জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, চন্দনাইশ প্রতিনিধি
দক্ষিণ চট্টগ্রামের চন্দনাইশে গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ উপজেলা উপজেলা শাখার উদ্যোগে পবিত্র ঈদ-এ মিলাদুন্নবী (দঃ) উদযাপন উপলক্ষ্যে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (স.) উপলক্ষ্যে রাহমাতুল্লিল আলামীন কনফারেন্স সুন্নী কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৭ অক্টোবর শনিবার পাঠানদণ্ডী সুচিয়া জহির ফিলিং স্টেশন সংলগ্ন ময়দানে আয়োজিত কনফারেন্সে প্রধান অতিথি ছিলেন দরবারে ছিরিকোটের অন্যতম সাজ্জাদানশীন, আউলাদে রাসুল, রাহনুমায়ে শরীয়ত ও তরিকত, পীরে বাঙ্গাল হযরতুহাজ্ব আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ সাবির শাহ (মাদ্দাজিল্লুহুল আলী)। প্রধান অতিথির বক্তব্যে হুজুর বলেন, “তওবা দ্বারা আল্লাহর হক মাফ হলে বান্দার হক মাফ হয় না। কারও সম্পদ আত্মসাৎ করা হলে কিংবা কার প্রতি জুলুম করা হলে, যার পাওনা তাকে ফিরিয়ে দিতে হবে, কিংবা মাফ চায় নিতে হবে। মনে রাখবে যতক্ষণ মজলুম বা পাওনাদার মাফ করে না, ততক্ষণ আল্লাহপাকও ক্ষমা করবেনা। “তিনি সবাইকে দ্বীনের খেদমত করার এবং ভ্রান্ত মতবাদ থেকে নিজেক রক্ষার আহবান জানান। এর আগে বাদে মাগরিব পাঠানদন্ডী তাহেরীয়া ছাবেরীয়া সুন্নিয়া আলিম মাদরাসা মাঠে মহিলাদের তালিমি জলসা অনুষ্ঠিত হয়। এতে মহিলাদের পর্দাসহকারে বায়াতের কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
কনফারেন্সে সভাপতিত্ব করেন গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার সভাপতি আলহাজ্ব মুহাম্মদ কমর উদ্দীন সবুর। আসরের নামাজের পর থেকে কনফারেন্সের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়। খতমে কোরআন তেলোয়াত, খতমে গাউসিয়া শরীফ আদায়ের মাধ্যমে কনফারেন্স শুরু হয়। কর্মসূচীর মধ্যে ছিল হামদ, নাতে রাসুল (স.), গাউসে পাক ও হুজুর কিবলার শানে রচিত মানকাবাত, মিলাদুন্নবী শীর্ষক আলোচনা, দেশের বরেণ্য ওলামায়ে কেরামের বয়ান, মিলাদ-কিয়াম পরিশেষে দেশ জাতির সমৃদ্ধি কামনায় দোয়া-মুনাজাত। কনফারেন্সে চন্দনাইশ উপজেলার ২টি পৌরসভা, ৮টি ইউনিয়ন ও সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, পটিয়া, আনোয়ারা অঞ্চল থেকে ২৫ থেকে প্রায় ৩০ হাজার মুসল্লী ও মহিলা প্যান্ডেলে ১৫ থেকে ২০ হাজার মহিলা জমায়েত হয়।
কনফারেন্সে চন্দনাইশ-সাতকানিয়া আংশিকের মাননীয় সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম চৌধুরী এমপি, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মফিজুর রহমান, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল জব্বার চৌধুরী, চন্দনাইশ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব জাহিদুল ইসলাম জাহাঙ্গীর, সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের সদস্য আলহাজ্ব আবু আহমেদ চৌধুরী জুনু, উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান মাওলানা মুহাম্মদ সোলাইমান ফারুকী, চন্দনাইশ থানার অফিসার ইনচার্জ ওবায়দুল ইসলাম, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি, সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক, পেশাজীবীসহ আনজুমান-এ রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্ট কেবিনেট, গাউসিয়া কমিটি কেন্দ্রীয় ও জেলা নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। কনফারেন্সে তাকরীর ও আলোচনা করবেন জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়ার শায়খুল হাদীস আল্লামা হাফেজ মুহাম্মদ আশরাফুজ্জামান আলকাদেরী, চট্টগ্রাম সোবহানিয়া আলিয়া কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ আল্লামা হারুন উর রশিদ আশরাফী, প্রবীণ আলেমেদ্বীন অধ্যক্ষ আল্লামা শাহ্ খলিলুর রহমান নিজামী, গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও মানবিক টিমের প্রধান সমন্বয়ক এডভোকেট মোছাহেব উদ্দীন বখতিয়ার, সোবহানিয়া আলিয়া কামিল মাদরাসার ভাইস-প্রিন্সিপাল আল্লামা মুহাম্মদ জুলফিকার আলী চৌধুরী, জামিরজুরী রজভীয়া ফাজিল মাদরাসার সাবেক অধ্যক্ষ আল্লামা আহমদ হোসাইন আল কাদেরী, অধ্যক্ষ মাওলানা বদিউল আলম রিজভী, দৈনিক পূর্বদেশের সহকারী সম্পাদক অধ্যক্ষ আবু তালেব বেলাল, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব মাওলানা সৈয়দ হাসান আল আজহারী, পশ্চিম এলাহাবাদ ফাজিল মাদরাসার আরবি প্রভাষক মাওলানা ক্বারী মুহাম্মদ ফেরদৌসুল আলম খান আলকাদেরী, আলহাজ্ব মাওলানা আমান উল্লাহ আমান সমরকন্দী, আলী হোসেন, উপজেলা গাউসিয়া কমিটির সভাপতি শিল্পপতি মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম, উন্নয়নকর্মী মো. শহিদুল ইসলাম মিয়াজী। পুরো অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন অধ্যক্ষ আব্দুল মান্নান, এডভোকেট মোজাম্মেল হক ফারুকী ও এডভোকেট জি এম শাহাদত হোসাইন মানিক। হুজুর কেবলার উপস্থিতিতে মাহফিল পরিচালনা করবেন আনজুমানে রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের সম্মানিত সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট আলহাজ্ব মুহাম্মদ মহসিন।