দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনে ২ বারের সাংসদ নদভীকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে বিজয়ী হয়েছেন ঈগল প্রতিকের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এম এ মোতালেব সিআইপি।
ঈগল প্রতিক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী এম এ মোতালেব সিআইপি পেয়েছেন ৮৫৯৫৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী আওয়ামীলীগের মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী প্রফেসর ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামউদ্দিন নদভী পেয়েছেন ৩৯২৬৫ ভোট।
এই আসনের ১টি পৌরসভা ও ২০টি ইউনিয়নের ১৫৭টি কেন্দ্রের ৪ লক্ষ ৫৮ হাজার ৪১১ জন ভোটারের মাঝে ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন ১ লক্ষ ২৫ হাজার ২১৮ জন ভোটার যা শতকরা হারে ২৮℅।
সাতকানিয়া পৌরসভার ১৩টি ওয়ার্ডে ঈগল প্রতিকে এম এ মোতালেব পেয়েছেন ৬৯৮৩ ভোট। নৌকা প্রতীকে আবু রেজা নদভী পেয়েছেন ২৪২২ ভোট।
সাতকানিয়া উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে ঈগল প্রতিকে এম এ মোতালেব পেয়েছেন ৪৬৬০১ ভোট। নৌকা প্রতীকে আবু রেজা নদভী পেয়েছেন ২৫১৯১ ভোট। ভোটের ব্যবধান ।
সাতকানিয়া সদর ইউনিয়নে ঈগল-৮৮৫০ ভোট, নৌকা-১৮৪৬ ভোট। সোনাকানিয়া ইউনিয়নে ঈগল-২৭৭৮ ভোট, নৌকা-১৮৯৩ ভোট। এওচিয়া ইউনিয়নে ঈগল-২২১৮ ভোট, নৌকা-৩০৪০৯ ভোট। কাঞ্চনা ইউনিয়নে ঈগল-৪০০৯ ভোট, নৌকা-২৬৬৬ ভোট। চরতি ইউনিয়নে ঈগল-৬০০৩ ভোট, নৌকা-২০৮৫ ভোট। আমিলাইশ ইউনিয়নে ঈগল-২৪৯৭ ভোট, নৌকা-১১০২ ভোট। নলুয়া ইউনিয়নে ঈগল-২৪৬৪ ভোট, নৌকা-২৫৬৭ ভোট। মাদার্শা ইউনিয়নে ঈগল-১১৮১ ভোট, নৌকা-৩৭৬৯ ভোট। পশ্চিম ঢেমশা ইউনিয়নে ঈগল-১১৯৩ ভোট, নৌকা-১০৩২ ভোট। ঢেমশা ইউনিয়নে ঈগল-১৮৮০ ভোট, নৌকা-১৩৭১ ভোট।
লোহাগাড়া উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে ঈগল প্রতিকে এম এ মোতালেব পেয়েছেন ৩৯৩৫২ ভোট। নৌকা প্রতীকে আবু রেজা নদভী পেয়েছেন ১৪০৭৪ ভোট। ভোটের ব্যবধান ২৫৩৭৮।
লোহাগাড়া সদর ইউনিয়নে ঈগল- ৫০০৮ ভোট, নৌকা-১৭৩২ ভোট। আমিরাবাদ ইউনিয়নে ঈগল-৫০৪২ ভোট, নৌকা-২৫১৪ ভোট। আধুনগর ইউনিয়নে ঈগল-৪৯৫৫ ভোট, নৌকা-৭৮০ ভোট। পদুয়া ইউনিয়নে ঈগল-৫৫৩৮ ভোট, নৌকা-২৩২০ ভোট। চরম্বা ইউনিয়নে ঈগল-৩০৩৮ ভোট, নৌকা-১১৩৮ ভোট। কলাউজান ইউনিয়নে ঈগল- ভোট, নৌকা- ভোট। পুটিবিলা ইউনিয়নে ঈগল-৩৪৩৭ ভোট, নৌকা-১২৬৯ ভোট। চুনতি ইউনিয়নে ঈগল-৪৮৪৫ ভোট, নৌকা-১১৭২ ভোট। বড়হাতিয়া ইউনিয়নে ঈগল-৩৮৮২ ভোট, নৌকা-১৩০৫ ভোট।
রবিবার (৭ জানুয়ারী) সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ চলমান থাকলেও ভোটার উপস্থিতি তুলনামূলক কম ছিল। এবং বিচ্ছিন্ন কিছু ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ছাড়া কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারে সেটা নিশ্চিত করতে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এর নেতৃত্বে পুলিশ, আনসার, এপিবিএন, র্যাব, বিজিবি ও সেনাবাহিনীর টিম কাজ করেছে। পাশাপাশি গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিরাও মাঠে কাজ করেছে।
বিজয়ী হয়ে এম এ মোতালেব বলেছেন, আমার এই বিজয় এই আসনের বঞ্চিত সাধারণ মানুষের বিজয়, আমার এই বিজয় বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের নির্যাতিত নিপীড়িত নেতাকর্মীদের বিজয়, আমার দলের নেতাকর্মী, সমর্থক, ভোটারসহ যারা আমাকে বিজয়ী করতে জীবনবাজি রেখে কাজ করেছেন এবং আমাকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করেছেন এই বিজয় আমি তাদের উৎসর্গ করেছি। সাতকানিয়া-লোহাগাড়াবাসী আমাকে বিজয়ী করে সম্মানিত করেছে আমি সকলের কাছে কৃতজ্ঞ।