগামী ছাব্বিশ ঘন্টার মধ্যে আসামীদে র গ্রেফতার না করলে এলাকাবাসীকে নিয়ে আমি মানববন্ধন সহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করব।
এ জাতীয় আরো খবর..
Leave a Reply