1. admin@surjodoy.com : Main : Admin Main
  2. dainiksurjodoy24@gmail.com : admin2020 : TOWHID AHAMMED REZA
  3. editor@surjodoy.com : Daily Surjodoy : Daily Surjodoy
চুলা জ্বালানোর সময় বিস্ফোরণে প্রাণ গেল অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীসহ ৩ জনের
সোমবার, ১২ মে ২০২৫, ১২:৩০ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
কসবায় বিএসএফের এলোপাথাড়ি গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত! চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে ৩ হাজার পিস ইয়াবা সহ আটক ১ঃ মাদক পরিবহনে নিয়োজিত মোটর সাইকল জব্দ ট্রেনঃ পৃথিবীর সবচেয়ে আন্ডাররেটেড ঘাতকের রহস্য এবং “হ্যাবিচুয়াল কনফিডেন্স” চট্টগ্রামে ১৪ পিছ বিদেশী স্বর্নের বার সহ আটক ১ সাবেক ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে ছেড়ে দিয়েছে আদালত আওয়ামীলিগের সময়ে আওয়ামীলিগের নেতা , বিএনপির সময়ে বিএনপির নেতা সেজে প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা ! নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে এলজিইডি কুমিল্লার মতবিনিময় কলেজ ছাত্র আব্দুল আলীম হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন ! সাভারে বিরুলিয়ায় নিহত নারী ছিলেন অন্তঃসত্ত্বা : স্বামী গ্রেফতার । ফেসবুকে মানহানিকর লেখা প্রচারের অভিযোগ এনে এক কোটি টাকার মানহানি এবং হত্যা চেষ্টার মামলা দায়ের করা হয়েছে।

চুলা জ্বালানোর সময় বিস্ফোরণে প্রাণ গেল অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীসহ ৩ জনের

  • আপডেট টাইম : বুধবার, ৮ জুলাই, ২০২০, ৯.০০ পিএম
  • ৩০৭ বার পঠিত

চোখের সামনেই অগ্নিদ্বগ্ধ হয়ে মারা গেলেন স্বামী ও সন্তান। পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় নিজের শরীরের ৯৫ ভাগ পুড়ে গেলেও বাঁচার চেষ্টা করেছিলেন ফাতেমা আক্তার(২৬)। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বাঁচতে পারলেন না। হার মানতে হলো মৃত্যুর কাছে।

এর আগে গত মঙ্গলবার বিকেলে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ঢাকা শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে পাঠানোর আগে বড় ভাই আবু ছাঈদের কাছে বলেন,‘আমি বাঁচতাম না,আমার পেট কাইট্যা বংশ বাইর করো। না হয় নির্বংশ হয়ে যাবে।  রাতেই জানাযা শেষে ফাতেমার লাশ স্বামী ও সন্তানের পাশেই দাফন করা হয়েছে। ফাতেমার কথাই সত্যি হলো। রইলো না বংশ।

এই পরিবারটির বাড়ি ময়মনসিংহের নান্দাইল পৌরসভার চন্ডীপাশা মহল্লায়। গত প্রায় ১২ বছর আগে বিয়ে হয় ওই দম্পত্তির। জন্ম নেয় এক শিশু পুত্রের। পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, শিশু পুত্রকে নিয়ে কাশেম ও ফাতেমা আশুলিয়া থানার আশুলিয়া ইউনিয়নের দুর্গাপুর চালা গ্রামের শহীদ হাজির (বাড়টি হাজী বাড়ি নামে পরিচিত) বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। ওই দম্পতি আশুলিয়া এলাকার আলাদা দুটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। ফাতেমা পাঁচ মাসের সন্তান সম্ভবা ছিলেন।

ফাতেমার ভাই আবু ছাইদ জানান, মৃত্যুর আগে কাশেম ও অগ্নিগদ্ধ ফাতেমা তাঁকে বলেছেন, ওই বাড়িতে গ্যাসের সংযোগ থাকলেও সেটি বৈধ ছিল না। তাই ফাতেমা দম্পতি এলপিজি সিলিন্ডার ব্যবহার করতেন। সম্প্রতি বাসার অবৈধ গ্যাস সংযোগ দিয়ে গ্যাস আসতে থাকে। ফাতেমা ওই গ্যাস দিয়ে রান্নার কাজ চালাতেন। কিন্তু গত তিন-চারদিন যাবৎ গন্ধ ছড়ালে ফাতেমা বুঝতে পারেন গ্যাস লাইন দিয়ে গ্যাস লিকেজ হচ্ছে। বিষয়টি তিনি বাড়ির তত্ত্বাবধায়ককে (নাম বলতে পারেননি) জানান। পরে ওই তত্ত্বাবধায়ক এসে মিস্ত্রি দিয়ে লাইন মেরামত না করে নিজেই সাবান লাগিয়ে গ্যাসের লিকেজ বন্ধ করে দিয়ে যান।

এই অবস্থায় গত সোমবার ভোরে ফাতেমা রান্নার আয়োজন করেন। তখন তাঁর স্বামী ও সন্তান গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন। যাবতীয় আয়োজন শেষ করে ফাতেমা বেগম দিয়াশলাই কাঠি জ্বালানোমাত্রই বিকট শব্দ করে পুরো কক্ষে আগুন ধরে যায়। ঘটনাস্থলেই শিশু আলআমীন মারা যায়। বিকট শব্দ পেয়ে স্থানীয়রা এসে অগ্নিদগ্ধ আবুল কাশেম ও ফাতেমাকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।

হাসপাতালে নেওয়ার পথে কাশেমের মৃত্যু হয়। ফাতেমাকে এনাম মেডিকেলে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হয়। কিন্তু পরিবারের পক্ষে অর্থ যোগান দেওয়া সম্ভব না হওয়ায় স্বজনরা তাঁকে গত মঙ্গলবার রাতে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে এনে ভর্তি করে। সেখান থেকে ফাতেমাকে শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিউটে স্থানান্তরের জন্য বলা হয়েছিল। পরে বিকেলে মারা যান ফাতেমা।

তিনজনকেই হারিয়ে ফাতেমা ও কাশেমের পরিবার দিশেহারা। পুরো এলাকা শোকে আচ্ছন্ন। কেউই এই মৃত্যুকে মেনে নিতে পারছে না। তারা ওই বাড়ির মালিকের দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved  2020 Daily Surjodoy
Theme Customized BY CreativeNews