জমি-ঘর কিছুই নাই, ১৫০ টাকায় সংসার চালাই
ইদ্রিছ আলী দীঘিনালা প্রতিনিধি
Facebook Twitter share
আবদুল মালেক ওরফ মালো। পেশায় একজন চা বিক্রেতা। তিনি খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার উত্তর রশিক নগর গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা। তবে মধ্য বোয়ালখালীতে একটি ছোট্ট ভাড়া দোকানে শুধুমাত্র চা বিক্রি করে জীবিকার সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। একসময়ের স্বাবলম্বী মালো সময়ের পরিক্রমায় এখন সবকিছু হারিয়ে নিঃস্ব প্রায়। সারাদিন চা বিক্রি করে প্রতিদিন গড়ে ১শত ৫০ টাকায় দুই কন্যা ও স্ত্রীকে নিয়ে খেয়ে না খেয়ে দিনযাপন করছেন তিনি। সরকারি সুবিধার মধ্যে শুধুমাত্র খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির আওতায় একজন ভাতাভোগী।এসবে কি সন্তানদের পড়াশোনা ও সাংসারিক চাহিদা মেটাতে পারছেন মালো? তার জন্য কি জনপ্রতিনিধিদের করার কিছুই নেই।
Surjodoy.com
প্রতিনিধি সংবাদ সংগ্রহের কাজে গ্রামটিতে গেলে আক্ষেপ করে আবদুল মালেক ওরফে মালোর কষ্টের জীবন সংগ্রামের কথা তুলে ধরেন এলাকাবাসী।
এসব বিষয় জনপ্রতিনিধিরা অবগত কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে এলাকাবাসী জানান, সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য বান্দরবানে নিজের ঠিকাদারি কাজে সর্বদা ব্যস্ত থাকেন। এলাকায় মালোর মতো অনেকেই কষ্টে দিনযাপন করছেন।
The Daily surjodoy
আবদুল মালেক ওরফে মালো অশ্রুসিক্ত নয়নে বলেন, একসময় অনেক স্বাবলম্বী ছিলাম। নিজের অসুস্থতা ও নানা জটিলতার কারনে আজ আমি অসহায়। এ বয়সে এসে আমার কোন জমি-ঘর কিছুই নেই। শুধুমাত্র চা-বিক্রি প্রতিদিন গড়ে ১শত ৫০ টাকা আয় করি। এসব দিয়েই কোনমতে দিনযাপন করছি। আমার “জমি-ঘর কিছুই নাই, ১৫০ টাকায় সংসার চালাই”
The Daily surjodoy
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্যের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে মেরুং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রহমান কবির রতন বলেন, লোকটির বিষয়ে আমাকে অবগত করা হলে তাকে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির একটি কার্ড করে দেই। পরবর্তীতে আরোও সরকারি সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস প্রদান করেন তিনি।
Like this:
Like Loading...
Related
এ জাতীয় আরো খবর..