ওয়াকিল আহমেদঃ
জামালপুরের বকশীগঞ্জের মেরুরচর ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ
নিজস্ব সংবাদদাতা, জামালপুর ।
জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার মেরুরচর ইউপি চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম জেহাদের বিরুদ্ধে গুচ্ছগ্রাম ও আশ্রয়ণ প্রকল্পসহ অন্যান্য কর্মসূচী বাস্তবায়নে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। তার দুর্নীতির সুষ্ঠু তদন্ত করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জাতীয় দৈনিক সূর্যোদয় পত্রিকা কে একই ইউপির ৪ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য ছামিউল হক বলেন ।
গত ১০ মার্চ দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যানের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। ৪ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য মো. ছামিউল হকের ওই লিখিত অভিযোগে জানা যায়, ইউপি চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম জেহাদ তার একক ক্ষমতা বলে ইউপি সদস্যদের পাশ কাটিয়ে দুটি গুচ্ছগ্রাম ও একটি আশ্রয়ণ প্রকল্প স্থাপন করেন তার নিজ গ্রাম মাদারের চরে।
গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার কর্মসূচীর আওতায় সরকারী খাস জমিতে গুচ্ছগ্রাম ও আশ্রয়ণ প্রকল্প বাস্তবায়নের নিয়ম থাকলেও প্রভাব খাটিয়ে অনিয়মের আশ্রয় নিয়ে প্রকল্পগুলো তার নিজ গ্রামের ব্যক্তি মালিকানার জমিতে করেছেন।
প্রকল্প বাস্তবায়নের সময় দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে শ্রমিক নিয়োগ না দিয়ে পাশের নদী থেকে ড্রেজার মেশিনে মাটি কাটেন এবং ভুয়া মাস্টার রুল দেখিয়ে শ্রমিকদের মজুরির টাকা আত্মসাত করেন।
শুধু তাই নয়, যাদের জমিতে প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছেন তাদেরকেই সেখানে পুনর্বাসন দেখিয়েছেন। কিন্তু তারা সেখানে থাকেন না। ফলে ২৪৯ মেট্রিক টন গম/চালের বিনিময়ে গুচ্ছগ্রাম প্রকল্প দুটি বাস্তবায়ন দেখালেও বর্তমানে সেখানে গোচারণ ভূমিতে পরিণত হয়েছে।
একই কায়দায় ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে ২০১২-২০১৩ সালে ইউএনডিপি কর্তৃক বাস্তবায়িত বসতভিটা উঁচুকরণ প্রকল্পের খাস খতিয়ানভুক্ত ৯০২৮ নং দাগের জমি দেখিয়ে একই ইউনিয়নের দুর্গাপুর কলকিহারা গুচ্ছগ্রাম প্রকল্প বাস্তবায়নের নামে সরকারি বরাদ্দের ২৪৩ মেট্রিকটন গম/চাল আত্মসাত করেন।
মূলত সেই গুচ্ছ গ্রামে কোন লোকজন বসবাস করে না। এছাড়া একই ইউনিয়নের কলকিহারা গুচ্ছগ্রাম প্রকল্প বাস্তবায়নে ১২৪ মেট্রিক টন গম/চাল আত্মসাতেরও অভিযোগ রয়েছে ইউপি চেয়াম্যানের বিরুদ্ধে।
অপরদিকে জাহিদুল ইসলাম জেহাদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে ইউনিয়ন পরিষদের ভবন থাকা সত্ত্বেও তিনি সেখানে বসে তার কার্যক্রম পরিচালনা না করে উপজেলা সদরে ভাড়া বাড়িতে বসে ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম চালান বলে অভিযোগ রয়েছে।
এতে করে ইউনিয়নের ভিজিডি, ভিজিএফসহ সকল প্রকার ভাতাভোগীদের উপজেলা সদরে গিয়ে সেবা পেতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। অভিযোগ রয়েছে, ইউপি চেয়ারম্যান সকল ইউপি সদস্যদের পাশ কাটিয়ে স্বেচ্ছারিতার মাধ্যমে সমুদয় আর্থিক বরাদ্দ তছরূপসহ নয়টি ওয়ার্ডের মধ্যে সাতটি ওয়ার্ডকে উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত করেছেন।
এছাড়াও তার বিরুদ্ধে ২০২০ সালের জুন মাসের ভিজিডি বরাদ্দের সমুদয় অর্থ উপকারভোগীদের মাঝে বিতরণ না করে কালোবাজারে বিক্রি করে আত্মসাত করারও অভিযোগ রয়েছে।
টিআর, কাবিখা, স্যানেটারি লেট্টিন, নলকূপ ও কৃষি উপকরণ বিতরণের নীতিমালা অনুসরণ না করে মনগড়াভাবে চেয়ারম্যান তার নিজস্ব লোকজনদের মাঝে বিতরণ করে প্রকৃত সেবাপ্রত্যাশীদের বঞ্চিত করেছেন বলে সূর্যোদয় প্রতিনিধি কে মুঠোফোনে বিস্তারিত জানান এবং আরো উল্লেখ করেন যে জাতীয় দৈনিক সূর্যোদয় বরাবরের মতো বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতি তুলে ধরায় বিস্তারিত জানান।
ইউপি চেয়ারম্যান জিহাদুল ইসলাম জেহাদের বিরুদ্ধে এসব দুর্নীতি, অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ করে দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যানের কাছে অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাচ্ছেন না ইউপি সদস্য মো. ছামিউল হক ।
তিনি এসব অভিযোগ তদন্ত করে ইউপি চেয়ারম্যানকে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন। আপডেট পেতে আমাদের সঙ্গেই থাকুন।
Surjodoy.com
প্রতিষ্ঠাতা : মেজর (অব) মোঃ মোদাচ্ছের হোসাইন, সম্পাদক মন্ডলির সভাপতি: বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান আহমেদ এমপি, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: তৌহিদ আহমেদে রেজা, বার্তা সম্পাদক: আসমা আহমেদ কর্তৃক ৫৪ কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ সৈয়দ ভবন, ঢাকা-১২১৩ থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত
© All rights reserved 2020 Daily Surjodoy