
আহমেদ টি কে মীর নিজস্ব প্রতিবেদক
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে অংশ গ্রহণকারী সকল মেয়র এবং কাউন্সিলর প্রার্থীদের (নির্বাচিত এবং পরাজিত সকল প্রার্থীকেই ব্যয়ের রিটার্ণ দাখিল করতে হবে) নির্বাচনী সকল ব্যয়ের রিটার্ণ দাখিলের জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
এই ব্যাপারে নির্বাচন কমিশন থেকে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান প্রত্যেক প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর (মেয়র এবং কাউন্সিলর) নিকট চিঠি পাঠিয়েছেন।
চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা কর্তৃক প্রেরিত চিঠি থেকে জানা গেছে, নির্বাচনের ফলাফলের গেজেট প্রকাশের ৩০দিনের মধ্যে রিটার্নিং অফিসারের নিকট প্রত্যেক প্রতিদ্বন্দ্বী (মেয়র এবং কাউন্সিলর প্রার্থী) প্রার্থীকে এজেন্ট ফরমের কলাম অনুযায়ী নির্বাচনী ব্যয়ের একটি রিটার্ণ দাখিল করতে হবে। যারা নির্বাচনী ব্যয়ের রিটার্ণ দাখিলে ব্যর্থ হবেন তাদের বিরুদ্ধে স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) নির্বাচন বিধিমালা ২০১০ এর বিধি ৭০ এর উপ বিধি ১ (খ) লঙ্ঘের দায়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ন্যুনতম ৬ মাস ও অনধিক ৭ বছরের কারাদন্ডে দন্ডিত হবেন।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল গত ২৭ জানুয়ারি। নির্বাচনে জয়ী মেয়র এবং কাউন্সিলর প্রার্থীদের পেজেট প্রকাশ হয়েছি ৩০ জানুয়ারি।
নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী এম রেজাউল করিম চৌধুরী পেয়েছেন ৩ লাখ ৬৯ হাজার ২৪৮ ভোট পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হন। অপরদিকে তার প্রতিদ্বন্দ্বী ধানের শীষ প্রতীকে বিএনপির শাহাদাত হোসেন পেয়েছেন ৫২ হাজার ৪৮৯ ভোট।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে নির্বাচনে মোট ৭ মেয়র এবং ২২৫ জন কাউন্সিলর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন।
এরমধ্যে আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীকে নির্বাচিত মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী ছাড়াও অন্য ৬ মেয়র প্রার্থীরা হলেন-বিএনপির মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাতে হোসেন (ধানের শীষ), এনপিপির আবুল মনজুর (আম), বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের এম এ মোতিন (মোমবাতি), ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের মুহাম্মদ ওয়াহেদ মুরাদ (চেয়ার), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. জান্নাতুল ইসলাম (হাতপাখা), স্বতন্ত্র প্রার্থী খোকন চৌধুরী (হাতি)।
এ জাতীয় আরো খবর..
Leave a Reply