কলকাতা থেকে নিউজ দাতা মনোয়ার ইমামঃ
গতকাল গভীর রাতে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার মগরাহাট পশ্চিমের উত্তর কুসুম অঞ্চল যুব তৃনমূল দলের নেতা সুজাউদ্দিন গাজীর শেষ কাজ সম্পন্ন হয়। তার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তে পুরো মগরাহাট পশ্চিমের শোকের ছায়া নেমে আসে। এই যুব নেতার জানাজা সম্পন্ন হয় উত্তর কুসুম অঞ্চল এর কারবালার হাই স্কুল মাঠ প্রন্তে। হাজার হাজার মানুষ তাকে শেষ দেখার জন্য ছুটে আসেন। গোটা এলাকা এতটাই শোক যে সাধারণ মানুষের চোখের জল ফেলতে দেখা গেছে। সুজাউদ্দিন গাজীর পরিবারের সাথে গুলিবিদ্ধ হবার দিন থেকে তাদের পাশে রয়েছে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার মগরাহাট পশ্চিমের যুব তৃনমূল দলের নেতা জনাব ইমরান মোল্লা ও মগরাহাট পশ্চিমের জেলা পরিষদ সদস্য শ্রী মতি সঞ্জীতা হালদার ও মগরাহাট পশ্চিমের সাবেক সভাপতি ও তৃনমূল দলের নেতা শ্রী সব্যসাচী গায়েন এবং মগরাহাট পশ্চিমের তৃনমূল দলের জয়হিন্দ বাহিনীর সভাপতি জনাব কাজী ইন্তেজামুল হক এবং মগরাহাট পশ্চিমের তৃনমূল দলের নেতা ও উত্তর কুসুম অঞ্চল প্রধান জনাব কুতুবউদ্দিন লস্কর। সেই সঙ্গে রাজনৈতিক সম্পর্ক না থাকলে সুজাউদ্দিন গাজীর কাছে ছুটে যান ও তার জন্য হাসপাতালে ভর্তি সময় থেকে তার পাশে ছিলেন সুজাউদ্দিন গাজীর একসময় রাজনৈতিক গুরু এবং মগরাহাট পশ্চিমের সাবেক বিধায়ক ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার ভারতের জাতীয় কংগ্রেস নেতা জনাব আব্দুল বাসার লস্কর। ছুটে আসেন মগরাহাট পশ্চিমের তৃনমূল দলের নেতা ও সাবেক পঞ্চায়েত সচিব জনাব নুরুজ্জামান সেখ মন্টু। এবং শ্রমিক শ্রেণীর নেতা জনাব আকতার হোসেন হালদার খোকন। এছাড়াও বহু তৃনমূল দলের নেতা ও হাজার হাজার কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। মৃত তৃনমূল দলের নেতা জনাব সুজাউদ্দিন গাজীর পরিবারের পক্ষ থেকে এবং মগরাহাট পশ্চিমের যুব তৃনমূল দলের পক্ষ থেকে এই খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ করেন মগরাহাট পশ্চিমের বিধায়ক ও সাবেক পশ্চিম বাংলার মাদ্রাসা শিক্ষা দপ্তরের মন্ত্রী জনাব গিয়াসউদ্দিন মোল্লার বিরুদ্ধে। তাদের অভিযোগ উত্তর কুসুম অঞ্চল প্রধান জনাব কুতুবউদ্দিন লস্কর কে ফেলতে সরাসরি ফোন করে উত্তর কুসুম অঞ্চল যুব তৃনমূল দলের নেতা জনাব সুজাউদ্দিন গাজীর কাছে। কিন্তু তিনি রাজি না হওয়ার কারণে তাকে সুপারি কিলার দিয়ে খুন করা হয়েছে। সেই সঙ্গে এই খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার জন্য মগরাহাট পশ্চিমের আই এন টি টি ইউ সি সভাপতি জনাব ফিরোজ উদ্দিন পুরকায়স্থের নাম উঠে এসেছে স্হানীয় সাধারণ মানুষের মুখে ও যুব তৃনমূল দলের পক্ষ থেকে। কারণ যখন তৃনমূল দলের উত্তর কুসুম অঞ্চল যুব সভাপতি সুজাউদ্দিন গাজী কে করেন মগরাহাট পশ্চিমের বিধায়ক তখন ফিরোজ উদ্দিন পুরকায়স্থের নাম করেন মগরাহাট পশ্চিমের বিধায়ক জনাব গিয়াসউদ্দিন মোল্লা সেখানে সুজাউদ্দিন গাজী কে চাপ সৃষ্টি করে ফিরোজ উদ্দিন পুরকায়স্থের সাথে নিয়ে কুখ্যাত অপরাধী হিসেবে যাকে ধরা হয়েছে সেই হবিবুর রহমান মোল্লা কে নিয়ে উত্তর কুসুম অঞ্চল প্রধান জনাব কুতুবউদ্দিন লস্কর কে ফেলতে বলে। কিন্তু সুজাউদ্দিন গাজী তা না করার কারণে তাকে সুপারি কিলার দিয়ে গুলি করে খুন করা হয়েছে। এই ঘটনার জন্য মোট সাত জন কে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডায়মন্ডহারবারের এস ডি পি ও শ্রী মিতুন কুমার দে এবং মগরাহাট পশ্চিমের উস্হি থানা ও মগরাহাট থানার সি আই দক্ষ পুলিশ অফিসার শ্রী সুবির বাগ এবং সাবেক উস্হি থানার দক্ষ ওসি শ্রী অভিজিৎ বাবু। এই কেসের তদন্ত চলছে। আগামী দিনে কোথায় গিয়ে দাড়ায় তা দেখার জন্য অপেক্ষা করতে হবে।