কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার পাউবো বাঁধের পূর্ব এলাকায় বন্যার পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও পশ্চিম এলাকায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়ে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়ে লক্ষাধিক মানুষ পানি বন্দী হয়ে পড়েছে। রাণীগঞ্জ, কুটির গ্রাম, পাঁচ গ্রাম, ভাটিয়া পাড়া, নয়া বাজার, বকুলতলা, নাপিত পাড়া, রাজারঘাট, ব্যাপারী পাড়া, বুরুজের পাড়, ঠগের হাট, পুটিমারী, মজাইডাঙ্গা, খামারপাড়া, কিশামতবানু, গবেরতল, মজিতের পাড়, ছড়ার পাড়, শেখপাড়া, বেলেরভিটার, মাটিকাটা, ডেমনারপাড়, ডাওয়াইটারী, শান্তিনগর, সবুজ পাড়া এলাকা প্লাবিত হয়ে লক্ষাধিক মানুষ পানি বন্দী হয়ে পড়েছে। এসব এলাকার লোকজন ঘরের ভিতর উচু মাচা করে কিংবা খাটের নিচে ইট উচু করে দিয়ে বসবাস করছে। বন্যার্তদের অনেকে উচু রাস্তা, হ্যালিপ্যাডসহ বিভিন্ন উচু জায়গায় গবাদী পশুসহ আশ্রয় নিয়ে খোলা আকেশের নিচে বসবাস ককরছে। তাদের রান্নার ব্যবস্থা কিংবা কারো ঘরে খাবার না থাকায় অর্ধাহারে-অনাহারে দিনাতিপাত করছে।
উপজেলা পরিষদ ও পুলিশ ষ্টেশনে হাটু পানি হওয়ায় অফিসের স্বাভাবিক কার্যক্রম বন্ধ হয়ে পড়েছে। উপজেলা পেদিখাওয়া এলাকায় কেসি সড়ক, হ্যালিপ্যাড সংলগ্ন রাস্তা, পুটিমারী রাস্তা, আকন্দ পাড়া রাস্তা, বালাবাড়ীহাট রাস্তাসহ প্রায় ৫০ কিলোমিটার রাস্তা বন্যার পানিতে তলিয়ে গিয়ে স্রোতের তোড়ে ব্রীজ, কার্লভাট ও রাস্তাগুলো মারাত্বক হুমকির মুখে পড়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে জানা যায়, উলিপুর উপজেলার অনন্তপুর এলাকার পাউবো বাঁধের স্লুইচগেটের রেগুলেটর না থাকায় বন্যার পানি গেট দিয়ে প্রবেশ করে চিলমারী হয়ে ব্রহ্মপুত্র যাচ্ছে।
উপ-সহকারী প্রকৌশলী আব্দুল হান্নান জানান, ব্রহ্মপুত্র নদের চিলমারী পয়েন্টে ২৪ সেঃ মিঃ পানি কমে গিয়ে বিপদ সিমার ৮৪ সেঃ মিঃ উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। পাউবো বাঁধের পশ্চিম এলাকার চেয়ে পূর্ব এলাকায় পানির স্তর নিচে থাকায় রাণীগঞ্জ ও পাত্রখাতা স্লুইচ গেট খুলে দেওয়া হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ,ডব্লিউ এম রায়হান শাহ্ বন্যার্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন।