1. admin@surjodoy.com : Main : Admin Main
  2. dainiksurjodoy24@gmail.com : admin2020 : TOWHID AHAMMED REZA
  3. editor@surjodoy.com : Daily Surjodoy : Daily Surjodoy
চবির ভবন নির্মাণে ৭৫ কোটি টাকার দুর্নীতি, গ্রেপ্তার দেখানো হলো জিকে শামীমকে
রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:৩৭ অপরাহ্ন

চবির ভবন নির্মাণে ৭৫ কোটি টাকার দুর্নীতি, গ্রেপ্তার দেখানো হলো জিকে শামীমকে

  • আপডেট টাইম : বুধবার, ৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২১, ৫.২২ পিএম
  • ২৮৮ বার পঠিত
নিজস্ব প্রতিবেদক
চবির ভবন নির্মাণে ৭৫ কোটি টাকার দুর্নীতি, গ্রেপ্তার দেখানো হলো জিকে শামীমকে।
জাল কার্যাদেশ তৈরি করে বাগিয়ে নিয়েছিলেন কাজ
নিয়েছিলেন
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন নির্মাণে দুর্নীতির অভিযোগে কথিত যুবলীগ নেতা জিকে শামীমকে শ্যোন এরেস্ট (গ্রেপ্তার দেখানো) এর নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ভুয়া তথ্য দিয়ে ৭৫ কোটি ১ লাখ ২৯৫ টাকার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ষষ্ঠ একাডেমিক ভবন নির্মাণের কাজ হাতিয়ে নিয়েছিলেন জিকে শামীম।
জিকেবি অ্যান্ড কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. গোলাম কিবরিয়া শামীম জিকে শামীম হিসেবে পরিচিত। ২০১৯ সালের ৩১ অক্টোবর তাকে সরকারের দুর্নীতিবিরোধী অভিযানের আওতায় গ্রেপ্তার করা হয়।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবীর করা আবেদনের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (২ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রামের জেলা ও দায়রা জজ মো. ইসমাইল হোসেন তাকে গ্রেপ্তারের আদেশ দেন।
রায় ঘোষণা উপলক্ষে কড়া নিরাপত্তা নেয়া হয় চট্টগ্রামের আদালতে। গতকাল রাতে শামীমকে ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে চট্টগ্রাম কারাগারে আনা হয়, সেখান থেকে মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় তাকে আদালতে হাজির করা হয়।
সংশ্লিষ্ট আদালত সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ২২ নভেম্বর চট্টগ্রাম দুদক-১ এর সহকারী পরিচালক ফখরুল ইসলাম বাদি হয়ে জিকে শামীম ও ফজলুল করিম নামের অপর এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন। এতে তাদের বিরুদ্ধে জালিয়াতি করে জাল কার্যাদেশের মাধ্যমে টেন্ডার হাসিলের অভিযোগ আনা হয়।
মামলার এজহারে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ষষ্ঠ একাডেমিক ভবনের (২য় কলা ও মানবিদ্যা অনুষদ) ২য় পর্যায়ে নির্মাণ কাজের জন্য ৭৫ কোটি ২৯৫ টাকার জাল কার্যাদেশ তৈরি করেন। যৌথ উদ্যোগে চুক্তি সম্পাদনকারী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জিকেবি অ্যান্ড কোম্পানি (প্রা.) লিমিটেড এবং দ্য বিল্ডার্স ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েটস।
দুদকের অভিযোগ থেকে আরো জানা যায়, টেন্ডার নোটিশের ১৯ (ডি), ১৯ (ই) ও ১৯ (এফ) তে উল্লিখিত শর্ত পূরণ করার মতো নির্মাণ কাজের যোগ্যতা ছিল না উক্ত দুই ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের।
দুদকের আইনজীবী মাহমুদুল হক মুঠোফোনে  জানান, যোগ্যতা না থাকা সত্ব্বেও দুই ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের মালিক তাদের প্রকৃত নিবন্ধিত নামের সঙ্গে অন্য একক মালিকাধীন ফার্মের নাম যুক্ত করে প্রকৃত সংখ্যার চেয়ে বেশি শেয়ার দেখিয়েছিলেন ও ভুয়া কার্যাদেশ তৈরি করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজটি বাগিয়ে নিয়েছিলেন।
ওই মামলায় কারাগারে থাকা শামীমকে দুদকের আবেদনের প্রেক্ষিতে শ্যোন অ্যারেস্ট এর আদেশ দিয়েছেন আদালত। মামলাটি এখনও তদন্তাধীন আছে বলে জানান দুদুকের আইনজীবী মাহমুদুল হক।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved  2020 Daily Surjodoy
Theme Customized BY CreativeNews