তৌহিদ আহমেদ রেজা: করোনাকালে সরকারি চাকরি প্রত্যাশীদের সুখবর দিয়েছে সরকার। এখন যেসব বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হচ্ছে, সেখানে ২৫ মার্চকে ৩০ বছরের শেষ সীমা ধরা হচ্ছে। যার মানে হচ্ছে, চলতি বছরের ২৫ মার্চ যাদের বয়স ৩০ বছরের মধ্যে থাকবে তারা চাকরিতে আবেদন করতে পারবেন। জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এসব কথা জানিয়েছেন।
সবশেষ ২০১৭ সালে পরিসংখ্যান ব্যুরোর যে শ্রমশক্তি জরিপ হয়েছিলো তাতে দেখা যায়, দেশে মোট কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী ছয় কোটি ৩৫ লাখ। এর মধ্যে কাজ করেন, ছয় কোটি আট লাখ নারী পুরুষ। আর বেকার ২৭ লাখ। বেকারত্বের হার ৪.২ শতাংশ হলেও যুব বেকারত্বের হার ১১.৬ শতাংশ।
করোনাভাইরাসের কারণে বেকারত্ব আরও বেড়েছে। চলতি বছরের শুরুতে সরকারি চাকরির তেমন কোন বিজ্ঞপ্তিই দেয়া হয়নি। ২৫ মার্চ থেকে সাধারণ ছুটি ঘোষণার পর তা একেবারেই বন্ধ হয়ে গেছে। এ নিয়ে অনেকটাই হতাশায় পড়েছিলেন চাকরি প্রার্থীরা। এরইমধ্যে অনেকেরই ৩০ বছর পার হয়েছে। করোনাকালকে বিবেচনা করে তাদের অনেকেই দাবি জানিয়েছিলেন, বয়সের বিষয়টি মাথায় রেখে পরের বিজ্ঞপ্তিগুলো প্রকাশের জন্য।
চাকরি প্রার্থীরা জানান, বয়স বিবেচনা করে আমরা যেন সামনের চাকরির পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারি। দীর্ঘ সময় সরকারি পরীক্ষার সার্কুলার না হওয়ায় আবেদন করতে পারিনি এবং কোন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারিনি। তারা বলেন, জানুয়ারি এবং ফেব্রুয়ারি মাসে শেষ পরীক্ষা দিয়েছি এরপর থেকে কোন সার্কুলার এবং পরীক্ষা হয়নি।
পহেলা জুন সব কিছু স্বাভাবিক হয়েছে। যেসব চাকরির বিজ্ঞপ্তি স্থগিত ছিল সেগুলোর জট আবার খুলতে শুরু করেছে। সরকারও এরইমধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে যাদের বয়স ২৫ মার্চ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ছিল তারা নতুন প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে চাকরির জন্য আবেদন করতে পারবেন।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জানান, চলতি বছরের ২৫ মার্চ যাদের বয়স ৩০ বছরের মধ্যে থাকবে তারা চাকরিতে আবেদন করতে পারবেন এই বিষয়টা আমরা উল্লেখ করে দেবো।
তবে, এই সিদ্ধান্ত কেবল যেসব বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ স্থগিত করা হয়েছিল সেগুলোর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে বলে জানিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।