ওয়াকিল আহমেদ নিজস্ব প্রতিবেদক | বৃহস্পতিবার, ১৪ অক্টোবর ২০২১ | প্রিন্ট
জিডিপিতে ভারতের চেয়ে ফের এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ
মাথাপিছু মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) ভারতের চেয়ে আবারো এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ, পূর্বাভাসে এমনটাই জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)।
মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) আইএমএফ ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুক (ডব্লিউইও) প্রকাশ করেছে। সেখানেই উঠে এসেছে এই তথ্য।
সংস্থাটি জানাচ্ছে, ২০২১ সালে চলতি মূল্যে বাংলাদেশের মাথাপিছু জিডিপি হবে ২ হাজার ১৩৮ দশমিক ৭৯৪ ডলার। অন্যদিকে একই সময়ে ভারতের মাথাপিছু জিডিপি হবে ২ হাজার ১১৬ দশমিক ৪৪৪ ডলার। এমনটি হলে পরপর দুই বছর ভারতের চেয়ে মাথাপিছু আয়ে এগিয়ে থাকবে বাংলাদেশ।
আইএমএফের মতে, করোনার প্রভাব কাটিয়ে বাংলাদেশ ও ভারত দু’টি দেশই অর্থনৈতিকভাবে বড় প্রবৃদ্ধি অর্জন করবে। ভারতের মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি হবে বেশি, ৯ দশমিক ৫ শতাংশ, বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি হবে ৪ দশমিক ৬ শতাংশ। তবে প্রবৃদ্ধি বাড়লেও গত বছর ভারতের অর্থনীতি বেশি মাত্রায় কমে গিয়েছিল, এ কারণেই আবার এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ এসেছে বাংলাদেশের সামনে।
এক বছর আগে আইএমএফ এবারের মতোই ডব্লিউইও প্রকাশ করে জানিয়েছিল, ২০২০ সালে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি হবে ৩ দশমিক ৮ শতাংশ, আর ভারতের প্রবৃদ্ধি কমে হবে ঋণাত্মক, অর্থাৎ (-) ১০ দশমিক ৩ শতাংশ। এর ফলে ২০২০ সালে বাংলাদেশের মাথাপিছু জিডিপি হবে ১ হাজার ৮৮৮ ডলার ও ভারতের হবে ১ হাজার ৮৮৭ ডলার। অর্থাৎ বাংলাদেশ গতবার ঠিক এক ডলারে এগিয়ে ছিল।
আইএমএফ এখন জানাচ্ছে, ২০২০ সালে প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩ দশমিক ৫ শতাংশ। তবে ভারতের প্রবৃদ্ধি ছিল ঋণাত্মক, (-) ৭ দশমিক ৩ শতাংশ। ফলে শেষ পর্যন্ত তাদের হিসাবে ২০২০ সালে বাংলাদেশের মাথাপিছু জিডিপি হয় ১ হাজার ৯৬১ দশমিক ৬১৪ ডলার এবং ভারতের ১ হাজার ৯২৯ দশমিক ৬৭৭ ডলার। আসলে শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের মাথাপিছু জিডিপি বেশি হয়েছিল ৩১ দশমিক ৯৩৭ ডলার।
মূলত এবার রেকর্ড পরিমাণ প্রবৃদ্ধি অর্জন করার কথা বলা হলেও গত বছরের উচ্চ ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধির প্রভাবেই ভারত এখনো পিছিয়ে আছে। এমনকি আগামী বছরও ভারত পিছিয়ে থাকবে বলে মনে করে আইএমএফ। এবছরের পূর্বাভাসে বাংলাদেশের মাথাপিছু জিডিপি বেশি হবে ২২ দশমিক ৩৫ ডলার।
উল্লেখ্য, জিডিপিতে বাংলাদেশ পরপর দুই বছর ছাড়িয়ে যাওয়া ছাড়াও বেশ কিছু সামাজিক সূচকে বাংলাদেশ ভারতকে ছাড়িয়ে গেছে সাত বছর আগে। এর মধ্যে ভারতের মেয়েদের তুলনায় বাংলাদেশের মেয়েদের শিক্ষার হার বেশি হওয়া, নারী প্রতি জন্মহার কম হওয়া, নবজাতক ও পাঁচ বছরের নিচে শিশুমৃত্যুর হার কম হওয়া বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
প্রতিষ্ঠাতা : মেজর (অব) মোঃ মোদাচ্ছের হোসাইন, সম্পাদক মন্ডলির সভাপতি: বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান আহমেদ এমপি, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: তৌহিদ আহমেদে রেজা, বার্তা সম্পাদক: আসমা আহমেদ কর্তৃক ৫৪ কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ সৈয়দ ভবন, ঢাকা-১২১৩ থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত
© All rights reserved 2020 Daily Surjodoy