নিরেন দাস,জয়পুরহাটঃ-
জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীরা প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ তুলে সংবাদ প্রকাশ করে আসছিলেন যে প্রকাশিত সংবাদ গুলোর কোন প্রতিক্রিয়া না হলে। জাতীয় দৈনিক সূর্যোদয় পত্রিকার অনুসন্ধান মূলক প্রতিবেদকের দৃষ্টিগোচর এলে।
গত ২৬ মার্চ রোজঃ- শুক্রবার” জয়পুরহাট ক্ষেতলাল সমাজসেবা অফিসে জালিয়াতির মাধ্যমে চাকরীর অভিযোগ”দায় এড়িয়ে যাচ্ছেন কর্মকর্তারা”এ শিরোনামে সংবাদটি জাতীয় দৈনিক সূর্যোদয় পত্রিকায় প্রকাশিত হলে অবশেষে ২৮ মার্চ রাতে হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জে তাকে বদলী করা হয়। পাশাপাশি একই স্মারকে জেলা সমাজ সেবা কার্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আজমা বেগমকেও বদলী করা হয়েছে।
জানা গেছে, এর আগে জেলার ক্ষেতলাল উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা মিজানুর রহমান থাকাকালীন সময়ে বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম,দুর্নীতি ও অধঃস্তন কর্মচারীদের শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠলে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ভাবে সংবাদ প্রকাশিত করা হয় এবং তার বিরুদ্ধে একাধিকবার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করেও তার খুঁটিরজোরে কোন প্রতিক্রিয়া না হলে।
তার বিরুদ্ধে সকল তথ্য সংগ্রহে মাঠে নামে জাতীয় দৈনিক সূর্যোদয় পত্রিকা বেরিয়ে আসে তার বিরুদ্ধে উঠা সকল অভিযোগ গুলো তা উল্লেখ করে দৈনিক সূর্যোদয় পত্রিকায় ২৬ মার্চ সংবাদ প্রকাশ করলে সংবাদ প্রকাশের দুই দিনের মাথায় তাকেসহ দুইজন কে বদলী করা হয়েছে।
অনুসন্ধানে জানাগেছে, গত ২৬ মার্চ জাতীয় দৈনিক সূর্যোদয় পত্রিকায় সংবাদটি প্রকাশিত হলে উক্ত সংবাদটি সমাজসেবা অধিদপ্তরের নজরে আসলে গত ২৮ মার্চ-২০২১ তারিখে ৪১.০১.০০০০০০৮.১৯.০০৫.১২.১৫০ নং স্মারকে সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শেখ রফিকুল ইসলাম সাক্ষরিত এক পত্রে জয়পুরহাট জেলার ক্ষেতলাল উপজেলার সমাজ সেবা কর্মকর্তা মিজানুর রহমানকে হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলায় বদলী করা হয়।
কিন্তু জয়পুরহাট জেলা সমাজ সেবা প্রশাসনিক কর্মকর্তা আজমা বেগমকে কোথায় বদলী করা হয়েছে তার এখনো জানাননি জেলা কর্মকর্তা।
ক্ষেতলাল উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মিজানুর রহমান তার বদলীর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন,বদলী তো অধিদপ্তরের একটি রুটিন ওয়ার্ক। কি কারণে বদলী করা হলো এটি কি শাস্তিমূলক বদলী নাকি অফিসের রুটিন অনুযায়ী বদলী এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তদন্ত কমিটির রির্পোট আমার পক্ষেই আছে, বিভাগীয় তদন্ত কমিটি এই এলাকায় আমাকে নিরাপদ মনে করেননি তাই আমাকে বদলী করা হয়েছে। তবে এটি শাস্তিমূলক কোন বদলী নয় বলে তিনি দাবী করেন।
জেলায় আলোচিত দুই কর্মকর্তার বদলীর বিষয়টি নিয়ে জয়পুরহাট জেলা সমাজসেবা উপ-পরিচালক (ডিডি) ইমাম হামিদ এর সাথে জাতীয় দৈনিক সূর্যোদয় পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি তার ০১৭১৬০৭১১৬৪ এ মুঠোফোন নম্বরে যোগাযোগ করলে তিনি ক্ষেতলাল উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মিজানুর রহমানের বদলীর বিষয়টি সূর্যোদয় কে নিশ্চিত করে। আরও বলেন শুধু মিজারনুর রহমান কেই বদলী করা হয়নি
একই সঙ্গে একই স্মারকে জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আজমা বেগমকেও বদলী করা হয়েছে। আজমা বেগমকে কোথায় এবং কি কারণে বদলী করা হয়েছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কলটি কেটে দেন এবং পরে প্রতিবেদক তার মুঠোফোনে বারবার কল দিলে কলটি তিনি রিসিভ করেনি।
Like this:
Like Loading...
Related
এ জাতীয় আরো খবর..