প্রিন্ট এর তারিখঃ নভেম্বর ২৬, ২০২৪, ১০:২৭ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ অগাস্ট ৭, ২০২১, ১২:৪৪ এ.এম
চৌডালায় দুইটি কিডনি নষ্ট আঃ রাহিম অর্থের অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছেন না
চৌডালায় দুইটি কিডনি নষ্ট আঃ রাহিম অর্থের অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছেন না
শাহিন আলম গোমস্তাপুর প্রতিনিধি,
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলা চৌডালা ইউনিয়নের সোমারপাড়া গ্রামের ফরমান আলির ছেলে আঃরাহিম (২৮) এক বছর যাবত কিডনি জনিত রোগে ভুগছে। তার দুইটি কিডনিই নষ্ট। তার দুইটি শিশু সন্তান আছে। যার বয়স ৬/৮ চিকিৎসার জন্য খেটে খাওয়া যে সম্বল টুকু ছিল তা হারিয়ে ফেলেছেন চিকিৎসার জন্য। এখন ভিটেমাটি ছাড়া আর কোনো তার সম্বল নেই। কিডনি নষ্ট হওয়া আঃরহিমের পিতা ফরমান আলী বলেন, আমার যা ছিলো সব কিছু আমার ছেলে চিকিৎসার জন্য শেষ করে ফেলেছি। এখন ভিটেমাটি ছাড়া আর কোন সম্বল নেই। তিনি আরও জানান আমার ছেলে এক বছর আগে শরীরটা হঠাৎ ফুলে যায় তারপর বিভিন্ন জায়গায় যায় রহনপুর,চাঁপাইনবাবগঞ্জ,রাজশাহী নিয়ে যায় অনেক পরিক্ষা নিরিক্ষার পর জানা গেল তার দুইটি কিডনি নষ্ট হয়ে গেছে।
আমার ছেলের তার সমস্ত শরীর ফুলে যায় । তার এই অসুখ দেখে আমরা তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায় চিকিৎসা করাতে। সেখানে বিভিন্ন মেডিকেল টেস্ট করে জানতে পারি তার দুইটি কিডনি নষ্ট বলে চিকিৎসকরা জানায়। কিডনি ছাড়া তাকে বাচানো সম্ভব নয় তবে কেই যদি একটি কিডনি দেই তাহলে সে কোন রকমে সেই শিশু দুইটি নিয়ে দিন যাপন করতে পারবে।একটি কিডনি স্থাপন করতে পাঁচ থেকে ছয় লক্ষ টাকা লাগবে। কিন্তু আমি পিতা,আমি তো আর থেমে থাকতে পারিনা। সন্তানের আর্তনাদ শুনে তার চিকিৎসার জন্য দ্বারে-দ্বারে, পথে পথে ঘুরতেছি। সে স্বাভাবিক ভাবে খেতে পারছেনা গত ৩মাস থেকে। ৪মাস সে আরও অবনত হতে আছে। আমার এই ছেলে গ্রামীন এনজিও থেকে ২০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে চিকিৎসা করিয়েছে। আমিতো দিন আনি দিন খাই, আমি একজন কৃষক তা দিয়ে আমার সংসার চালায় ও ছেলের চিকিৎসা করায়। আমি যখন খরচ করতে পারছিলাম না । ইউপি সদস্য ও চেয়ারম্যান এর কাছে হাত পেতেও কোনো সাড়া পাইনি। কি করে আমি এই খরচ চালাবো? সেই দুশ্চিন্তায় আমার ঘুম আসছেনা।
এ বিষয়ে কিডনি নষ্ট হওয়া ছেলের মা কান্না জড়িত কণ্ঠে জানান, হামার ২টি বেটা শাহিন ও রাহিম তাকে খুব আদর করে মানুষ করেছি। কি গো নে যে আল্লাহ আমাকে এতো বড় শাস্তি দিল। আমি কি আর করবো। আমি বেটার লাগিয়ে- ভালো করিয়া ঘুমাইতে পারি না।
রুম থেকে ছেলেকে বাইরে নিয়ে এসে প্রতিবেদকের সামনে বসে। প্রতিবেদকের কণ্ঠ শুনে রাহিম বলে, কে এসেছে গে মা? মা বলে সাংবাদিক এসেছে বেটা তোকে দেখতে। সাংবাদিকরা কি করে গে মা? বলে সাংবাদিক পেপার লেখে।তোর ছবি তুলে পেপারে দিবে তাই। ছবি তোলে আবার কি হবে বলে তোমার চিকিৎসা করার জন্য যদি কেউ সাহায্য করে। সে বলে তাহলে তুলুক ছবি। ছবি তুলে প্রতিবেদকের সাথে কথা বলে রাহিম এবং তার কথা শুনে প্রতিবেদক কান্নায় আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়ে।
আপনারা আমাদের মাধ্যমে অথবা সরাসরি তাদের সাহায্য করতে পারেন। আমাদের মাধ্যমে করলে আমরা আপনার দানকৃত অর্থ সহ আপনাকে পেইজের মাধ্যমে প্রকাশ করবো।
আর্থিক সাহায্য করতে যোগাযোগ করুন -
নামঃ মোঃআঃ রাহিম
মোবাইল নম্বরঃ 01309504326
01780987442 ( বিকাশ,পার্সোনাল)
প্রতিষ্ঠাতা : মেজর (অব) মোঃ মোদাচ্ছের হোসাইন, সম্পাদক মন্ডলির সভাপতি: বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান আহমেদ এমপি, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: তৌহিদ আহমেদে রেজা, বার্তা সম্পাদক: আসমা আহমেদ কর্তৃক ৫৪ কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ সৈয়দ ভবন, ঢাকা-১২১৩ থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত
© All rights reserved 2020 Daily Surjodoy