- আনোয়ারা(চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:
নির্বাচন কমিশন কর্তৃক ঘোষিত তপশীল অনুযায়ী আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্টিত হবে দ্বাদশ জাতিয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহন। এ উপলক্ষে ইতোমধ্যেই শেষ হয়েছে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমাদান ও যাচাই বাছাই পর্ব।
গতকাল ১৭ ডিসেম্বর ছিল প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ দিন। আজ১৮ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দের আনুষ্ঠানিকতা শেষে আনুষ্ঠানিক প্রচারনা শুরু করেছে অনেকে ।
জেলা রিটার্নিং অফিস থেকে পাওয়া তথ্য মতে চট্টগ্রামের আনোয়ারা-কর্ণফুলী উপজেলা নিয়ে গঠিত সংসদীয় আসন চট্টগ্রাম-১৩ এ নেই কোন স্বতন্ত্র কিংবা বিদ্রোহী প্রার্থী, এই আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগসহ ৭ নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের মনোনীত প্রার্থী রয়েছেন।
গতকাল প্রত্যাহারের শেষ দিন পর্যন্ত প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেননি তাঁদের কেউ।
ফলে এ আসনের নির্বাচনী মাঠে লড়বেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ও অত্র আসনের বর্তমান সাংসদ সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদসহ মোট ৭ জন প্রার্থী।
বাকি ৬ জন হলেন, জাতীয় পার্টির আবদুর রব চৌধুরী টিপু, ইসলামীক ফ্রন্টের স.ম.হামেদ হোসাইন, ইসলামী ফ্রন্টের মাষ্টার আবুল হোসেন, তৃণমূল বিএনপির মকবুল আহম্মদ চৌধুরী শাদাত, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মৌলভী রশিদুল হক এবং বাংলাদেশ সুপ্রীম পার্টি(বিএসপি)র মো.আরিফ মঈন উদ্দিন।
আসনটিতে রয়েছে বর্তমান ক্ষমতাসীন দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শক্তিশালী কর্মীবাহিনী, সমর্থক এবং বিশাল অংকের ভোটার।
পক্ষান্তরে জাতীয় পার্টি, ইসলামীক ফ্রন্ট ও ইসলামী ফ্রন্টের কিছু কর্মী সমর্থক থাকলেও সংখ্যায় তা একেবারেই গৌন।
বাকি ৩ টি নাম সর্বস্ব দলের কোন কর্মী সমর্থক খুব একটা নেই বললেও চলে।
ফলে নির্বাচনী দৌঁড়ে ওইসব দলের প্রার্থীরা এ আসনের বর্তমান সাংসদ ও ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের ধারে কাছেও যেতে পারবেন না বলে মনে করেন ভোটারেরা।
সার্বিক বিবেচনায় দক্ষিণ চট্টগ্রামের অন্যান্য আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের তুলনায় নির্বাচনী লড়াইয়ে সহজ জয়ের ব্যাপারে অনেকটা অব্যাকুল সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ।
এমনটা মনে করেন অনেকেই।