নিরেন দাস,জয়পুরহাটঃ-
লকডাউন কার্যকর করতে গিয়ে জয়পুরহাটে কয়েকজন যুবকের হাতে মারধরের শিকার হন তিন ট্রাফিক পুলিশ। এ ঘটনায় ৬ জনকে গ্রেপ্তার করে শুক্রবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। এর মধ্যে দুজনকে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
গত শুক্রবার সন্ধ্যায় এসব তথ্য জাতীয় দৈনিক সূর্যোদয়কে জানিয়েছেন জয়পুরহাটের পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভূঞা। বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে শহরের বিআইডিসি মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, লকডাউনের দ্বিতীয় দিন শহরের বিআইডিসি মোড়ে চেকপোস্ট বসায় পুলিশ। এ সময় কয়েকজন যুবক মোটরসাইকেলযোগে ওই এলাকায় গেলে ট্রাফিক পুলিশ তাদের থামিয়ে মোটরসাইকেলের কাগজপত্র দেখতে চায়। তখন যুবকরা জানান কাগজপত্র নেই এবং তারা কাউকে কাগজ দেখান না। এই বলে চলে যেতে চাইলে ট্রাফিক পুলিশ তাদের গাড়ি আটকের চেষ্টা করে।
তখন তাদের সঙ্গে হাতাহাতি হয়। একপর্যায়ে ট্রাফিক পুলিশকে মারধর শুরু করেন যুবকরা। পরে আরও কয়েকজন যুবক মোটরসাইকেলযোগে এসে ট্রাফিক পুলিশের এটিএসআই জাহিদ, ট্রাফিক পুলিশের সদস্য তাজুল ইসলাম ও আনোয়ার হোসেনকে মারধর করেন। এ ঘটনায় ট্রাফিক পুলিশের টিএসআই আবুল কাশেম বাদী হয়ে ৮ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন।
এ মামলায় ৬ জনকে গ্রেপ্তার করে শুক্রবার দুপুরে আদালতে পাঠায় পুলিশ। তারা হলেন শহরের বুলুপাড়া এলাকার ফকির মাহমুদের ছেলে সান্টু মন্ডল (২৮), সাহেবপাড়া এলাকার মোসলেমের ছেলে রাজিব পান্না চঞ্চল (২৭), রূপনগর এলাকার সোলাইমানের ছেলে সাগর (৩৬), সাহেবপাড়া এলাকার শহিদুল ইসলামের ছেলে সোহাগ ইসলাম (৩৩), শুভ ইসলাম (৩২) ও গুলশান মোড় এলাকার শফিকুল ইসলামের ছেলে আশিকুর ইসলাম (৩৬)।
জয়পুরহাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) একেএম আলমগীর জাহান জাতীয় দৈনিক সূর্যোদয়কে বলেন, ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের মারধরের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় যারা জড়িত সিসি টিভির ভিডিও ফুটেজ দেখে তাদের সবাইকে গ্রেপ্তার করা হবে।
পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভূঞা জাতীয় দৈনিক সূর্যোদয়কে বলেন, এটা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। পুলিশ কারও প্রতিপক্ষ নয়। সরকারের দেওয়া নির্দেশনা মেনে জনগণকে সচেতন করাই পুলিশের দায়িত্ব। এ ঘটনা যারা ঘটিয়েছেন তারা আইনশৃঙ্খলা অমান্য করেছেন। ইতোমধ্যে ৬ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। যারা সক্রিয়ভাবে জড়িত তাদের দুজনকে দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। এ ঘটনায় আরো যারা জড়িত আছেন তাদের গ্রেপ্তার কার্যক্রম অব্যাহত আছে।
Leave a Reply