প্রিন্ট এর তারিখঃ জানুয়ারী ১০, ২০২৫, ৬:৫৩ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ ফেব্রুয়ারী ১৬, ২০২১, ৪:১৯ পি.এম
চরাঞ্চলে মিষ্টি আলু চাষে লাভবান কৃষক
রেখা মনি,নিজস্ব প্রতিবেদক
কুড়িগ্রামে পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ ও উচ্চ ফলনশীল বারি আলু_৮ জাতের মিষ্টি আলু লাভের আশায় চাষ করেছেন চরাঞ্চলের কৃষকরা।অল্প খরচে ও কম পরিচর্যায় বেশি ফলন এবং অধিক লাভ হওয়ায় মিষ্টি আলু চাষে আগ্রহী বেশি এ অঞ্চলের কৃষকদের। ফলন ভালো হওয়ায় হাসি ফুটেছে কৃষকদের মুখে সোমবার পহেলা ফেব্রুয়ারি সরজমিনে গিয়ে জেলা সদরের বিভিন্ন চরাঞ্চল ঘুরে মিষ্টি আলু চাষের ভালো ফলনের চিত্র দেখা যায়।কুড়িগ্রাম কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায় চলতি মৌসুমে কুড়িগ্রাম জেলার নয়টি উপজেলায় মোট ৭২০ হেক্টর জমিতে মিষ্টি আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।তবে ৭৫৯ হেক্টর জমিতে মিষ্টি আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হওয়ায় নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা কে ছাড়িয়ে গেছে। মোগল বাসার চর সিতাই ঝড় গ্রামের কৃষক রহমত উল্লাহ বলেন,আমি এবার ৩০ টাকা ব্যয়ে আড়াই বিঘা জমিতে মিষ্টি আলু চাষ করেছি। ফলন অনেক ভালো হয়েছে। গত মৌসুমে ও ৩০ হাজার টাকা ব্যয়ে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা আয় করেছি। সেই টাকায় দুটি গরু কিনেছি। আশা রাখি এবারও মিষ্টি আলু চাষে লাভবান হয় লাভের টাকায় কিছু একটা করব। একই এলাকার আনোয়ার হোসেন বলেন, আমাদের এলাকা চরাঞ্চল হাওয়ায় এখানে অন্যান্য ফসলের চেয়ে মিষ্টি আলু চাষ করলে ফলন বেশি হয়। মিষ্টি আলু চাষে পরিশ্রম কম লাভ বেশি। ৪ হাজার টাকা ব্যয় ১৫ শতক জমিতে মিষ্টি আলু চাষ করেছি। ফলন ভালো হওয়ায় আশা রাখি এবারও লাভবান হব। রাজারহাটে এলাকার মহির উদ্দিন বলেন, ১৫ হাজার টাকা ব্যয় ২ বিঘা জমিতে মিষ্টি আলু চাষ করেছি। গতবার ২ বিঘা জমিতে মিষ্টি আলু চাষ করে প্রতি কেজি ২০ টাকা দরে বিক্রি করে ৫০হাজার টাকা আয় করেছি।মিষ্টি আলুতে রোগ বালাই নেই বললেই চলে ।পরিচর্যা কম লাগায় অল্প খরচে বেশি লাভ করা যায় এবারও ফলন ভালো হওয়ায় লাভের আশা আছে । যাত্রাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী সরকার বলেন ,আমার ইউনিয়নের কালীর আলগা ,গোয়াইল পুর, গলাকাটা, ভগবতীপুর ,পোড়ারচর খাসেরচর ও শিবের বাতি এলাকার কৃষকরা মিষ্টি আলু চাষ করেছেন।মিষ্টি আলু চাষে এসব এলাকার অনেক কৃষক লাভবান হয় সংসারে উন্নতি করছেন ।কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, কুড়িগ্রাম জেলার নয়টি উপজেলায় চলতি মৌসুমে মোট ৭২০ হেক্টর জমিতে মিষ্টি আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।৭৫৯ হেক্টর জমিতে মিষ্টি আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হওয়ায় নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে।মিষ্টি আলু চাষের উপযুক্ত সময় অক্টোবর থেকে নভেম্বর মাস। মিষ্টি আলু চাষে তেমন রোগ বালাই নেই। এতে লেদা পোকা নামের এক ধরনের পোকার আক্রমণ হয়, যা থেকে পরিত্রাণের জন্য অনুমোদিত কীটনাশক ব্যবহার করতে হয়। তিনি বলেন ভালো ফলন পেতে হলে আগাছা পরিষ্কার সুষম সার এর ব্যবহার ও প্রয়োজনীয় সুষম সারের প্রয়োজনীয় সেচ দিতে হয়। সাধারণত বেলে দো-আঁশ মাটিতে মিষ্টি আলু চাষ ভালো হয়। বীজ রোপণের ১৫০_থেকে ১৬০দিন পর মিষ্টি আলুর ফলন ঘরে চলার উপযোগী হয়।প্রতি শতকে ৬০০থেকে সাড়ে ৬০০ আলুর কাটিং ব্যবহৃত করার প্রয়োজন হয়। এবার জেলার মিষ্টি আলুর ফলন ভালো হওয়ায় লাভবান হবেন কৃষকরা।
প্রতিষ্ঠাতা : মেজর (অব) মোঃ মোদাচ্ছের হোসাইন, সম্পাদক মন্ডলির সভাপতি: বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান আহমেদ এমপি, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: তৌহিদ আহমেদে রেজা, বার্তা সম্পাদক: আসমা আহমেদ কর্তৃক ৫৪ কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ সৈয়দ ভবন, ঢাকা-১২১৩ থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত
© All rights reserved 2020 Daily Surjodoy