
চিলমারীতে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলনের মহোৎসব ; হুমকির মুখে প্রকল্প সহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান
রেখা মনি,নিজস্ব প্রতিবেদক:
কুড়িগ্রামের চিলমারীতে রানীগঞ্জ ইউনিয়নের কাঁচকোল এলাকায় ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে বলগেডে বালু উত্তোলন করে ডান তীরে নদ ঘেষে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু বিক্রির মহোৎসব চলছে। এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে এলাকাবাসীর কথায় তোয়াক্কা না করেই চালিয়ে যাচ্ছে বালুর ব্যবসা। ফলে হুমকির মুখে রয়েছে ব্রহ্মপুত্র নদের ডান তীর রক্ষা প্রকল্পসহ বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন অবকাঠামো,আবাদী জমি এবং হাজার হাজার বসতবাড়ি।দেখে না দেখার ভান করে চলছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে, কিছু দিন আগে কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলাধীন রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের কাঁচকোল এলাকায় ব্রহ্মপুত্র নদের ডান তীর রক্ষা প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে।ওই এলাকায় কয়েক দফায় ব্লক পিচিং এ ধসও দেখা দিয়েছিল।
পানি উন্নয়ন বোর্ড জরুরী ভিত্তিতে তা মেরামত করে। বর্তমানে কাচকোল বাজার সংলগ্ন এলাকায় ড্রেজার বসিয়ে বালু বিক্রির মহোৎসব করছে এলাকার প্রভাবশালীরা।
প্রভাব খাটিয়ে এলাকাসীর কথায় কর্ণপাত না করে অবৈধভাবে ড্রেজার বসিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বালু ও মাটি বিক্রি করে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা।এলাকাবাসী মাইকিং করে ওই এলাকায় বালু উত্তোলন নিষেধ করেও কোন কাজ হচ্ছে না।
নিজেদের এলাকার নিশ্চিত ক্ষতি দেখেও প্রভাবশালীদের ভয়ে মুখ খুলতে পারছেনা অসহায় এলাকাবাসী। মুখ খুলে কোথাও কথা বললেই হুমকি আসছে বলেও জানান স্থানীয়রা।
দীর্ঘদিন থেকে অবৈধ ভাবে বালু বিক্রির মহোৎসব চললেও অজ্ঞাত কারনে নিরব ভুমিকা পালন করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ।
সরেজমিন বুধবার বিকেলে কাঁচকোল বাজার এলাকায় গেলে বলগেড ও ড্রেজার মেশিনে বালু উত্তোলনের দৃশ্য চোখে পড়ে।এসময় ওই এলাকার নন্দ মিয়া , শরীয়ত উল্লাহ সহ অনেকে জানান,সামনের জমিগুলোতে চর সৃষ্টি হলে আমাদের এলাকায় ভাঙ্গনের ঝুঁকি কমে যাবে।
এছাড়াও সৃষ্ট চর থেকে আমরা নানান সুবিধা পেয়ে থাকি। বর্তমানে যেভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে তাতে চর তো দুরের কথা ডান তীর যে কোন সময় ছুটে যেতে পারে। সামনে গিয়ে দেখা যায় বীরদর্পে বলগেডের বালু ড্রেজার মেশিনের মাধ্যমে নামিয়ে অন্যের জমি ভরাট করা হচ্ছে।
সেখানে ড্রেজার মেশিনের মালিক সাইদুর রহমান বলেন, আমার বাড়ী উলিপুরে,আমি তো এখানে একা ব্যবসা করতে পারতাম না। এলাকার আ. রাজ্জাক, রুবেল, হালিম, বাবু, হারুনসহ অনেকেই এটার সাথে জড়িত। নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনেকে আক্ষেপ করে বলেন, শুনে আর কি করবেন? যা ক্ষতি হওয়ার তাতো হচ্ছেই। আপনারাও তো কিছু করতে পারবেন না।
মুঠো ফোনে কথা হলে উপ-সহকারী প্রকৌশলী শরিফুল ইসলাম এলাকায় গিয়ে খোঁজ নিবেন মর্মে জানান।
এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম বলেন, এমন তো হওয়ার কথা না, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ জাতীয় আরো খবর..
I could not resist commenting. Very well written!
Here is my homepage :: best cbd gummies for pain
My brother recommended I might like this blog. He was entirely
right. This post truly made my day. You can not imagine simply how
much time I had spent for this info! Thanks!
my page :: cbd gummies for pain