প্রিন্ট এর তারিখঃ মে ১৫, ২০২৫, ৫:৩২ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ ফেব্রুয়ারী ১, ২০২১, ২:৫০ এ.এম
চট্টগ্রাম সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মিতু হত্যা মামলার তদন্ত: অগ্রগতি প্রতিবেদন হাইকোর্টে

নিজস্ব প্রতিবেদক
চট্টগ্রামের সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় তদন্তের লিখিত অগ্রগতি প্রতিবেদন হাইকোর্টে দাখিল করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেষ্টিগেশন (পিবিআই)। রবিবার (৩১ জানুয়ারি) পিবিআই পরিদর্শক ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সন্তোষ কুমার চাকমা বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ প্রতিবেদন দাখিল করেছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সরোয়ার হোসেন বাপ্পী বলেন, আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি চাঞ্চল্যকর এ মামলায় দাখিল করা তদন্তের অগ্রগতি প্রতিবেদনের ওপর শুনানি হবে। তখন জানা যাবে এ মামলার অগ্রগতি প্রতিবেদনে তদন্ত কর্মকর্তা কী দিয়েছেন।
এর আগে গত বছরের ২ ডিসেম্বর আলোচিত সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় পিবিআই’র কাছ থেকে তদন্তের লিখিত অগ্রগতি প্রতিবেদন চান হাইকোর্ট। ওয়াসিম নামের মামলার এক আসামির জামিন শুনানিকালে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান এ আদেশ দিয়েছিলেন।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন বাপ্পী আরও বলেন, মামলার আসামি ওয়াসিমের জামিন শুনানিকালে পিবিআই পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা হাজির হয়ে বলেছিলেন; তিনি কিছুদিন আগে এ মামলার তদন্তভার পেয়েছেন। এরপর আদালত ৩১ জানুয়ারির মধ্যে তদন্তের লিখিত অগ্রগতি প্রতিবেদন চান আর জামিন আবেদন ৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্ট্যান্ডওভার (মুলতবি) রেখেছিলেন।
২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরীর ও আর নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে গুলি ও ছুরিকাঘাতে নিহত হন তৎকালীন পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু। এ ঘটনায় বাবুল আক্তার বাদি হয়ে পাঁচলাইশ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় সন্দেহভাজন হিসেবে আবু নসুর গুন্নু, শাহ জামান ওরফে রবিন, সাইদুল আলম শিকদার ওরফে সাক্কু ও শাহজাহান, মো. আনোয়ার ও মোতালেব মিয়া প্রকাশ ওয়াসিম নামে কয়েকজনকে আটক করে পুলিশ।
এই হত্যায় অস্ত্র সরবরাহকারী হিসেবে আটক হন এহেতাশামুল হক ভোলা ও তার সহযোগী মো. মনির। তাদের কাছ থেকে পয়েন্ট ৩২ বোরের একটি পিস্তল উদ্ধার করা হয় যেটি মিতু হত্যায় ব্যবহৃত হয়েছে বলে পুলিশ দাবি করেছিল তখন। গ্রেপ্তার আনোয়ার ও মোতালেব মিতু হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দিও দেন। তাদের স্বীকারোক্তিতে মিতু হত্যার পরিকল্পনাকারী হিসেবে নাম আসে বাবুল আক্তারের সোর্স হিসেবে পরিচিত মো. মূছার।
প্রতিষ্ঠাতা : মেজর (অব) মোঃ মোদাচ্ছের হোসাইন, সম্পাদক মন্ডলির সভাপতি: বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান আহমেদ এমপি, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: তৌহিদ আহমেদে রেজা, বার্তা সম্পাদক: আসমা আহমেদ কর্তৃক ৫৪ কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ সৈয়দ ভবন, ঢাকা-১২১৩ থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত
© All rights reserved 2020 Daily Surjodoy