1. admin@surjodoy.com : Main : Admin Main
  2. dainiksurjodoy24@gmail.com : admin2020 : TOWHID AHAMMED REZA
  3. editor@surjodoy.com : Daily Surjodoy : Daily Surjodoy
জলঢাকায় ৮ মাস ধরে বেতন নেই ৪২ শিক্ষক কর্মচারীর : মানবেতর জীবনযাপন
রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ১১:১৮ পূর্বাহ্ন

জলঢাকায় ৮ মাস ধরে বেতন নেই ৪২ শিক্ষক কর্মচারীর : মানবেতর জীবনযাপন

  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২১, ৯.৫৯ পিএম
  • ২৯২ বার পঠিত
আশিকুজ্জামান আশিক বাবু জলঢাকা (নীলফামারী)ঃঃ
 নীলফামারীর জলঢাকায় মামলা সংক্রান্ত জটিলতায় এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৪২ শিক্ষক কর্মচারীর ৮ মাস ধরে বেতন বন্ধ থাকায় মানবেতর জীবনযাপন চলছে তাদের পরিবারে। এ প্রতিষ্ঠানটি হচ্ছে  উপজেলার মীরগঞ্জহাট কলেজ। জানা গেছে, ওই কলেজেটিতে একই পদে ২জন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের নানান জটিলতার কারনে তারা এই বেতন ভাতা থেকে বঞ্চিত রয়েছে। এনিয়ে মামলা মোকদ্দমা হাইকোর্ট পর্যন্ত গড়িয়েছে এবং হাইকোর্টের রায়ে সিনিয়র শিক্ষক আব্দুস সাত্তারকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে বেতন বিলের স্বাক্ষরে আদেশ প্রদান করেছেন। কিন্তু প্রতিপক্ষের আপিলের কারনে বেতন-ভাতা বন্ধ আছে। কলেজটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুস সাত্তার জানায়, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২০ সালে আমাকে সিনিয়র অব দ্যা মোষ্ট হিসেবে সরকারি বিধি অনুযায়ী এবং রেজুলেশনের মাধ্যমে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দিয়েছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নিয়োগ প্রাপ্ত গভর্নিং বডির সভাপতি সহ সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যরা। সাবেক অধ্যক্ষ বজলুর রহমান অসুস্থ থাকাকালীণ সময়ে ৩দিনের জন্য ১৪ নং কম্পিউটার শিক্ষক আবুজার রহমানকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দিয়েছিলেন যা নিয়মবহির্ভূত। যেখানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধানে উল্লেখ রয়েছে, কলেজের অধ্যক্ষের পদ শুন্য হইলে/অধ্যক্ষের অবর্তমানে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে জেষ্ঠ্যতম ৫ (পাঁচ) জন শিক্ষকের মধ্য হতে যেকোন একজনকে দায়িত্ব প্রদান করতে হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, অধ্যক্ষের শূণ্যতায় জেষ্ঠ্যতমকেই ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দিতে হবে। কিন্তু, কি করে জেষ্ঠ্যকে বাদ দিয়ে ১৪ নং জুনিয়র কম্পিউটার শিক্ষককে ভারপ্রাপ্তের দায়িত্ব প্রদান করা হয়? মীরগঞ্জহাট কলেজের প্রদর্শক রেজাউল ইসলাম ও ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারী ছবিল হোসেন জানান, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের জটিলতার কারনে ৮ মাস ধরে আমরা বেতন পাচ্ছি না। পরিবার পরিজন নিয়ে  মানবেতর জীবনযাপন করছি। তাদের মতো কলেজটি হিসাবরক্ষর ফজলুর রহমান, প্রভাষক রফিকুল ইসলাম, ফরিদুজ্জামান, মিজানুর রহমান, মোসলেম উদ্দিনসহ অনেকে জানিয়েছেন তাদের বেতন না পাওয়া ও পরিবারের কষ্টের কথা। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দাবিদার আবুজার রহমান বলেন, বিল প্রদানে যা হবে সেটাই আমি চাই। বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতির উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর হামিদুল হক জানান, মীরগঞ্জহাট কলেজে কর্মরত শিক্ষক-কর্মারীদের ৮ মাস ধরে বেতন-ভাতাদির সরকারি অংশ না পাওয়ায় তারা মানবেতর জীবনযাপন করছে। এদের পরিবারের কথা বিবেচনা করে কতর্ৃপক্ষ বিশেষ করে ইউএনও মহোদয় বিষয়টি নিষ্পত্তি করে বেতন ভাতাদি প্রদানের ব্যবস্থা করতে পারেন। ইতোপুর্বেও এমন ঘটনায় এই প্রতিষ্ঠানে  ইউএনও মহোদয় ৬ মাসের বেতন-ভাতা প্রদান করেছেন।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহাবুব হাসান বলেন, মামলা জটিলতার কারনে বেতন-ভাতাদি দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। আইনি জটিলতা কাটলে আমরা বেতন দিতে প্রস্তুত।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved  2020 Daily Surjodoy
Theme Customized BY CreativeNews