মোঃ কামাল উদ্দিন, চকরিয়া প্রতিনিধি:
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের সুরাজপুর গ্রামে ছাগল পরিত্যক্ত বাদাম ক্ষেত খাওয়ায় কুলছুমা বেগম নামের ৫ সন্তানের জননীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। ৫ সন্তানের মধ্যে একটি দেড় বছর বয়সি শিশু সন্তানও রয়েছে। নিহত কুলছুমা বেগম ওই এলাকার নুর মোহাম্মদের স্ত্রী বলে জানা গেছে।
শুক্রবার (৩ মার্চ) সন্ধ্যার দিকে লোমহর্ষক ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার মানিকপুর-সুরাজপুর ইউনিয়নের উত্তর সুরাজপুরের ৮নং ওয়ার্ডের পাহাড়তলী এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কুলছুমা বেগম একটি ছাগল লালন-পালন করতো। আর ছাগল পালনই যেন তার জীবনে কাল হয়ে দাঁড়িয়েছিলো। কারণ,
বাদামের গাছ থেকে বাদাম ছিড়ে ফেলার পর শুকাতে দেওয়া পরিত্যক্ত গাছ ছাগলে খেয়েছে বলেই নরপশুদের পিটুনিতে আজকে তাকে জীবন দিতে হলো। এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য মো.হানিফ বলেন, একই এলাকার মো.হারুন মাতামুহুরী নদীর চরের কিছু এলাকায় বাদামের চাষ করেছিলো। সম্প্রতি ওই বাদাম গাছ তুলে বাদাম ছিড়ে পরিত্যক্ত পাতাগুলো বাড়ির উঠানে রেখে দেয়। পার্শ্ববর্তী বাড়ির কুলছুমা বেগমের পালিত ছাগল হারুনের উঠানে গিয়ে শুকাতে দেওয়া পরিত্যক্ত বাদামের গাছ খেয়ে ফেলে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে হারুন কুলছুমার ছাগলটি বেঁধে রাখে। ছাগল বেঁধে রাখায় বিচার নিয়ে আসে কুলছুমার স্বামী নুর মোহাম্মদ। পরে শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে স্থানীয় লোকজনকে নিয়ে বিষয়টির সমাধান করে দিয়ে ছাগলটি নুর মোহাম্মদকে ফেরৎ দিয়ে দিই। এরপর আমি বাড়িতে চলে আসার পর জানতে পারি কুলছুমা'কে মারধর করেছে হারুনের নেতৃত্বে একদল দুর্বৃত্ত।
সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজিমুল হক আজিম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ছাগল শুকাতে দেওয়া পরিত্যক্ত বাদামের গাছ খাওয়াকে কেন্দ্র করে দুই পরিবারের মধ্যে একটা সমস্যা হয়েছিলো। আমার মেম্বার তার সমাধানও করেছে। কিন্তু এরপরও কুলছুমা'কে মেরে ফেলা কোনভাবেই মেনে নেয়া যায়না।
তিনি আরও বলেন, কুলছুমাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আমি এঘটনার সাথে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি। প্রশাসনের পাশাপাশি আমার পরিষদের চৌকিদার-দফাদারকে আসামীদের ধরতে সহযোগিতা করার জন্য বলেছি। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চন্দন কুমার চক্রবর্তী বলেন, কুলছুমাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তার শরীরের বেশ কয়েকটি জখমের চিহৃ রয়েছে। বর্তমানে কুলছুমার মরদেহ চট্টগ্রাম মেডিকেলে রয়েছে।
প্রতিষ্ঠাতা : মেজর (অব) মোঃ মোদাচ্ছের হোসাইন, সম্পাদক মন্ডলির সভাপতি: বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান আহমেদ এমপি, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: তৌহিদ আহমেদে রেজা, বার্তা সম্পাদক: আসমা আহমেদ কর্তৃক ৫৪ কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ সৈয়দ ভবন, ঢাকা-১২১৩ থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত
© All rights reserved 2020 Daily Surjodoy