আবুল হাশেম, রাজশাহী বিভাগীয় প্রধানঃ
রাজশাহী বাঘার ‘সাড়ে সাঁত মণ’ আমের প্রথম চালানের প্যাকেজিংয়ের কাজ শেষ হয়েছে। বুধবার (৩ মে) সন্ধ্যায় এসব আম বাঘা থেকে ঢাকায় পাঠানো হবে। পরেরদিন বৃহস্পতিবার ঢাকা থেকে ইতালির উদ্দেশে পাঠানো হবে আমগুলো।
রাজশাহীর বাঘা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিউল্লাহ সুলতান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন তিনি বলেন, এবার শুরুতে আম ইতালিতে রপ্তানি করা হচ্ছে। বাঘা থেকে আমগুলো ইতালিতে যাবে। এগুলো স্থানীয় জাতের চোষা আম। ইতালির মার্কেটে এটা যাবে। প্রথমে ৩০০ কেজি আম যাবে। ঢাকার আদব ইন্টারন্যাশনালের মাধ্যমে এসব আম যাবে।
আম উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সাদিয়া এন্টারপ্রাইজের মালিক শফিকুল ইসলাম ছানা বলেন, আজকে ঢাকাতে আম যাবে। কাল ঢাকা থেকে ইতালিতে যাবে। এটা গুটি প্রজাতির লোকাল আম। এই আমটা এবারই প্রথম যাচ্ছে। এই জাতের আম আগাম হয়। খেতেও খুব ভালো স্বাদের। এই আমটা লোকালই চাহিদা বেশি। যদিও আমরা এটাকে রফতানির চেষ্টা করছি।
তিনি বলেন, ১০০ টাকা কেজি দরে এটি রপ্তানির জন্য বিক্রি করছি। এই আম রাজশাহীর লোকাল মার্কেটেই বেশি দাম হবে। তবে আমরা চাচ্ছি এটা রপ্তানি হোক। তাই কম মূল্যে হলেও এগুলো রপ্তানি করছি। পুরো ৩০০ কেজি আমই আমার এখান থেকে যাচ্ছে।
রাজশাহী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মাজদার হোসেন বলেন, জেলায় ১৯ হাজার ৫৭৮ হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছে। এসব গাছে দুই লাখ ৫৮ হাজার মেট্রিক টন আম উৎপাদন হবে। এসব আমের বাজার হবে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকার। এবার শুরুতেই বিদেশে আম রপ্তানি হচ্ছে। শুরুতেই গুটি জাতের আম বাঘা থেকে ইতালিতে যাবে। আম পাড়ার প্রথম দিনেই এসব আম যাবে।
তিনি বলেন, আমগুলো দেশি গুটি জাতের চোষা আম। এগুলো রপ্তানির জন্য বেশ ভালো। খেতেও খুব সুস্বাদু। আশা করছি, আগামীতে আরও রপ্তানি করতে পারবো যা দেশের অর্থনীতিতে ভালো একটা প্রভাব পড়বে বলে আশা করা যায়।