ডেস্ক: মধ্য এশিয়ার দেশ কিরগিজস্তানের বিরোধীদলগুলো পার্লামেন্ট নির্বাচন নিয়ে বিক্ষোভের সময় সরকারি ভবনগুলো দখল করেছে। সহিংস বিক্ষোভের পর নির্বাচনী ফল বাতিল করেছে নির্বাচন কর্তৃপক্ষও।
মঙ্গলবার প্রায় দুই হাজার বিক্ষোভকারী ন্যাশনাল সিকিউরিটি কমিটি ভবনে ঢুকে পড়ে। তারা সেখানে রাখা দণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক প্রেসিডেন্ট আলমাজবেক আতাবায়েভকে জেল ভেঙেমুক্ত করেন।
কিরগিজ প্রেসিডেন্ট সুরোনবাই জিনবেকোভ বলেছেন, দেশ একটি অভ্যুত্থান চেষ্টার মুখে পড়েছে। তবে তিনি বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি না চালানোর জন্য আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন।
এক ভিডিও বার্তায় জিনবেকোভ বলেছেন, অজ্ঞাত একটি রাজনৈতিক শক্তি নির্বাচনী ফলকে শৃঙ্খলাভঙ্গের কারণ হিসাবে ব্যবহার করছে; তারা বেপরোয়া।
এ পর্যন্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়া ঠেকাতে সম্ভাব্য সব পদক্ষেপই নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জিনবেকোভ। তিনি বিরোধীদলগুলোকে তাদের সমর্থকদের শান্ত করে বিক্ষোভস্থল থেকে সরিয়ে নেওয়ার আহ্বানও জানান।
জিনবেকোভ বলেন, আমি কেন্দীয় নির্বাচন কমিশনকে সহিংসতার ঘটনা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তদন্ত করা এবং প্রয়োজনে নির্বাচনের ফল বাতিলের প্রস্তাব দিয়েছি।
সরকারি সূত্রের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, গতকাল রাতভর সংঘর্ষে একজন নিহত ও ৫৯০ জন আহত হয়েছেন। এ ছাড়া দুর্নীতির দায়ে আটক সাবেক প্রেসিডেন্টকে কারাগার থেকে নিয়ে গেছে বলেও জানানো হয়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা ভিডিওতে দেখা গেছে, কারাগার ত্যাগের পর সমর্থকদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট আলমাজবেক আতাবায়েভ। দুর্নীতির অভিযোগে ১১ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল তাকে।
আল-জাজিরার স্থানীয় সংবাদদাতা জানিয়েছেন, ‘তিনি (সুরনোবায়) সব দলের নেতাদেরকে তাদের সমর্থকদের শান্ত হওয়ার ও বাড়ি ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি দেশবাসীকে শান্তিরক্ষার আহ্বান জানিয়েছেন এবং সবধরনের প্ররোচনামূলক শক্তি ব্যবহারে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।’