সজিব খান :
ঢাকা থেকে নামে-বেনামে কতোগুলা পত্রিকা বের হয় রাতে ফকিরাপুলে গেলেই তা দেখা যায়। ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক পত্রিকার সংখ্যা ৫০২টি। ডিএফপির তালিকাভুক্ত পত্রিকা দু’শর বেশি। এর মধ্যে কয়টা পত্রিকা আমরা চিনি বলেন তো ?
হাতেগুনা যে কয়টা পত্রিকা বাজারে আসে সেগুলোই চিনি। তাহলে বাকি পত্রিকাগুলা কোথায় যায়, কখন ছাপায় বলতে পারেন? অনেকে একাই দুই-চারটা দৈনিক পত্রিকার মালিক। কিন্তু কোনোটাই ঠিকমতো ছাপায় না। কেউ দৈনিক পত্রিকার ডিক্লারেশন নিয়ে মাসে একবার বা দুইবার বের করে।আবার কেউ বছরে কয়েকবার মাত্র ছাপায়। বিজ্ঞাপন আছে তো পত্রিকা ছাপে, বিজ্ঞাপন নাই তো ছাপা বন্ধ। সে যাগগে।এসব পত্রিকার বেশিরভাগ কিভাবে বের হয় জানেন তো? এমনও পত্রিকা আছে যাদের কোনো অফিস নেই।
একসময় ছিলো হয়তো বা সিস্টেম করে বন্ধুবান্ধব বা পরিচিত লোকের অফিসের ঠিকানা ব্যবহার করে ডিক্লারেশন নিয়ে নিছে। এখন বাসাতেই অফিস। আর কিছু অফিসে এমনও দেখা যায় যে, পিয়ন আর সম্পাদক ছাড়া কোনো কর্মী নাই। আর প্রতিবেদকের কথা না হয় নাই বললাম। প্রতিবেদক থাকলেও নিউজ পাঠানোর চেয়ে বিজ্ঞাপন কালেকশন করেই তাদের মূল দায়িত্ব। আর প্রতিবেদক লাগবেই বা কেন? ফকিরাপুল থেকে শুধুমাত্র মাস্টহেড চেঞ্জ করে রেডিমেট পত্রিকা বের করা যায়। সারা মাস কন্টাক্টচুয়্যাল পত্রিকা বের হয়। রাতে পত্রিকায় কি নিউজ ছাপা হয় সম্পাদক নিজেই জানে পরদিন সকালে।
এসবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া না হলে ছাপা পত্রিকায় যে অর্থনৈতিক সংকট তা পুরোপুরো কখনোই লাঘব হবে না। এসব পত্রিকাগুলোই ২০-২৫% কিছু ক্ষেত্রে ৫০% ও কমিশন দিয়ে সরকারি বিজ্ঞাপনের একটা বড় অংশ দখল করে নেয়। সার্কুলেশন যাই হোক না কেন, অল্প কিছু সংখ্যক পত্রিকা ছেপে শুধুমাত্র বিজ্ঞাপন দাতার কাছে পৌঁছে দেয় হয়। আর নামে বেনামে পত্রিকা খুলে আইডিকার্ড বিক্রির ব্যবসা তো আছেই। জমির দালাল থেকে শুরু করে চা বিক্রেতাও এখন সাংবাদিক।
এসবের প্রভাব দেশের গণমাধ্যমে কতোটা পড়ছে আঁচ করতে পারেন। আর কতোদিন এসব দেখতে হবে ?
প্রতিষ্ঠাতা : মেজর (অব) মোঃ মোদাচ্ছের হোসাইন, সম্পাদক মন্ডলির সভাপতি: বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান আহমেদ এমপি, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: তৌহিদ আহমেদে রেজা, বার্তা সম্পাদক: আসমা আহমেদ কর্তৃক ৫৪ কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ সৈয়দ ভবন, ঢাকা-১২১৩ থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত
© All rights reserved 2020 Daily Surjodoy