চালান ছড়িয়ে দেওয়ার পেছনে আছে শিকদার লিটনের বড় ভূমিকা। নিজেকে স্বচ্ছ ভাবমূর্তি মানুষ হিসেবে সমাজের মানুষের চোখে ধুলো দিলেও ভেতরে ভেতরে সমাজকে ধ্বংস করে দেওয়ার কাজে লিপ্ত আছে শিকদার লিটন। আলফাডাঙ্গা ও কাশিয়ানিতে কান পাতলে তার অপকর্মের এসব ফিরিস্তি শোনা যায়।
জানতে চাইলে আলফাডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ রেজাউল করিম বলেন, ‘শিকদার লিটনের নানা অপকর্মের অভিযোগ শুনেছি। কিন্তু সে খুবই চালাক প্রকৃতির লোক। একেক সময় একেক জায়গায় থাকে। আমরা তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছি।’
স্থানীয় পর্যায়ে অনুসন্ধানে জানা যায়, মানুষকে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তরে চাকরি দেওয়ার নাম করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে শিকদার লিটন। একবার তার হাতে টাকা গেলে সেই টাকা কেউ ফেরত পেয়েছেন এমন নজির নেই। চাকরি দূরের কথা, টাকা চাইতে গেলে প্রাণনাশের হুমকি-ধমকি দেওয়ার অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে। এসব অপরাধের দায়ে একাধিক মামলাও আছে তার বিরুদ্ধে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, ফরিদপুর খুলনা ও পাবনা জেলায় শিকদার লিটনের বিরুদ্ধে প্রায় ডজনখানেক মামলা রয়েছে। চাঁদাবাজি, প্রতারণা ও প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগে এসব মামলা করা হয়েছে। এর মধ্যে খুলনার সোনাডাঙ্গা মডেল থানায় তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে ২০১৮ সালের ১৯ মার্চ। মামলা নং-২৪। চাঁদাদাবি এবং প্রাণনাশের হুমকির অপরাধে এ মামলা করা হয়েছে। এছাড়া পাবনা জেলার আটঘরিয়ায় একটি সি.আর মামলার আসামিও সে। মামলার নং-৪৯/১৪। এই মামলাটি করা হয়েছে প্রতারণার অভিযোগে। পাবনার আমিনপুর থানাতেও করা প্রাণনাশের একটি মামলার আসামি তিনি। ২০১৪ সালের ১৮ মে মামলাটি করা হয়। দুস্কর্মের অভিযোগে ২০১৬ সালের ৯ মে তা বিরুদ্ধে একটি মামলা হয় আলফাডাঙ্গা থানায়।
প্রতিষ্ঠাতা : মেজর (অব) মোঃ মোদাচ্ছের হোসাইন, সম্পাদক মন্ডলির সভাপতি: বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান আহমেদ এমপি, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: তৌহিদ আহমেদে রেজা, বার্তা সম্পাদক: আসমা আহমেদ কর্তৃক ৫৪ কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ সৈয়দ ভবন, ঢাকা-১২১৩ থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত
© All rights reserved 2020 Daily Surjodoy