করোনাভাইরাসের কারণে বাতিল হওয়া জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা বাতিল করা হলেও অটো প্রমোশনের না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডগুলো। আজ বিকালে এ বিষয়ে ঢাকা শিক্ষাবোর্ডে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক। এরপর তিনি বৈঠকে নেয়া সিদ্ধান্তগুলো সাংবাদিকদের বলেন।
তিনি জানান, মূল্যায়ন পরীক্ষার নেয়ার ক্ষেত্রে একটি বিকল্প পদ্ধতির প্রস্তাব হয়েছে। সেটি হচ্ছে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের এ মূল্যায়ন নিয়ে থাকবে। এই মূল্যায়নটি পরীক্ষার মাধ্যমে হবে, নাকি অন্য উপায়ে করা হবে সেটি প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের সুবিধামতো ঠিক করে নেবে। সে ক্ষেত্রে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসলে সশরীরে মূল্যায়ন করা সম্ভব হলে, সেটাও করা হবে।
আর যদি সম্ভব না হয়, তাহলে অনলাইনসহ প্রতিষ্ঠানগুলো যার যার সামর্থ্য অনুযায়ী মূল্যায়নটি করবে।
অধ্যাপক জিয়াউল হক আরো বলেন, এ বিষয়ে বাংলাদেশ পরীক্ষা উন্নয়ন ইউনিট (বেডু) একটি নির্দেশনা তৈরি করে দেবে। আর এই নির্দেশনা তৈরির মূলনীতি হবে করোনা শুরুর আগে ১৫ই মার্চ পর্যন্ত যতটুকু ক্লাস হয়েছিল সেটি এবং এরপর সংসদ টিভি ও অনলাইনে যতটুকু ক্লাস হয়েছে সেটিকে বিবেচনা নিয়ে মূল্যায়নের ব্যবস্থা করা। এর সঙ্গে করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় ক্লাস শুরু করা গেলে সেই ক্লাসগুলোর ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা। আর না খুললে ১৫ই মার্চ পর্যন্ত নেওয়া ক্লাস এবং টিভি ও অনলাইনে নেওয়া ক্লাসের ভিত্তিতে মূল্যায়নটি হবে।
এদিকে পাঠ্যসূচির যে বিষয়গুলো পড়ানো সম্ভব হবে না, সেটি নবম শ্রেণির ক্লাসের সঙ্গে সংযোগ করে দেওয়া হবে বলেও জানান অধ্যাপক. মু. জিয়াউল হক। আর ষষ্ঠ, সপ্তম এবং নবম শ্রেণির মূল্যায়নের বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর এবং জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড কাজ করছে। তারা যে সিদ্ধান্ত দেবে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।