
সোহেল রানা: ঢাকা থেকে মূল হোতা ১১ সেপ্টেম্বর লালকুঠি ঘাটে সোহেলকে গ্রেফতার করেন। সকাল আনুমানিক ১২.০০ ঘটিকার দিকে বাউফল থানাধীন মদনপুরা ইউনিয়নস্থ দিপাশা খেয়াঘাট উঁচু ব্রীজ সংলগ্ন লিটন মোল্লার দোকানের সামনে মিন্টু মৃধা (৪৫) কে পূর্ব বিরোধের জের ধরে অভিযুক্ত ১। সোহেল, ২। মিজান পিতা- মৃত ফজলে করিম মাতব্বর, ৩। মেহের আলী (সোহেলের ভগ্নীপতি) সহ কয়েকজন দুষ্কৃতীকারী হঠাৎ এসে হাতুড়ি, লাঠী, স্ক্রু ড্রাইভার দিয়ে আঘাত করে বাম চোখ উঠিয়ে ফেলে এবং ডান চোখসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে। ভিকটিমকে প্রথমে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখান থেকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে নিলে তাকে ঢাকায় রেফার্ড করে। ভিকটিম বর্তমানে ঢাকার চক্ষু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের স্ত্রী রাজিয়া বেগম বাদী হয়ে বাউফল থানায় এজাহার দায়ের করলে মামলা মামলা নং ০৯; তাং ১২.০৯.২০২০; ধারা ১৪৩/৩২৩/৩২৫/৩২৬ ক/৩০৭/৩৭৯ পিসি রুজু করা হয়।
উল্লেখ্য যে, ভিকটিম- মিন্টু মৃধা(৪৮), পিতা আঃ করিম মৃধা, সাং গোসিংগা, থানা বাউফল, জেলা পটুয়াখালী এর নামে বাউফল থানার মামলা নং-৩৮, তাং-২৯/৮/২০১৭ খ্রিঃ ধারা-১৪৩/৩৮৫/ ৩২৩/ ৩২৫/ ৩২৬/৩০৭/১১৪ পিসি; মামলা নং-৩৪, তাং-২৯/১০/২০১৭ খ্রিঃ ৩০২/৩৪পিসি; মামলা নং-২১, তাং-১৭/১০/২০১৭ খ্রিঃ ধারা-১৯৯০ সনের মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনের ১৯(১) এর টেবিল ৭(ক)/২৫; মামলা নং-১৮, তাং-১৩/০৬/১৩ খ্রিঃ ১৪৩/৩৪১/৩২৩/৩২৬/ ৩০৭/৩৭৯/ পিসি মামলা রয়েছে। উক্ত সকল মামলায় ইতিমধ্যে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে।
বিশেষ স্মর্তব্য যে, আলোচ্য ঘটনা ঘটার সাথে সাথে পটুয়াখালীর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মইনুল হাসান পিপিএম এর নির্দেশে জেলা পুলিশের একটি বিশেষ আভিযানিক দল আসামিদের গ্রেফতার করতে মাঠে নামে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আভিযানিক দলটি জানতে পারে যে, মূল অভিযুক্ত সোহেল দুপুর ১৫.০০ ঘটিকায় বরিশাল থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া গ্রীনলাইন ওয়াটার বাসে চলে গেছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে ওই দিনই রাত ২১.০০ ঘটিকায় (ঘটনা ঘটার ০৯ ঘন্টার মধ্যে) ঢাকার লালকুঠি ঘাট হতে আসামি সোহেলকে গ্রেফতার করা হয়। সে অদ্য ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ বিজ্ঞ আদালতে ফৌজদারী কার্যবিধির ১৬৪ ধারা মোতাবেক স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে।
ঘটনার সাথে জড়িত অপরাপর আসামিদের গ্রেফতারের প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে।
এ জাতীয় আরো খবর..
Leave a Reply