জয়পুরহাটে আগুনে বাড়িঘর পুড়ে ৮টি পরিবার খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে। সরকারি-বেসরকারি আর্থিক সহযোগিতা কামনা করেছেন ক্ষতিগ্রস্তরা।
গত শনিবার (২৫ শে মার্চ) বিকেলে সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, এক বছরের একটি শিশুকে নিয়ে খোলা আকাশের নিচে বসে আছেন জয়পুরহাট শহরের নতুন শেখপাড়ার রিকশাচালক জুয়েল হোসেনের স্ত্রী নূপুর বেগম। তার মতো আরও ৭টি পরিবারের সদস্য মাথা গোঁজার শেষ আশ্রয়টুকু হারিয়ে এখন তার নিঃস্ব।
জানা গেছে, শনিবার বেলা ১১ টায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে মুহূর্তের মধ্যেই পুড়ে যায় আবু ছালামের নিজ ঘরসহ ভাড়া দেয়া বাড়িঘর। খবর পেয়ে জয়পুরহাট ফায়ার সার্ভিসের ৩টি ইউনিট এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনলেও ততক্ষণে সবকিছুই শেষ হয়ে যায়।
ক্ষতিগ্রস্ত নূপুর বেগম জানান, এই বাড়িতে বসবাসরত ৮টি পরিবারই শ্রমজীবী। সকালে তারা যে যার মতো করে কাজে গেলে, কখন কীভাবে যে আগুন লাগে, তা কেউ বলতে পারছেন না।
জয়পুরহাট ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক শওকত আলী জোদ্দার জানান, সরু গলি আর পানির সংকটের কারণে আগুন নেভাতে বেগ পেতে হয়েছে। তবে এখনও আগুনের সূত্রপাত উদ্ঘাটন করা সম্ভব হয়নি।
এদিকে অগ্নিকাণ্ডের পর স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনও কোনো ধরনের আর্থিক সহযোগিতা পায়নি পরিবারগুলো। তবে জয়পুরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্য এ্যাড.শামছুল আলম দুদু-এমপি বিকেলে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের হাতে চাল, ডাল, কাপড়, নগদ অর্থ ও খাদ্যসামগ্রী তুলে দিয়েছেন। এ সময় তিনি সরকারিভাবে সহযোগিতা করারও আশ্বাস দিয়েছেন।
এ বিষয়ে জয়পুরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরাফাত হোসেন বলেন, ‘এ ধরনের অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের তাৎক্ষণিকভাবে অর্থ সহযোগিতা করার নিয়ম আমাদের নেই। তবে তারা একটি নির্দিষ্ট ফরমের মাধ্যমে লিখিত আবেদন করলে আর্থিক সহযোগিতা এবং ঢেউটিন সময় সাপেক্ষে পেতে পারেন।