1. admin@surjodoy.com : Main : Admin Main
  2. dainiksurjodoy24@gmail.com : admin2020 : TOWHID AHAMMED REZA
  3. editor@surjodoy.com : Daily Surjodoy : Daily Surjodoy
জেলে বসে মাকে লিখেছিলেন এক ভয়ঙ্কর চিঠি
শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:৩২ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
বিপন্ন অলিভ রিডলি প্রজাতির কাছিমের বাচ্চা অবমুক্ত করা হয় কক্সবাজার সমুদ্রে সৈকতে।  সাভারের স্ত্রীর সহযোগিতায় কিশোরীকে ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণের অভিযোগ করেন  কোস্ট গার্ড ও র‌্যাব এর যৌথ অভিযানে ৫০ হাজার পিস ইয়াবা সহ ৭ জন আটক।  আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে লক্ষ্মীপুরে বিএনপিকর্মী নিহতের ঘটনায় মামলা, ১৬ নেতা বহিষ্কার। শহীদ ইয়ামিনকে সাভারের তালবাগ কবরিস্থানে কবর দিতে দেয়নি জি এস মিজান। মঙ্গল’ শব্দ ও ধারণা অবশ্যই বাদ দিতে হবে। মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম নাটোরের লালপুর থানা থেকে ছিনিয়ে নেয়া জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুবেল হোসেনকে আটক করেছে পুলিশ। বাংলাদেশ মাইনরিটি জনতা পার্টি (বিএমজেপি) নামে নতুন আরেকটি দল নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নিবন্ধন পেয়েছে। বাংলাদেশী যুবকের ভালোবাসার টানে ফিলিপাইন থেকে সাইরা খাঁন নামের এক তরুনী ছুটে আসে সাভারের আশুলিয়ায় এবং তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জোটে যাওয়ার প্রশ্নই আসে না: হেফাজত

জেলে বসে মাকে লিখেছিলেন এক ভয়ঙ্কর চিঠি

  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ৭ জুলাই, ২০২০, ১০.০১ পিএম
  • ৫২১ বার পঠিত
    তৎকালীন ইংরেজ শাসনাধীন ভারতের কলকাতার প্রশাসনিক ভবনে হামলা করে ভারত মায়ের তিন দামাল ছেলে। কারাবিভাগের অত্যাচারী ইনস্পেক্টর জেনারেল সিম্পসনকে হত্যা করে। উজ্জ্বল রায় নিজস্ব প্রতিবেদক জানান, ইংরেজদের হাতে ধরা না দেওয়ার অঙ্গীকার নিয়ে বিবাদী’র বিনয় ও বাদল আত্মহত্যা করেন। বেঁচে যান বছর উনিশের দীনেশ গুপ্ত। ফাঁসি হয় ৭ জুলাই। জেলে বসে মা’কে লিখেছিলেন এক ভয়ঙ্কর চিঠি। কি লেখা ছিল সেই চিঠিতে? দীনেশ গুপ্ত মা’কে লিখেছিলেন,
“মা,
যদিও ভাবিতেছি কাল ভোরে তুমি আসিবে, তবু তোমার কাছে না লিখিয়া পারিলাম না।তুমি হয়তো ভাবিতেছ, ভগবানের কাছে এত প্রার্থনা করিলাম, তবুও তিনি শুনিলেন না! তিনি নিশ্চয় পাষাণ, কাহারও বুক-ভাঙা আর্তনাদ তাঁহার কানে পৌঁছায় না।
ভগবান কি, আমি জানি না, তাঁহার স্বরূপ কল্পনা করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। কিন্তু তবু একথাটা বুঝি, তাঁহার সৃষ্টিতে কখনও অবিচার হইতে পারে না। তাঁহার বিচার চলিতেছে। তাঁহার বিচারের উপর অবিশ্বাস করিও না, সন্তুষ্ট চিত্তে সে বিচার মাথা পাতিয়া নিতে চেষ্টা কর। কি দিয়া যে তিনি কি করিতে চান, তাহা আমরা বুঝিব কি করিয়া?
মৃত্যুটাকে আমরা এত বড় করিয়া দেখি বলিয়াই সে আমাদিগকে ভয় দেখাইতে পারে। এ যেন ছোট ছেলের মিথ্যা জুজুবুড়ির ভয়। যে মরণকে একদিন সকলেরই বরণ করিয়া লইতে হইবে, সে আমাদের হিসাবে দুই দিন আগে আসিল বলিয়াই কি আমাদের এত বিক্ষোভ, এত চাঞ্চল্য?
যে খবর না দিয়া আসিত, সে খবর দিয়া আসিল বলিয়াই কি আমরা তাহাকে পরম শত্রু মনে করিব? ভুল, ভুল। মৃত্যু ‘মিত্র’ রূপেই আমার কাছে দেখা দিয়াছে। আমার ভালোবাসা ও প্রণাম জানিবে।
– তোমার নসু”
আলিপুর সেন্ট্রাল জেল ৩০. ৬. ৩১. কলিকাতা।’”
দীনেশ গুপ্তের জন্ম ৬ ডিসেম্বর, ১৯১১; শহীদ ৭ জুলাই, ১৯৩১। বাবার নাম সতীশচন্দ্র গুপ্ত ও মায়ের নাম বিনোদিনী দেবী। চার ভাই বোনের কনিষ্ঠের ডাক নাম ছিল নসু। বিপ্লবী ঢাকা ও মেদিনীপুরে সুভাষ চন্দ্র বসুর বেঙ্গল ভলান্টিয়ার্সের সদস্য হিসাবে সাংগঠনিক কাজ করতেন। ১৯৩০ সালের ৮ ডিসেম্বর রাইটার্স ভবন আক্রমণ করেন। সঙ্গে ছিলেন বিনয় বসু ও বাদল গুপ্ত। পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধের পর বাদল গুপ্ত আত্মহত্যা করেন, বিনয় বসু আহত হয়ে ধরা পরেও হাসপাতালে আত্মহত্যা করেন। আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন দীনেশ গুপ্তও। নিজেকে গুলি করে আহত হয়েও বেঁচে যান তিনি। সুস্থ করে তুলে বিচারের পর মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। ১৯৩১ সালে ৭ জুলাই, মাত্র ১৯ বছর বয়সে ফাঁসি হয় তাঁর। উজ্জ্বল রায় নিজস্ব প্রতিবেদক।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved  2020 Daily Surjodoy
Theme Customized BY CreativeNews