জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী চন্দনাইশ প্রতিনিধিঃ
আসন্ন ইউপি নিবার্চনে চন্দনাইশে ৭ ইউনিয়নের আ.লীগের দলীয় প্রার্থীদের নামের তালিকা প্রেরণ করার লক্ষ্যে আজ ১ ডিসেম্বর সকালে দক্ষিণ জেলা আ.লীগের কার্যালয়ে এক সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় দক্ষিণ জেলা আ.লীগের সভাপতি মোসলেম উদ্দীন আহমদ এমপি,চট্টগ্রাম-১৪ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম চৌধুরী এমপি, দক্ষিণ জেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান,উপজেলা আ.লীগের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম জাহাঙ্গীর, সাধারণ সম্পাদক আবু আহমদ জুনুসহ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থেকে সর্বসম্মতিক্রমে চন্দনাইশের ৭ ইউনিয়নে দলীয় প্রার্থীদের নামের তালিকা চুড়ান্ত করে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রেরণ করবেন বলে জানা যায়। এ ব্যাপারে দক্ষিণ জেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান বলেছেন,কমপক্ষে ৩ জন ক্ষেত্র বিশেষে ইউনিয়ন পর্যায়ে প্রার্থী তালিকা বৃদ্ধি করে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রেরণ করা হবে। তবে বিগত নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থীদের নাম পাঠানোর সম্ভবনা নেই। যদিও বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় তবে নামের পাশে অবশ্যই বিদ্রোহী প্রার্থী লেখা থাকবে। তবে সাতবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন অনিশ্চিত হওয়ায় সাতবাড়িয়ার তালিকা প্রেরণ করা হবে না বলে জানিয়েছেন তিনি।
আগামী ৫ জানুয়ারী চন্দনাইশে কাঞ্চনাবাদ,জোয়ারা,বরকল, বরমা,বৈলতলী, হাশিমপুর, ধোপাছড়িসহ ৭টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আজ ১ডিসেম্বর থেকে প্রার্থীদের মনোনয়ন ফরম উপজেলা নির্বাচনী কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে বিতরণ করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচনী কর্মকর্তা মিনহাজুল ইসলাম। তিনি বলেন প্রত্যেক ইউপি সদস্যের জন্য ৫’শ টাকা,চেয়ারম্যান পদের জন্য ৪ হাজার ৫’শ টাকা সোনালী ব্যাংকে জমা করার মধ্য দিয়ে মনোনয়ন ফরম বিতরণ করা হবে। ৭ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র দাখিল,৯ ডিসেম্বর বাছাই,১৫ ডিসেম্বর প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ধার্য্য করা হয়েছে।
আগামী ৫ জানুয়ারী ইউপি নির্বাচনকে সামনে রেখে চন্দনাইশের প্রতিটি ইউনিয়নে নেতা-কর্মী মাঝে চাঙ্গাভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে। প্রতিটি ইউনিয়নে এ সকল মনোনয়ন প্রত্যাশীরা নিজ নিজ এলাকায় নৌকার প্রার্থী হিসেবে সাধারণ ভোটাদের সাথে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছে। সে সাথে সিনিয়র নেতাদের সাথে মনোনয়ন নিশ্চিত করার জন্য লবিং চালিয়ে যাচ্ছেন। বিগত ইউপি নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে ভিন্ন দলের একাধিক প্রার্থী নির্বাচিত হওয়ায় এবারের নির্বাচনে আ.লীগের বিভিন্ন দলীয় প্রার্থীরা স্বোচ্ছার রয়েছে। প্রতিটি ইউনিয়নে দলীয় নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে মনোনয়ন দেয়া হলে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন অনেকে।